যুদ্ধই নেতানিয়াহুর টিকে থাকার শেষ আশ্রয়!

- Update Time : ১২:২৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
- / ১০১ Time View
ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ঘটেছে এক রূপান্তরমূলক পরিবর্তন। দেশটির দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক সংকট, সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ও যুদ্ধ ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ—সবকিছু যেন ম্লান হয়ে গেছে এক যুদ্ধ ঘোষণায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে বলছেন, “নেতানিয়াহুর জীবনের সবচেয়ে কৌশলী ও সাহসী রাজনৈতিক জুয়া”—যে জুয়া হয়তো সাময়িকভাবে সফল হয়েছে, কিন্তু যার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার ঘোর অন্ধকারে ঢাকা।
রাজনৈতিক অবস্থা বদলানোর নাটকীয়তা
মাত্র এক সপ্তাহ আগেও নেতানিয়াহুর ডানপন্থী জোট সরকার সংসদে আস্থা ভোটে পড়ে গিয়েছিল। দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত এই সরকার গাজা যুদ্ধ পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে জনরোষের মুখে পড়ে। ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক হতাশা এবং বিভাজন তৈরি হয়েছিল, যার মধ্যে হাজার হাজার রিজার্ভ সেনাও দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল সর্বত্র।
কিন্তু বৃহস্পতিবার এক কঠিন সমঝোতার মাধ্যমে সরকার আস্থা ভোটে টিকে যায়। সোমবার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবও ব্যর্থ হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই নাটকীয় পরিবর্তনের মূল কারণ হলো—ইরানের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর আচমকা ও সরাসরি সামরিক অভিযান।
জাতীয় ঐক্যের আবরণে বাস্তবতা আড়াল
এই যুদ্ধ ইসরায়েলের রাজনীতিতে এমন এক ধরনের ‘জাতীয় ঐক্য’ সৃষ্টি করেছে, যা পূর্বে দেখা যায়নি। প্রধান বিরোধী দলগুলোও এখন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে, অন্তত যুদ্ধ ইস্যুতে। এমনকি মধ্যপন্থী ও বামপন্থী নেতারাও যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যা ইসরায়েলের জন্য ঐতিহাসিক ব্যতিক্রম।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ শুধু যুদ্ধের সমর্থনই দেননি, বরং যুক্তরাষ্ট্রকেও এতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান এখন কৌশলগত বাধ্যবাধকতা। লাপিদ ও নেতানিয়াহুর করমর্দনের ছবি দেশের রাজনৈতিক মেরুকরণে এক নতুন মোড় আনছে।
আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের কোনো বিভক্তি নেই, না রাজনৈতিকভাবে, না আদর্শিকভাবে। আমরা সবাই একই লক্ষ্যে একতাবদ্ধ—ইরানকে প্রতিহত করা।”
সংখ্যালঘুদের অবস্থান ও বিরোধী কণ্ঠের দুর্ভোগ
তবে এই তথাকথিত ‘ঐক্যের চিত্র’ পুরোপুরি বাস্তব নয়। সংখ্যালঘু আরব দলের এমপি আইদা টুমা-সুলাইমান স্পষ্ট করে বলেন, “আমরাই একমাত্র দল যারা এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছি। বাকি সবাই যুদ্ধের নেশায় মত্ত। এমনকি যারা নিজেদের ‘শান্তিবাদী’ বলে দাবি করত, তারাও এখন যুদ্ধের পক্ষ নিচ্ছে।”
এই অবস্থাকে অনেকে ‘গণতান্ত্রিক ভণ্ডামি’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। যুদ্ধের আবহে বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে, ভিন্নমতকে দেশদ্রোহিতার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ফলে যে সংখ্যালঘু বা মানবাধিকারপন্থী গোষ্ঠীগুলো নেতানিয়াহুর আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস করেছিল, তাদের কণ্ঠও ক্রমে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে।
নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক কৌশল: পলায়ন না প্রতিরোধ?
