সময়: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

৭৫০ জনকে পুশইনের চেষ্টা, বিজিবি ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধে সরে গেল বিএসএফ

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:০৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ১২৮ Time View

9a512e7b502bfcace40bd1c713eac1f0 6826e24016114

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

9a512e7b502bfcace40bd1c713eac1f0 6826e24016114

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে প্রায় ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং স্থানীয় জনগণের দৃঢ় প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় বিএসএফ।

এই ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকার ত্রিপুরা ও রাজস্থানে বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া অন্তত ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করে। এর মধ্যে ত্রিপুরা থেকে ৬০০ জন এবং রাজস্থান থেকে ১৪৮ জনকে বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে পুশইন করার উদ্যোগ নেয় বিএসএফ। ধারণা করা হচ্ছে, অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক, তবে এদের মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীরও উপস্থিতি ছিল।

পুশইনের বিষয়টি জানার পরপরই বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংগঠিত হয়ে সীমান্তে জড়ো হন। সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী এলাকার শত শত মানুষ লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত হন। ফেসবুক লাইভ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহ্বান জানিয়ে আরও অনেককে ঘটনাস্থলে আসতে উৎসাহিত করা হয়।

এত সংখ্যক জনতার উপস্থিতি ও বিজিবির কড়া অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বিএসএফ পিছু হটে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া বলেন, “রাত দুইটার দিকে খবর পেয়ে আমরা এলাকাবাসীকে সতর্ক করি। লোকজন দ্রুত সীমান্তে ছুটে গেলে বিএসএফ সরে যেতে বাধ্য হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”

আরেক ইউপি সদস্য মামুন চৌধুরী জানান, “বিএসএফ পুশইনের চেষ্টা করলে মাইকিং করে মানুষকে সীমান্তে যেতে বলা হয়। জনগণের উপস্থিতিতে তারা পিছু হটে। তবে মোট কতজনকে সেখানে আনা হয়েছিল তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।”

বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, “সীমান্তে বর্তমানে কোনো ধরনের উত্তেজনা নেই। স্থানীয় মানুষ ও বিজিবির তৎপরতায় পুশইন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন সবাই সতর্ক রয়েছে।”

বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ জানান, বিএসএফের পুশইন চেষ্টার খবর পাওয়া মাত্র বিজিবি তৎপরতা শুরু করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারাও পাশে এসে দাঁড়ায়। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

৭৫০ জনকে পুশইনের চেষ্টা, বিজিবি ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধে সরে গেল বিএসএফ

Update Time : ০৩:০৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

9a512e7b502bfcace40bd1c713eac1f0 6826e24016114

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে প্রায় ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং স্থানীয় জনগণের দৃঢ় প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় বিএসএফ।

এই ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকার ত্রিপুরা ও রাজস্থানে বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া অন্তত ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করে। এর মধ্যে ত্রিপুরা থেকে ৬০০ জন এবং রাজস্থান থেকে ১৪৮ জনকে বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে পুশইন করার উদ্যোগ নেয় বিএসএফ। ধারণা করা হচ্ছে, অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক, তবে এদের মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীরও উপস্থিতি ছিল।

পুশইনের বিষয়টি জানার পরপরই বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংগঠিত হয়ে সীমান্তে জড়ো হন। সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী এলাকার শত শত মানুষ লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত হন। ফেসবুক লাইভ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহ্বান জানিয়ে আরও অনেককে ঘটনাস্থলে আসতে উৎসাহিত করা হয়।

এত সংখ্যক জনতার উপস্থিতি ও বিজিবির কড়া অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বিএসএফ পিছু হটে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া বলেন, “রাত দুইটার দিকে খবর পেয়ে আমরা এলাকাবাসীকে সতর্ক করি। লোকজন দ্রুত সীমান্তে ছুটে গেলে বিএসএফ সরে যেতে বাধ্য হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”

আরেক ইউপি সদস্য মামুন চৌধুরী জানান, “বিএসএফ পুশইনের চেষ্টা করলে মাইকিং করে মানুষকে সীমান্তে যেতে বলা হয়। জনগণের উপস্থিতিতে তারা পিছু হটে। তবে মোট কতজনকে সেখানে আনা হয়েছিল তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।”

বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, “সীমান্তে বর্তমানে কোনো ধরনের উত্তেজনা নেই। স্থানীয় মানুষ ও বিজিবির তৎপরতায় পুশইন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন সবাই সতর্ক রয়েছে।”

বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ জানান, বিএসএফের পুশইন চেষ্টার খবর পাওয়া মাত্র বিজিবি তৎপরতা শুরু করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারাও পাশে এসে দাঁড়ায়। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share