চীন কি আসলে ভারতের ৬০ কিলোমিটার ভুখণ্ড দখল করেছে?

- Update Time : ১২:২৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৯০ Time View
সম্প্রতি ভারতের অরুণাচল প্রদেশে প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভেতরে চীনের সামরিক বাহিনীর প্রবেশ এবং সেখানে শিবির স্থাপনের খবর বেশ আলোড়ন তুলেছে। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এটি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়। বলা হচ্ছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রদেশের আনজাও জেলার কাপাপু এলাকায় ক্যাম্প করেছে। যদিও শুরুতে ভারত সরকার এ নিয়ে নীরব থাকলেও, অবশেষে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিরণ রিজিজু চীনের দখলদারির অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশে চীনা বাহিনী ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং জমি দখল করেছে—এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
২০২৪ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর, কিরণ রিজিজু এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারতের জমিতে ঢুকে যদি চীন নিজেদের চিহ্ন রেখে যায়, সেটি কখনোই দখল হিসেবে গণ্য হতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “চীন আমাদের জমি দখল করতে পারবে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) অনির্ধারিত এলাকাগুলোতে উভয় পক্ষই টহল দেয় এবং কখনো কখনো ‘ওভারল্যাপিং’ হয়। চীনের পক্ষে আমাদের জমিতে কোনো স্থায়ী নির্মাণ করা অসম্ভব। ভারতীয় বাহিনী কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে।”

রিজিজু বার্তাসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে, চীনা বাহিনী অরুণাচলের কিছু অঞ্চলে চিহ্ন এঁকেছে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে ভারতীয় সরকার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরোপুরি অবগত রয়েছে। চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাইরে কোনো স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না, এটা নিশ্চিত করেন তিনি।
কিরণ রিজিজু আরও বলেন, অরুণাচল প্রদেশে কিছু এলাকা এখনো অনির্ধারিত, যেগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় এবং চীনা বাহিনী মাঝে মাঝে একে অপরের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করে। দুর্গম ভূখণ্ড এবং অনির্ধারিত এলাকায় টহল দেওয়ার সময় উভয় পক্ষই সেখানে চিহ্ন আঁকে এবং কিছু সামগ্রী ফেলে রেখে যায়। তবে এটি কোনোভাবেই জমি দখলের সমতুল্য নয়।
অতএব, ভারতের ৬০ কিলোমিটার ভুখণ্ড চীনের দখলে যাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানান কিরণ রিজিজু। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনের পক্ষে এলএসি-র ভেতরে কোনো স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি এবং ভবিষ্যতেও তা হবে না।”
Please Share This Post in Your Social Media

চীন কি আসলে ভারতের ৬০ কিলোমিটার ভুখণ্ড দখল করেছে?

সম্প্রতি ভারতের অরুণাচল প্রদেশে প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভেতরে চীনের সামরিক বাহিনীর প্রবেশ এবং সেখানে শিবির স্থাপনের খবর বেশ আলোড়ন তুলেছে। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এটি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়। বলা হচ্ছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রদেশের আনজাও জেলার কাপাপু এলাকায় ক্যাম্প করেছে। যদিও শুরুতে ভারত সরকার এ নিয়ে নীরব থাকলেও, অবশেষে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিরণ রিজিজু চীনের দখলদারির অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশে চীনা বাহিনী ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং জমি দখল করেছে—এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
২০২৪ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর, কিরণ রিজিজু এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারতের জমিতে ঢুকে যদি চীন নিজেদের চিহ্ন রেখে যায়, সেটি কখনোই দখল হিসেবে গণ্য হতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “চীন আমাদের জমি দখল করতে পারবে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) অনির্ধারিত এলাকাগুলোতে উভয় পক্ষই টহল দেয় এবং কখনো কখনো ‘ওভারল্যাপিং’ হয়। চীনের পক্ষে আমাদের জমিতে কোনো স্থায়ী নির্মাণ করা অসম্ভব। ভারতীয় বাহিনী কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে।”

রিজিজু বার্তাসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে, চীনা বাহিনী অরুণাচলের কিছু অঞ্চলে চিহ্ন এঁকেছে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে ভারতীয় সরকার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরোপুরি অবগত রয়েছে। চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাইরে কোনো স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না, এটা নিশ্চিত করেন তিনি।
কিরণ রিজিজু আরও বলেন, অরুণাচল প্রদেশে কিছু এলাকা এখনো অনির্ধারিত, যেগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় এবং চীনা বাহিনী মাঝে মাঝে একে অপরের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করে। দুর্গম ভূখণ্ড এবং অনির্ধারিত এলাকায় টহল দেওয়ার সময় উভয় পক্ষই সেখানে চিহ্ন আঁকে এবং কিছু সামগ্রী ফেলে রেখে যায়। তবে এটি কোনোভাবেই জমি দখলের সমতুল্য নয়।
অতএব, ভারতের ৬০ কিলোমিটার ভুখণ্ড চীনের দখলে যাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানান কিরণ রিজিজু। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনের পক্ষে এলএসি-র ভেতরে কোনো স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি এবং ভবিষ্যতেও তা হবে না।”