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ চলছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিমূলক লেনদেন, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি অভিযোগে আদালতে বিচার চলছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নেতানিয়াহু এই মামলাগুলোকেই আড়াল করতে চাইছেন। এক ধরনের ‘ওয়াগ দ্য ডগ’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে—যেখানে দেশের ভেতরের সমস্যাকে চাপা দিতে বাহিরে যুদ্ধ জড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
নিমরড ফ্লাশেনবার্গ, একজন প্রথিতযশা ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “নেতানিয়াহুর যুদ্ধনীতি আসলে একটি জনমত কৌশল। তিনি জানেন, ইরানকে শত্রু হিসেবে তুলে ধরলে দেশের জনগণ কিছুদিনের জন্য হলেও বিভ্রান্ত থাকবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই বিভ্রান্তি কতদিন চলবে?”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যুদ্ধ যদি দীর্ঘ হয়, যদি ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস না হয়, কিংবা যদি যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে না জড়ায়, তবে নেতানিয়াহু আবার জনরোষের মুখে পড়বেন। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”
আন্তর্জাতিক সমীকরণ ও জটিলতা
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরিসরেও বেশ কিছু উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো সরাসরি যুদ্ধজড়িত না হলেও, তাদের প্রতিক্রিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এমন এক সময়ে যখন পরিস্থিতি টলমলে, তখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বড় একটি আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধ যদি সিরিয়া, লেবানন কিংবা হুথিদের মাধ্যমে ইয়েমেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকেও টেনে আনতে পারে। ফলে নেতানিয়াহুর জন্য যুদ্ধের লাভের চাইতে ক্ষতির ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়।
শেষ কথাঃ রাজনীতি না বাস্তবতা?
বর্তমানে যুদ্ধই যেন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জীবনের শেষ আশ্রয়। শান্তি নেই, স্থায়ীত্ব নেই, শুধু এক অনিশ্চিত যুদ্ধের ভিতরেই তিনি নিজের ভবিষ্যৎ খুঁজছেন। কিন্তু ইতিহাস বলে, যুদ্ধ কেবল সাময়িকভাবে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে পারে—চিরস্থায়ী নয়। যখন ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে, যখন অর্থনীতি ধ্বসে পড়বে, যখন মৃত সৈনিকদের কফিন শহরের রাস্তায় ফিরবে, তখন জাতির মনোভাবও বদলে যাবে। তখন হয়তো জনগণ জিজ্ঞাসা করবে—”এই যুদ্ধ কি আমাদের নিরাপদ করেছে, নাকি ধ্বংস ডেকে এনেছে?”
লেখক: সাইমন স্পিকম্যান করডাল
সূত্র: আলজাজিরা
Please Share This Post in Your Social Media

যুদ্ধই নেতানিয়াহুর টিকে থাকার শেষ আশ্রয়!

ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ঘটেছে এক রূপান্তরমূলক পরিবর্তন। দেশটির দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক সংকট, সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ও যুদ্ধ ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ—সবকিছু যেন ম্লান হয়ে গেছে এক যুদ্ধ ঘোষণায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে বলছেন, “নেতানিয়াহুর জীবনের সবচেয়ে কৌশলী ও সাহসী রাজনৈতিক জুয়া”—যে জুয়া হয়তো সাময়িকভাবে সফল হয়েছে, কিন্তু যার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার ঘোর অন্ধকারে ঢাকা।
রাজনৈতিক অবস্থা বদলানোর নাটকীয়তা
মাত্র এক সপ্তাহ আগেও নেতানিয়াহুর ডানপন্থী জোট সরকার সংসদে আস্থা ভোটে পড়ে গিয়েছিল। দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত এই সরকার গাজা যুদ্ধ পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে জনরোষের মুখে পড়ে। ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক হতাশা এবং বিভাজন তৈরি হয়েছিল, যার মধ্যে হাজার হাজার রিজার্ভ সেনাও দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল সর্বত্র।
কিন্তু বৃহস্পতিবার এক কঠিন সমঝোতার মাধ্যমে সরকার আস্থা ভোটে টিকে যায়। সোমবার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবও ব্যর্থ হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই নাটকীয় পরিবর্তনের মূল কারণ হলো—ইরানের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর আচমকা ও সরাসরি সামরিক অভিযান।
জাতীয় ঐক্যের আবরণে বাস্তবতা আড়াল
