আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কঠোর বার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল

- Update Time : ০৩:২৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / ৮৭ Time View
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে।
আজ রবিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। আদালতের এই রায়ে সমাজের সর্বস্তরে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পরিবার, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকার সংস্থা এবং সাধারণ জনগণ এই রায়ের উপর তাদের মতামত দিয়েছেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়া
রায়ের পর, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি কঠোর বার্তা।’ তিনি আরও বলেন, একটি রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি যে ধারণা, এই রায়ের মাধ্যমে সে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হলো।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে এই বার্তা গেল যে, আপনি যত শক্তিশালী হন না কেন, আপনার পেছনে যত শক্তি থাকুক না কেন, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে। ন্যায়বিচার হবেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবরার ফাহাদের মৃত্যু এটাই প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে যে, ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠে সব ফ্যাসিজমকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে পারে।’
আবরারের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আজ আমরা কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার পেলাম। তবে আমাদের সন্তুষ্টি তখনই পূর্ণ হবে, যখন এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই না, আমার ছেলের মতো আর কোনো মায়ের সন্তানকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হোক।’
মামলার পটভূমি
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। ওই রাতেই বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থী খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এরপরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে বলা হয়, আবরারকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হত্যা করা হয়।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
উচ্চ আদালতে আপিল ও চূড়ান্ত রায়
মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানির পর ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর পুনরায় শুনানি শুরু হয়। আজ ১৬ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে।
আইনজীবীরা মনে করেন, এই রায় বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হয়ে থাকবে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যায় করে কেউ রেহাই পাবে না।’ অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক রায়
আবরার হত্যার পর বুয়েট প্রশাসন ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার পরও শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা দেবে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করলেই কেবল সমস্যার সমাধান হবে না; বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আইনের শাসনের প্রতিফলন
বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। এটি শুধু আবরার ফাহাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতিফলন নয়, বরং ছাত্র রাজনীতিতে সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি কঠোর সতর্কবার্তা।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছেন, শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা রোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে বিচার কার্যক্রম যেন দ্রুত শেষ করা হয় এবং রায় কার্যকর হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
আবরারের পরিবার ও সাধারণ জনগণ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে, রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিপক্ষ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
ভবিষ্যতের করণীয়
এই মামলার রায় ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে আরও কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান কার্যকর করতে হবে।
এই রায়ের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতা বন্ধে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের দায়িত্ব আরও বাড়ল। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত এই রায় কার্যকর করা হয় এবং শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী ধরনের নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
Please Share This Post in Your Social Media

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কঠোর বার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে।
আজ রবিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। আদালতের এই রায়ে সমাজের সর্বস্তরে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পরিবার, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকার সংস্থা এবং সাধারণ জনগণ এই রায়ের উপর তাদের মতামত দিয়েছেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়া
রায়ের পর, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি কঠোর বার্তা।’ তিনি আরও বলেন, একটি রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি যে ধারণা, এই রায়ের মাধ্যমে সে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হলো।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে এই বার্তা গেল যে, আপনি যত শক্তিশালী হন না কেন, আপনার পেছনে যত শক্তি থাকুক না কেন, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে। ন্যায়বিচার হবেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবরার ফাহাদের মৃত্যু এটাই প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে যে, ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠে সব ফ্যাসিজমকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে পারে।’
আবরারের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আজ আমরা কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার পেলাম। তবে আমাদের সন্তুষ্টি তখনই পূর্ণ হবে, যখন এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই না, আমার ছেলের মতো আর কোনো মায়ের সন্তানকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হোক।’
মামলার পটভূমি
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। ওই রাতেই বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থী খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এরপরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে বলা হয়, আবরারকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হত্যা করা হয়।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
উচ্চ আদালতে আপিল ও চূড়ান্ত রায়
মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানির পর ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর পুনরায় শুনানি শুরু হয়। আজ ১৬ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে।
আইনজীবীরা মনে করেন, এই রায় বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হয়ে থাকবে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যায় করে কেউ রেহাই পাবে না।’ অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক রায়
আবরার হত্যার পর বুয়েট প্রশাসন ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার পরও শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা দেবে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করলেই কেবল সমস্যার সমাধান হবে না; বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আইনের শাসনের প্রতিফলন
বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। এটি শুধু আবরার ফাহাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতিফলন নয়, বরং ছাত্র রাজনীতিতে সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি কঠোর সতর্কবার্তা।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছেন, শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা রোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে বিচার কার্যক্রম যেন দ্রুত শেষ করা হয় এবং রায় কার্যকর হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
আবরারের পরিবার ও সাধারণ জনগণ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে, রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিপক্ষ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
ভবিষ্যতের করণীয়
এই মামলার রায় ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে আরও কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান কার্যকর করতে হবে।
এই রায়ের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতা বন্ধে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের দায়িত্ব আরও বাড়ল। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত এই রায় কার্যকর করা হয় এবং শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী ধরনের নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।