১ যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী

- Update Time : ১২:১৫:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / ১৩৩ Time View
প্রায় এক যুগ পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী। দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ এক রায়ে দলটির নিবন্ধন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ের মাধ্যমে হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করা হয়েছে, যেখানে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে রায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে।
জামায়াতের পক্ষে আদালতে আইনগত লড়াইয়ে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
রায়ের পর জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে শুধু “আলহামদুলিল্লাহ” লিখে প্রতিক্রিয়া জানান।
শেষ শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবীরা আদালতকে জানান, জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তারা আপিল বিভাগের রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। এছাড়া তারা জানান, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জামায়াতের পুরোনো প্রতীক “দাঁড়িপাল্লা” নির্বাচন কমিশনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে দলটি নিবন্ধন ফিরে পেলেও নতুন প্রতীক নির্বাচন করতে হবে।
তবে জামায়াতের আইনজীবীরা বলছেন, “দাঁড়িপাল্লা” প্রতীক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আদালতের কোনো নির্দিষ্ট রায় নেই, তাই প্রতীক ব্যবহারে তাদের কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জামায়াতের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল করে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এবার আপিল বিভাগ থেকে দলটি আবারও রাজনৈতিক স্বীকৃতি লাভ করলো।
Please Share This Post in Your Social Media

১ যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী

প্রায় এক যুগ পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী। দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ এক রায়ে দলটির নিবন্ধন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ের মাধ্যমে হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করা হয়েছে, যেখানে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে রায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে।
জামায়াতের পক্ষে আদালতে আইনগত লড়াইয়ে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
রায়ের পর জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে শুধু “আলহামদুলিল্লাহ” লিখে প্রতিক্রিয়া জানান।
শেষ শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবীরা আদালতকে জানান, জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তারা আপিল বিভাগের রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। এছাড়া তারা জানান, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জামায়াতের পুরোনো প্রতীক “দাঁড়িপাল্লা” নির্বাচন কমিশনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে দলটি নিবন্ধন ফিরে পেলেও নতুন প্রতীক নির্বাচন করতে হবে।
তবে জামায়াতের আইনজীবীরা বলছেন, “দাঁড়িপাল্লা” প্রতীক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আদালতের কোনো নির্দিষ্ট রায় নেই, তাই প্রতীক ব্যবহারে তাদের কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জামায়াতের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল করে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এবার আপিল বিভাগ থেকে দলটি আবারও রাজনৈতিক স্বীকৃতি লাভ করলো।