বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক ও প্রতারণার অভিযোগ ভারতীয় ক্রিকেটার যশ দয়ালের বিরুদ্ধে

- Update Time : ০২:১৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
- / ৯৫ Time View

ভারতের উদীয়মান ক্রিকেটার এবং আইপিএল দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) অন্যতম পেসার যশ দয়ালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এক নারী। ওই নারী দাবি করেছেন, পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যশ দয়াল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ও মানসিক নিপীড়ন চালিয়েছেন। এই অভিযোগ সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনলাইন অভিযোগ প্রতিকার পোর্টালে দাখিল করেছেন তিনি।
অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী নারী জানান—
“গত পাঁচ বছর ধরে যশ দয়ালের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়, এমনকি তার পরিবারও আমাকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করেছিল। আমি তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি, সে একাধিক নারীর সঙ্গে একই ধরনের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন,
“যখন আমি তার প্রতারণার প্রতিবাদ করি, তখন সে আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং মানসিকভাবে হেনস্তা করতে শুরু করে। সম্পর্কের মধ্যে আমাকে আর্থিক ও আবেগিকভাবে তার ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। এখন আমি সম্পূর্ণরূপে অসহায়।”
ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, তিনি ১৪
তিনি দাবি করেন, তার কাছে অভিযোগের পক্ষে চ্যাট, স্ক্রিনশট, ভিডিও কল ও একাধিক ছবি রয়েছে, যেগুলো প্রমাণস্বরূপ তদন্ত কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যেতে পারে।
আইনি হস্তক্ষেপের দাবি
অভিযোগপত্রের শেষাংশে ভুক্তভোগী নারী অনুরোধ করেন—
“এই বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং যশ দয়ালের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এটা শুধু আমার জন্য নয়, সকল প্রতারিত নারীর ন্যায়বিচারের প্রশ্ন।”
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যশ দয়ালের অবস্থান
উল্লেখ্য, যশ দয়াল এখনো ভারতীয় জাতীয় দলে খেলেননি, তবে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তরপ্রদেশ দলের পক্ষে নিয়মিত খেলছেন। আইপিএল ২০২৫-এ তিনি ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) প্রথম শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক। পুরো মৌসুমে তিনি ১৫ ম্যাচে ১৩টি উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
সমাজ ও খেলার মাঠের বাইরে প্রশ্নবোধকতা
এই ধরনের অভিযোগ শুধু একজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং সামাজিকভাবে বড় এক বার্তা দেয়। খেলোয়াড়রা সমাজের রোল মডেল, তাদের আচরণে তরুণ প্রজন্ম প্রভাবিত হয়। তাই এ ধরনের ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)-এর পক্ষ থেকে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলাজনিত তদন্ত করা উচিত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এর ফলাফল হতে পারে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নিয়েও নেতিবাচক প্রভাব।
এই ঘটনায় যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে তা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়—নারী নিরাপত্তা, প্রতারণা এবং আইনি শাসনব্যবস্থার প্রতি আস্থার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত কতটা দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয় এবং খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
Please Share This Post in Your Social Media

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক ও প্রতারণার অভিযোগ ভারতীয় ক্রিকেটার যশ দয়ালের বিরুদ্ধে


ভারতের উদীয়মান ক্রিকেটার এবং আইপিএল দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) অন্যতম পেসার যশ দয়ালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এক নারী। ওই নারী দাবি করেছেন, পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যশ দয়াল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ও মানসিক নিপীড়ন চালিয়েছেন। এই অভিযোগ সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনলাইন অভিযোগ প্রতিকার পোর্টালে দাখিল করেছেন তিনি।
অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী নারী জানান—
“গত পাঁচ বছর ধরে যশ দয়ালের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়, এমনকি তার পরিবারও আমাকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করেছিল। আমি তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি, সে একাধিক নারীর সঙ্গে একই ধরনের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন,
“যখন আমি তার প্রতারণার প্রতিবাদ করি, তখন সে আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং মানসিকভাবে হেনস্তা করতে শুরু করে। সম্পর্কের মধ্যে আমাকে আর্থিক ও আবেগিকভাবে তার ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। এখন আমি সম্পূর্ণরূপে অসহায়।”
ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, তিনি ১৪
তিনি দাবি করেন, তার কাছে অভিযোগের পক্ষে চ্যাট, স্ক্রিনশট, ভিডিও কল ও একাধিক ছবি রয়েছে, যেগুলো প্রমাণস্বরূপ তদন্ত কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যেতে পারে।
আইনি হস্তক্ষেপের দাবি
অভিযোগপত্রের শেষাংশে ভুক্তভোগী নারী অনুরোধ করেন—
“এই বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং যশ দয়ালের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এটা শুধু আমার জন্য নয়, সকল প্রতারিত নারীর ন্যায়বিচারের প্রশ্ন।”
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যশ দয়ালের অবস্থান
উল্লেখ্য, যশ দয়াল এখনো ভারতীয় জাতীয় দলে খেলেননি, তবে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তরপ্রদেশ দলের পক্ষে নিয়মিত খেলছেন। আইপিএল ২০২৫-এ তিনি ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) প্রথম শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক। পুরো মৌসুমে তিনি ১৫ ম্যাচে ১৩টি উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
সমাজ ও খেলার মাঠের বাইরে প্রশ্নবোধকতা
এই ধরনের অভিযোগ শুধু একজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং সামাজিকভাবে বড় এক বার্তা দেয়। খেলোয়াড়রা সমাজের রোল মডেল, তাদের আচরণে তরুণ প্রজন্ম প্রভাবিত হয়। তাই এ ধরনের ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)-এর পক্ষ থেকে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলাজনিত তদন্ত করা উচিত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এর ফলাফল হতে পারে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নিয়েও নেতিবাচক প্রভাব।
এই ঘটনায় যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে তা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়—নারী নিরাপত্তা, প্রতারণা এবং আইনি শাসনব্যবস্থার প্রতি আস্থার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত কতটা দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয় এবং খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।