এই যুদ্ধ ইসরায়েলের রাজনীতিতে এমন এক ধরনের ‘জাতীয় ঐক্য’ সৃষ্টি করেছে, যা পূর্বে দেখা যায়নি। প্রধান বিরোধী দলগুলোও এখন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে, অন্তত যুদ্ধ ইস্যুতে। এমনকি মধ্যপন্থী ও বামপন্থী নেতারাও যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যা ইসরায়েলের জন্য ঐতিহাসিক ব্যতিক্রম।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ শুধু যুদ্ধের সমর্থনই দেননি, বরং যুক্তরাষ্ট্রকেও এতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান এখন কৌশলগত বাধ্যবাধকতা। লাপিদ ও নেতানিয়াহুর করমর্দনের ছবি দেশের রাজনৈতিক মেরুকরণে এক নতুন মোড় আনছে।
আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের কোনো বিভক্তি নেই, না রাজনৈতিকভাবে, না আদর্শিকভাবে। আমরা সবাই একই লক্ষ্যে একতাবদ্ধ—ইরানকে প্রতিহত করা।”
সংখ্যালঘুদের অবস্থান ও বিরোধী কণ্ঠের দুর্ভোগ
তবে এই তথাকথিত ‘ঐক্যের চিত্র’ পুরোপুরি বাস্তব নয়। সংখ্যালঘু আরব দলের এমপি আইদা টুমা-সুলাইমান স্পষ্ট করে বলেন, “আমরাই একমাত্র দল যারা এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছি। বাকি সবাই যুদ্ধের নেশায় মত্ত। এমনকি যারা নিজেদের ‘শান্তিবাদী’ বলে দাবি করত, তারাও এখন যুদ্ধের পক্ষ নিচ্ছে।”
এই অবস্থাকে অনেকে ‘গণতান্ত্রিক ভণ্ডামি’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। যুদ্ধের আবহে বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে, ভিন্নমতকে দেশদ্রোহিতার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ফলে যে সংখ্যালঘু বা মানবাধিকারপন্থী গোষ্ঠীগুলো নেতানিয়াহুর আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস করেছিল, তাদের কণ্ঠও ক্রমে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে।
নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক কৌশল: পলায়ন না প্রতিরোধ?
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ চলছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিমূলক লেনদেন, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি অভিযোগে আদালতে বিচার চলছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নেতানিয়াহু এই মামলাগুলোকেই আড়াল করতে চাইছেন। এক ধরনের ‘ওয়াগ দ্য ডগ’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে—যেখানে দেশের ভেতরের সমস্যাকে চাপা দিতে বাহিরে যুদ্ধ জড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
নিমরড ফ্লাশেনবার্গ, একজন প্রথিতযশা ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “নেতানিয়াহুর যুদ্ধনীতি আসলে একটি জনমত কৌশল। তিনি জানেন, ইরানকে শত্রু হিসেবে তুলে ধরলে দেশের জনগণ কিছুদিনের জন্য হলেও বিভ্রান্ত থাকবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই বিভ্রান্তি কতদিন চলবে?”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যুদ্ধ যদি দীর্ঘ হয়, যদি ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস না হয়, কিংবা যদি যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে না জড়ায়, তবে নেতানিয়াহু আবার জনরোষের মুখে পড়বেন। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”
আন্তর্জাতিক সমীকরণ ও জটিলতা
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরিসরেও বেশ কিছু উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো সরাসরি যুদ্ধজড়িত না হলেও, তাদের প্রতিক্রিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এমন এক সময়ে যখন পরিস্থিতি টলমলে, তখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বড় একটি আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধ যদি সিরিয়া, লেবানন কিংবা হুথিদের মাধ্যমে ইয়েমেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকেও টেনে আনতে পারে। ফলে নেতানিয়াহুর জন্য যুদ্ধের লাভের চাইতে ক্ষতির ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়।
শেষ কথাঃ রাজনীতি না বাস্তবতা?
বর্তমানে যুদ্ধই যেন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জীবনের শেষ আশ্রয়। শান্তি নেই, স্থায়ীত্ব নেই, শুধু এক অনিশ্চিত যুদ্ধের ভিতরেই তিনি নিজের ভবিষ্যৎ খুঁজছেন। কিন্তু ইতিহাস বলে, যুদ্ধ কেবল সাময়িকভাবে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে পারে—চিরস্থায়ী নয়। যখন ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে, যখন অর্থনীতি ধ্বসে পড়বে, যখন মৃত সৈনিকদের কফিন শহরের রাস্তায় ফিরবে, তখন জাতির মনোভাবও বদলে যাবে। তখন হয়তো জনগণ জিজ্ঞাসা করবে—”এই যুদ্ধ কি আমাদের নিরাপদ করেছে, নাকি ধ্বংস ডেকে এনেছে?”
লেখক: সাইমন স্পিকম্যান করডাল
সূত্র: আলজাজিরা