সময়: সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

ইরানে হামলার সফলতা না ব্যর্থতা? সিএনএন-নিউ ইয়র্ক টাইমস একত্রিত হয়ে চরম মিথ্যাচার করেছে: ট্রাম্প

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ১১:২৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / ৯৫ Time View

10fc92d3a73f7dfc1e997e7cc6fcfd0d 685b7773e5da1

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

10fc92d3a73f7dfc1e997e7cc6fcfd0d 685b7773e5da1

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এই অভিযান কতটা সফল হয়েছে, তা নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। একদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযানে ‘সম্পূর্ণ সাফল্য’ দাবি করছেন, অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (Defense Intelligence Agency – DIA) ও প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে—ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি, বরং এটি সাময়িকভাবে পিছিয়ে গেছে মাত্র।

DIA-এর গোপন রিপোর্ট: আংশিক ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদি নয়

পেন্টাগনের গোপন বিশ্লেষণে DIA জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানা হলেও এসব স্থাপনার বেশিরভাগ প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো চূড়ান্তভাবে ধ্বংস হয়নি। পারমাণবিক কর্মসূচি হয়তো ৬ থেকে ৯ মাসের জন্য বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু তা নির্মূল হয়নি। এই বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে, ইরান চাইলে সীমিত সময়ের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম আবার সচল করতে সক্ষম হবে।

এছাড়াও, স্যাটেলাইট ইমেজ ও সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্সের (SIGINT) মাধ্যমে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ফোর্ডো ও নাতাঞ্জের মতো কেন্দ্রগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটলেও মূল রিঅ্যাক্টর ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ যন্ত্রাংশের একটি বড় অংশ অক্ষত রয়েছে।

ট্রাম্পের বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া: মিডিয়া

গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে রোষানল

এই তথ্য ফাঁস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাম্প ট্রুথ সোশাল-এ একাধিক পোস্ট দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন:

“ফেইক নিউজ CNN এবং ব্যর্থ নিউ ইয়র্ক টাইমস একত্রিত হয়ে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এটি আমেরিকার বিজয়কে ছোট করে দেখানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে!”

তিনি আরও বলেন, “জনগণ এখন বুঝে গেছে যে মিডিয়া কীভাবে সরকারের সফলতাগুলো আড়াল করতে চায়। তাদের এজেন্ডা স্পষ্ট: ট্রাম্পকে খাটো করো, আমেরিকার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করো।”

স্টিভ উইটকফের বক্তব্য: “এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতা

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন:

“গোপন সামরিক তথ্য ফাঁস করে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। এটি শুধুই ঘৃণ্য কাজ নয়, এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া এবং শাস্তির আওতায় আনা উচিত।”

তিনি আরও দাবি করেন, “আমি রিপোর্টগুলো পড়েছি। আমরা ফোর্ডো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছি। বিশেষ করে ফোর্ডোতে ১২টি বাংকার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই বোমাগুলো ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলোর ছাদ ভেদ করে সম্পূর্ণ ধ্বংস সাধন করেছে।”

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া আরও জোরদার

উইটকফের সাক্ষাৎকারের একটি ক্লিপ ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে শেয়ার করে লেখেন:

“ফোর্ডো ধ্বংস হয়েছে, ইসফাহান নিশ্চিহ্ন হয়েছে, নাতাঞ্জ পুড়ে গেছে। যারা বলছে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি, তারা হয় সম্পূর্ণ অজ্ঞ, নয়তো দেশদ্রোহী।”

ট্রাম্প বলেন, “এই অভিযান ছিল পরিকল্পিত, অত্যন্ত সফল এবং ইরানের পারমাণবিক স্বপ্নের উপর একটা শক্তিশালী আঘাত। এখন যারা মিডিয়ায় বসে গোপন তথ্য ফাঁস করছে তারা আসলে ইরানের পক্ষেই কাজ করছে।”

মিডিয়ার অবস্থান প্রতিবেদন

The New York Times এবং CNN-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার প্রধান অংশগুলো নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল আগেই। এমনকি হামলার আগেই ইরান এ ধরনের হামলার আশঙ্কা করেছিল এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি হিসেবে কয়েকটি কেন্দ্রে পারমাণবিক উপাদান স্থানান্তর করেছিল।

CNN জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলা অত্যন্ত নির্ভুল হলেও ইরান এ ধরনের হামলা মোকাবেলার জন্য পূর্ব প্রস্তুত ছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পরিকল্পনার তুলনায় অনেক কম হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতামত: রাজনৈতিক প্রভাব বনাম বাস্তবতা

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প এই হামলাকে রাজনৈতিক প্রচার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে নিজেকে একজন ‘সাহসী নেতা’ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, যিনি ইরানের মতো চিরশত্রুর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে দ্বিধা করেন না।

তবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, সামরিক সাফল্য মূল্যায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং বাস্তব প্রমাণই শেষ কথা।

ইরানে মার্কিন হামলার সফলতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন দ্বিধাবিভক্ত প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। একদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর সহযোগীরা এই হামলাকে ‘পুরোপুরি সফল’ দাবি করছেন, অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার রিপোর্ট বলছে এই সাফল্য কেবল সীমিত এবং সাময়িক। সত্য কী, তা হয়তো আসন্ন দিনগুলোতে স্পষ্ট হবে—যখন আন্তর্জাতিক পরিদর্শকরা বা নতুন স্যাটেলাইট ফুটেজের মাধ্যমে হামলার প্রকৃত প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে। তবে এটুকু নিশ্চিত—এই ঘটনাটি কেবল সামরিক নয়, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

