অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ফোন ব্যবহারে বিশেষ নিয়ম

- Update Time : ১২:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৮৫ Time View

জেফ বেজোস, যাকে আমরা অ্যামাজনের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও ব্লু অরিজিনের মালিক হিসেবে জানি, তার জীবনের নানা দিক নিয়ে বিশ্বজুড়ে কৌতূহল রয়েছে। বিলিয়নিয়ার বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি যেমন আলোচনায়, তেমনি তার দৈনন্দিন জীবনের রুটিনও অনেকের জন্য প্রেরণাদায়ক। সম্প্রতি, তার বাগদত্তা লরেন সানচেজ বেজোসের ফোন ব্যবহারের বিশেষ নিয়ম সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন, যা তাদের সম্পর্কের গভীরতাকে তুলে ধরেছে।
ফোনের প্রতি দূরত্ব: সকালে সময় কাটানোর বিশেষ পদ্ধতি
সাবেক টিভি শো হোস্ট লরেন সানচেজ জানিয়েছেন, বেজোস ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন ব্যবহারের পরিবর্তে তারা মানসম্পন্ন সময় কাটাতে পছন্দ করেন। এই নিয়ম অনুযায়ী, ঘুম থেকে উঠেই ফোনে নজর না দিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে সময় দেন। সানচেজ বলেন, তিনি ঘুম থেকে উঠে বেজোসের জন্য কফি বানান এবং কফিতে চুমুক দিতে দিতে তারা একান্ত সময় কাটান। সেই মুহূর্তগুলোকে তারা ‘জাদুকরী’ হিসেবে বর্ণনা করেন, কারণ তখনো তাদের সন্তানরা ঘুম থেকে ওঠেনি এবং ফোন থেকেও তারা দূরে থাকেন।
সানচেজের মতে, এটি বেজোসের সকালের রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সকালে কফি পান শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্ক্রিনের উপস্থিতি এড়িয়ে চলেন তারা। এটি তাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক ও মূল্যবান সময়। দিনের মধ্যে এটাই সানচেজের সবচেয়ে প্রিয় সময় বলে তিনি জানান।
জেফ বেজোসের রুটিন: সময়কে প্রাধান্য দেওয়া
বেজোস নিজের রুটিন নিয়েও ভিডিও শেয়ার করেছেন। এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাই এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি। সকালে সময় কাটানোর বিষয়টি আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি ঢিলে-তালে সময় কাটাতে ভালোবাসি—কফি খাই, খবরের কাগজ পড়ি এবং বাচ্চাদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করি।’
তিনি আরও জানান যে, সকাল ১০টার আগে তিনি কোনো মিটিং রাখেন না। এর কারণ, সকালে তিনি চাপমুক্ত সময় কাটাতে পছন্দ করেন, যা তার কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
বেজোস-সানচেজের সম্পর্ক ও পরিবার
জেফ বেজোস এবং লরেন সানচেজের সম্পর্ক ২০১৯ সালে প্রকাশ্যে আসে, যখন বেজোস তার প্রথম স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কটের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। ২০২৩ সালে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে, এবং পরিবারকে কেন্দ্র করে তারা তাদের রুটিন গড়ে তুলেছেন।
জেফ বেজোসের ফোন ব্যবহারের এই নিয়ম ও সকালের রুটিন কেবল তার কর্মদক্ষতাকে বাড়ায় না, বরং পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে। এটি কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা তার মতো একজন সফল ব্যক্তির জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ।
Please Share This Post in Your Social Media

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ফোন ব্যবহারে বিশেষ নিয়ম


জেফ বেজোস, যাকে আমরা অ্যামাজনের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও ব্লু অরিজিনের মালিক হিসেবে জানি, তার জীবনের নানা দিক নিয়ে বিশ্বজুড়ে কৌতূহল রয়েছে। বিলিয়নিয়ার বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি যেমন আলোচনায়, তেমনি তার দৈনন্দিন জীবনের রুটিনও অনেকের জন্য প্রেরণাদায়ক। সম্প্রতি, তার বাগদত্তা লরেন সানচেজ বেজোসের ফোন ব্যবহারের বিশেষ নিয়ম সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন, যা তাদের সম্পর্কের গভীরতাকে তুলে ধরেছে।
ফোনের প্রতি দূরত্ব: সকালে সময় কাটানোর বিশেষ পদ্ধতি
সাবেক টিভি শো হোস্ট লরেন সানচেজ জানিয়েছেন, বেজোস ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন ব্যবহারের পরিবর্তে তারা মানসম্পন্ন সময় কাটাতে পছন্দ করেন। এই নিয়ম অনুযায়ী, ঘুম থেকে উঠেই ফোনে নজর না দিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে সময় দেন। সানচেজ বলেন, তিনি ঘুম থেকে উঠে বেজোসের জন্য কফি বানান এবং কফিতে চুমুক দিতে দিতে তারা একান্ত সময় কাটান। সেই মুহূর্তগুলোকে তারা ‘জাদুকরী’ হিসেবে বর্ণনা করেন, কারণ তখনো তাদের সন্তানরা ঘুম থেকে ওঠেনি এবং ফোন থেকেও তারা দূরে থাকেন।
সানচেজের মতে, এটি বেজোসের সকালের রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সকালে কফি পান শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্ক্রিনের উপস্থিতি এড়িয়ে চলেন তারা। এটি তাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক ও মূল্যবান সময়। দিনের মধ্যে এটাই সানচেজের সবচেয়ে প্রিয় সময় বলে তিনি জানান।
জেফ বেজোসের রুটিন: সময়কে প্রাধান্য দেওয়া
বেজোস নিজের রুটিন নিয়েও ভিডিও শেয়ার করেছেন। এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাই এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি। সকালে সময় কাটানোর বিষয়টি আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি ঢিলে-তালে সময় কাটাতে ভালোবাসি—কফি খাই, খবরের কাগজ পড়ি এবং বাচ্চাদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করি।’
তিনি আরও জানান যে, সকাল ১০টার আগে তিনি কোনো মিটিং রাখেন না। এর কারণ, সকালে তিনি চাপমুক্ত সময় কাটাতে পছন্দ করেন, যা তার কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
বেজোস-সানচেজের সম্পর্ক ও পরিবার
জেফ বেজোস এবং লরেন সানচেজের সম্পর্ক ২০১৯ সালে প্রকাশ্যে আসে, যখন বেজোস তার প্রথম স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কটের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। ২০২৩ সালে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে, এবং পরিবারকে কেন্দ্র করে তারা তাদের রুটিন গড়ে তুলেছেন।
জেফ বেজোসের ফোন ব্যবহারের এই নিয়ম ও সকালের রুটিন কেবল তার কর্মদক্ষতাকে বাড়ায় না, বরং পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে। এটি কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা তার মতো একজন সফল ব্যক্তির জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ।