‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল সরকার

- Update Time : ০৩:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
- / ৯২ Time View
সরকার ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। তবে, ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে গত ২৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক তিনটি পরিপত্রে তিনটি নতুন দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
প্রথম পরিপত্রে বলা হয়েছিল, সরকার ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি বছর পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় পরিপত্রে জানানো হয়, ১৬ জুলাই রংপুরে ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আবু সাঈদের স্মরণে দিনটিকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটিও ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালনের কথা বলা হয়।
তৃতীয় পরিপত্র অনুযায়ী, সরকার ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
তবে পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় ৮ আগস্টের ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণাটি পুনর্বিবেচনা করে তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকার মনে করছে, জাতীয় দিবসের গুরুত্ব রক্ষার্থে দিবস ঘোষণায় আরও পরিপক্বতা ও সংবেদনশীলতা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, ৫ আগস্ট ও ১৬ জুলাইয়ের দিবস দুটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Please Share This Post in Your Social Media

‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল সরকার

সরকার ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। তবে, ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে গত ২৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক তিনটি পরিপত্রে তিনটি নতুন দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
প্রথম পরিপত্রে বলা হয়েছিল, সরকার ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি বছর পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় পরিপত্রে জানানো হয়, ১৬ জুলাই রংপুরে ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আবু সাঈদের স্মরণে দিনটিকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটিও ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালনের কথা বলা হয়।
তৃতীয় পরিপত্র অনুযায়ী, সরকার ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
তবে পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় ৮ আগস্টের ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণাটি পুনর্বিবেচনা করে তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকার মনে করছে, জাতীয় দিবসের গুরুত্ব রক্ষার্থে দিবস ঘোষণায় আরও পরিপক্বতা ও সংবেদনশীলতা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, ৫ আগস্ট ও ১৬ জুলাইয়ের দিবস দুটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।