ইরানে হামলার সফলতা না ব্যর্থতা? সিএনএন-নিউ ইয়র্ক টাইমস একত্রিত হয়ে চরম মিথ্যাচার করেছে: ট্রাম্প

Update Time : ১১:২৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

10fc92d3a73f7dfc1e997e7cc6fcfd0d 685b7773e5da1

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এই অভিযান কতটা সফল হয়েছে, তা নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। একদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযানে ‘সম্পূর্ণ সাফল্য’ দাবি করছেন, অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (Defense Intelligence Agency – DIA) ও প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে—ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি, বরং এটি সাময়িকভাবে পিছিয়ে গেছে মাত্র।

DIA-এর গোপন রিপোর্ট: আংশিক ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদি নয়

পেন্টাগনের গোপন বিশ্লেষণে DIA জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানা হলেও এসব স্থাপনার বেশিরভাগ প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো চূড়ান্তভাবে ধ্বংস হয়নি। পারমাণবিক কর্মসূচি হয়তো ৬ থেকে ৯ মাসের জন্য বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু তা নির্মূল হয়নি। এই বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে, ইরান চাইলে সীমিত সময়ের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম আবার সচল করতে সক্ষম হবে।

এছাড়াও, স্যাটেলাইট ইমেজ ও সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্সের (SIGINT) মাধ্যমে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ফোর্ডো ও নাতাঞ্জের মতো কেন্দ্রগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটলেও মূল রিঅ্যাক্টর ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ যন্ত্রাংশের একটি বড় অংশ অক্ষত রয়েছে।

ট্রাম্পের বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া: মিডিয়া

গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে রোষানল

এই তথ্য ফাঁস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাম্প ট্রুথ সোশাল-এ একাধিক পোস্ট দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন:

“ফেইক নিউজ CNN এবং ব্যর্থ নিউ ইয়র্ক টাইমস একত্রিত হয়ে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এটি আমেরিকার বিজয়কে ছোট করে দেখানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে!”

তিনি আরও বলেন, “জনগণ এখন বুঝে গেছে যে মিডিয়া কীভাবে সরকারের সফলতাগুলো আড়াল করতে চায়। তাদের এজেন্ডা স্পষ্ট: ট্রাম্পকে খাটো করো, আমেরিকার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করো।”

স্টিভ উইটকফের বক্তব্য: “এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতা

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন:

“গোপন সামরিক তথ্য ফাঁস করে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। এটি শুধুই ঘৃণ্য কাজ নয়, এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া এবং শাস্তির আওতায় আনা উচিত।”

তিনি আরও দাবি করেন, “আমি রিপোর্টগুলো পড়েছি। আমরা ফোর্ডো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছি। বিশেষ করে ফোর্ডোতে ১২টি বাংকার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই বোমাগুলো ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলোর ছাদ ভেদ করে সম্পূর্ণ ধ্বংস সাধন করেছে।”

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া আরও জোরদার

উইটকফের সাক্ষাৎকারের একটি ক্লিপ ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে শেয়ার করে লেখেন:

“ফোর্ডো ধ্বংস হয়েছে, ইসফাহান নিশ্চিহ্ন হয়েছে, নাতাঞ্জ পুড়ে গেছে। যারা বলছে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি, তারা হয় সম্পূর্ণ অজ্ঞ, নয়তো দেশদ্রোহী।”

ট্রাম্প বলেন, “এই অভিযান ছিল পরিকল্পিত, অত্যন্ত সফল এবং ইরানের পারমাণবিক স্বপ্নের উপর একটা শক্তিশালী আঘাত। এখন যারা মিডিয়ায় বসে গোপন তথ্য ফাঁস করছে তারা আসলে ইরানের পক্ষেই কাজ করছে।”

মিডিয়ার অবস্থান প্রতিবেদন

The New York Times এবং CNN-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার প্রধান অংশগুলো নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল আগেই। এমনকি হামলার আগেই ইরান এ ধরনের হামলার আশঙ্কা করেছিল এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি হিসেবে কয়েকটি কেন্দ্রে পারমাণবিক উপাদান স্থানান্তর করেছিল।

CNN জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলা অত্যন্ত নির্ভুল হলেও ইরান এ ধরনের হামলা মোকাবেলার জন্য পূর্ব প্রস্তুত ছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পরিকল্পনার তুলনায় অনেক কম হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতামত: রাজনৈতিক প্রভাব বনাম বাস্তবতা

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প এই হামলাকে রাজনৈতিক প্রচার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে নিজেকে একজন ‘সাহসী নেতা’ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, যিনি ইরানের মতো চিরশত্রুর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে দ্বিধা করেন না।

তবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, সামরিক সাফল্য মূল্যায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং বাস্তব প্রমাণই শেষ কথা।

ইরানে মার্কিন হামলার সফলতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন দ্বিধাবিভক্ত প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। একদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর সহযোগীরা এই হামলাকে ‘পুরোপুরি সফল’ দাবি করছেন, অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার রিপোর্ট বলছে এই সাফল্য কেবল সীমিত এবং সাময়িক। সত্য কী, তা হয়তো আসন্ন দিনগুলোতে স্পষ্ট হবে—যখন আন্তর্জাতিক পরিদর্শকরা বা নতুন স্যাটেলাইট ফুটেজের মাধ্যমে হামলার প্রকৃত প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে। তবে এটুকু নিশ্চিত—এই ঘটনাটি কেবল সামরিক নয়, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share