সংস্কার নয়, খাওয়াদাওয়াই মুখ্য হয়ে উঠছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

- Update Time : ০৬:০৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / ৯৯ Time View
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেছেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ব্যানারে যেসব সংস্কার কার্যক্রম চলছে, সেখানে বাস্তব আলোচনা কিংবা ফলপ্রসূ মতবিনিময়ের চেয়ে খাওয়াদাওয়া বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।” তবে বিএনপি এখনও আশাবাদী যে, এক পর্যায়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য গঠিত হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ বিএনপি তার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে অনেক আগেই বপন করেছিল। আমরা জানতাম—ফ্যাসিবাদ পতনশীল, কিন্তু সেটা কবে এবং কীভাবে ঘটবে, তা নিশ্চিত ছিলাম না।”
তিনি বলেন, “সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি ইতোমধ্যে সরকারকে সহযোগিতা করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী পদে একটানা ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি যাতে না থাকতে পারেন, সেই প্রস্তাবে বিএনপি ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছে। এটিই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। এখন প্রয়োজন বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, কারণ সেটিই হবে গণতন্ত্র রক্ষার মূল ঢাল।”
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, “গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে। সাংবাদিকরা যেন মালিকের নয়, বিবেকের চাকরি করেন—সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিএনপি সবসময় সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় পাশে থাকবে।”
নির্বাচন কমিশনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “যদি একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, তবে ফ্যাসিবাদের শেকড় কেঁটে ফেলা সম্ভব। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করলেই চলবে না, গোটা শাসন কাঠামোয় ভারসাম্য আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক সংস্কার শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। না হলে এই খাওয়াদাওয়ার সংস্কৃতির মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্যের স্বপ্ন তলিয়ে যাবে।”
Please Share This Post in Your Social Media

সংস্কার নয়, খাওয়াদাওয়াই মুখ্য হয়ে উঠছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেছেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ব্যানারে যেসব সংস্কার কার্যক্রম চলছে, সেখানে বাস্তব আলোচনা কিংবা ফলপ্রসূ মতবিনিময়ের চেয়ে খাওয়াদাওয়া বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।” তবে বিএনপি এখনও আশাবাদী যে, এক পর্যায়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য গঠিত হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ বিএনপি তার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে অনেক আগেই বপন করেছিল। আমরা জানতাম—ফ্যাসিবাদ পতনশীল, কিন্তু সেটা কবে এবং কীভাবে ঘটবে, তা নিশ্চিত ছিলাম না।”
তিনি বলেন, “সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি ইতোমধ্যে সরকারকে সহযোগিতা করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী পদে একটানা ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি যাতে না থাকতে পারেন, সেই প্রস্তাবে বিএনপি ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছে। এটিই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। এখন প্রয়োজন বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, কারণ সেটিই হবে গণতন্ত্র রক্ষার মূল ঢাল।”
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, “গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে। সাংবাদিকরা যেন মালিকের নয়, বিবেকের চাকরি করেন—সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিএনপি সবসময় সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় পাশে থাকবে।”
নির্বাচন কমিশনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “যদি একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, তবে ফ্যাসিবাদের শেকড় কেঁটে ফেলা সম্ভব। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করলেই চলবে না, গোটা শাসন কাঠামোয় ভারসাম্য আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক সংস্কার শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। না হলে এই খাওয়াদাওয়ার সংস্কৃতির মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্যের স্বপ্ন তলিয়ে যাবে।”