আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি চান তারেক রহমান, কোনো বিশেষ সুবিধায় নয়

- Update Time : ১০:০০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩১৫ Time View

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তিনি কোনো বিশেষ সুবিধার আশা না করে শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলা থেকে মুক্তি চান। তার আইনজীবীরা জানিয়েছে, তিনি নির্ধারিত সময়ে দেশে ফিরতে চান।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, মামলার ক্ষেত্রে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আদালতের সাহায্য নিতে হবে। তারা বলছেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতও এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। পরদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে বিএনপির অন্যান্য নেতাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
তারেক রহমান গত ১৬ বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন। ওয়ান ইলেভেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচটি মামলায় দণ্ড দেওয়া হয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তার দেশে ফেরার বিষয়টি এখন আলোচনায় রয়েছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, তারেক রহমান বিশেষ কোনো সুবিধা চান না। তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে দেশে ফিরতে চান। তিনি বলেন, “তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেওয়া হয়নি। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে মামলাগুলোর আইনগত মোকাবিলা করবেন।”
সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাজাহান বলেছেন, তারেক রহমান মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেননি কারণ তিনি লন্ডনে রয়েছেন। কোর্টের কাছে মুক্তি চাইতে হলে তাকে আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে, অর্থাৎ তাকে দেশে আসতে হবে।
Please Share This Post in Your Social Media

আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি চান তারেক রহমান, কোনো বিশেষ সুবিধায় নয়


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তিনি কোনো বিশেষ সুবিধার আশা না করে শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলা থেকে মুক্তি চান। তার আইনজীবীরা জানিয়েছে, তিনি নির্ধারিত সময়ে দেশে ফিরতে চান।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, মামলার ক্ষেত্রে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আদালতের সাহায্য নিতে হবে। তারা বলছেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতও এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। পরদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে বিএনপির অন্যান্য নেতাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
তারেক রহমান গত ১৬ বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন। ওয়ান ইলেভেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচটি মামলায় দণ্ড দেওয়া হয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তার দেশে ফেরার বিষয়টি এখন আলোচনায় রয়েছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, তারেক রহমান বিশেষ কোনো সুবিধা চান না। তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে দেশে ফিরতে চান। তিনি বলেন, “তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেওয়া হয়নি। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে মামলাগুলোর আইনগত মোকাবিলা করবেন।”
সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাজাহান বলেছেন, তারেক রহমান মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেননি কারণ তিনি লন্ডনে রয়েছেন। কোর্টের কাছে মুক্তি চাইতে হলে তাকে আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে, অর্থাৎ তাকে দেশে আসতে হবে।