সময়: সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

সিঙ্গাপুরগামী বিমানের পাখায় পাখির আঘাত: শাহজালালে নিরাপদে ফিরল উড়োজাহাজ, যাত্রীরা নিরাপদ

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০২:১১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • / ৯৯ Time View

biman

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

biman

আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে) উড্ডয়ন করার পরপরই পাখির আঘাতে বিমানের ডানায় সমস্যা দেখা দেয়। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটিতে ১৫৪ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন।

উড়ান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই, যখন উড়োজাহাজটি প্রায় ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছায়, তখন এর একটি পাখায় পাখির আঘাত লাগে। এই পরিস্থিতিতে পাইলট অত্যন্ত দক্ষতা ও সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ফ্লাইটটি নিরাপদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং বে নম্বর ১৪ তে পার্ক করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের শাহজালাল স্টেশনের ম্যানেজার অপূর্ব দেওয়ান জানান, পাখির আঘাত লাগার পরপরই যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্লাইটটি ফিরিয়ে আনা হয়। তিনি বলেন, “উড়ান চলাকালীন পাখার ওপর পাখি ধাক্কা দেয়। তবে কোনো যান্ত্রিক ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদ এবং সুস্থ রয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, পাখায় আঘাত লাগার ফলে বিমানের কাঠামোর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করতে বিমানটি স্থগিত রাখা হয়েছে। যাত্রীদের যেন কোনো ধরনের দুর্ভোগ না হয়, সেজন্য দ্রুত বিকল্প একটি উড়োজাহাজ প্রস্তুত করে তাদের সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ ধরনের ঘটনার পর সাধারণত বিমানটি পর্যবেক্ষণ, যান্ত্রিক মূল্যায়ন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী মেরামতের জন্য নির্ধারিত টেকনিক্যাল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একইসঙ্গে এই ঘটনা থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষাগ্রহণের উদ্দেশ্যে বন্যপাখি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং বিমানবন্দর এলাকায় পাখির গতিবিধি পর্যবেক্ষণের বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা যায়।

এই ঘটনায় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটায় যাত্রীদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও বিমানের আধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ফলেই বিপদের মুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

বিমানের যাত্রীদের পক্ষ থেকেও বিমানের পাইলট ও ক্রুদের দ্রুত পদক্ষেপ ও দক্ষতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেক যাত্রী অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানিয়েছেন, “বিমানের অভ্যন্তরে আমরা কিছুই টের পাইনি। অবতরণের সময়ই কেবল বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে, কিন্তু পুরোপুরি নিরাপদ ছিলাম।”

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা বিরল নয়। তবে প্রতিটি ঘটনার পরই বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের ঝুঁকি হ্রাসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে আজকের মতো বিপদের আশঙ্কা এড়িয়ে গিয়ে নিরাপদে ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হয়েছে।

এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আকাশপথে যাত্রা যতই নিরাপদ হোক না কেন, প্রকৃতির প্রতিক্রিয়ায় সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়। তবে বাংলাদেশ বিমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীলতা এই ঘটনায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

সিঙ্গাপুরগামী বিমানের পাখায় পাখির আঘাত: শাহজালালে নিরাপদে ফিরল উড়োজাহাজ, যাত্রীরা নিরাপদ

Update Time : ০২:১১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

biman

আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে) উড্ডয়ন করার পরপরই পাখির আঘাতে বিমানের ডানায় সমস্যা দেখা দেয়। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটিতে ১৫৪ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন।

উড়ান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই, যখন উড়োজাহাজটি প্রায় ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছায়, তখন এর একটি পাখায় পাখির আঘাত লাগে। এই পরিস্থিতিতে পাইলট অত্যন্ত দক্ষতা ও সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ফ্লাইটটি নিরাপদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং বে নম্বর ১৪ তে পার্ক করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের শাহজালাল স্টেশনের ম্যানেজার অপূর্ব দেওয়ান জানান, পাখির আঘাত লাগার পরপরই যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্লাইটটি ফিরিয়ে আনা হয়। তিনি বলেন, “উড়ান চলাকালীন পাখার ওপর পাখি ধাক্কা দেয়। তবে কোনো যান্ত্রিক ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদ এবং সুস্থ রয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, পাখায় আঘাত লাগার ফলে বিমানের কাঠামোর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করতে বিমানটি স্থগিত রাখা হয়েছে। যাত্রীদের যেন কোনো ধরনের দুর্ভোগ না হয়, সেজন্য দ্রুত বিকল্প একটি উড়োজাহাজ প্রস্তুত করে তাদের সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ ধরনের ঘটনার পর সাধারণত বিমানটি পর্যবেক্ষণ, যান্ত্রিক মূল্যায়ন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী মেরামতের জন্য নির্ধারিত টেকনিক্যাল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একইসঙ্গে এই ঘটনা থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষাগ্রহণের উদ্দেশ্যে বন্যপাখি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং বিমানবন্দর এলাকায় পাখির গতিবিধি পর্যবেক্ষণের বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা যায়।

এই ঘটনায় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটায় যাত্রীদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও বিমানের আধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ফলেই বিপদের মুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

বিমানের যাত্রীদের পক্ষ থেকেও বিমানের পাইলট ও ক্রুদের দ্রুত পদক্ষেপ ও দক্ষতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেক যাত্রী অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানিয়েছেন, “বিমানের অভ্যন্তরে আমরা কিছুই টের পাইনি। অবতরণের সময়ই কেবল বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে, কিন্তু পুরোপুরি নিরাপদ ছিলাম।”

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা বিরল নয়। তবে প্রতিটি ঘটনার পরই বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের ঝুঁকি হ্রাসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে আজকের মতো বিপদের আশঙ্কা এড়িয়ে গিয়ে নিরাপদে ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হয়েছে।

এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আকাশপথে যাত্রা যতই নিরাপদ হোক না কেন, প্রকৃতির প্রতিক্রিয়ায় সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়। তবে বাংলাদেশ বিমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীলতা এই ঘটনায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share