সময়: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

‘গোল্ড কার্ড’ প্রোগ্রাম,  ঘোষণা করলেন ট্রাম্প, ৫ মিলিয়ন ডলারে আমেরিকার নাগরিকত্ব!

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ১২:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩ Time View

36b2cc0e542c3287780da4782558bd48 67be9cea507f4

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

36b2cc0e542c3287780da4782558bd48 67be9cea507f4

 

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছেন। এটি বিদ্যমান EB-5 ভিসা প্রোগ্রামের বিকল্প হিসেবে চালু করা হয়েছে, যা ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য একটি সহজ ও নির্ভরযোগ্য পথ তৈরি করবে। এই ঘোষণা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, যেখানে সমর্থকরা এর অর্থনৈতিক সুবিধা তুলে ধরছেন, আর সমালোচকরা নৈতিক প্রশ্ন তুলছেন।

গোল্ড কার্ড প্রোগ্রামের মূল বিবরণ

২৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের জন্য মার্কিন স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করা এবং নাগরিকত্ব লাভের পথ সুগম করা। বর্তমান EB-5 কর্মসূচির অধীনে বিনিয়োগকারীদের নির্দিষ্ট সংখ্যক চাকরি তৈরি করতে হয়, তবে গোল্ড কার্ড প্রোগ্রামে এমন শর্ত নেই। ৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা অবিলম্বে বসবাসের অনুমতি এবং দ্রুত নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন।

ট্রাম্প এই প্রোগ্রামের অর্থনৈতিক সুবিধা সম্পর্কে বলেন, “আমরা চাই ধনী ব্যক্তিরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করুক। তারা এই কার্ড কিনতে পারবে এবং নাগরিকত্বের জন্য একটি পরিষ্কার পথ পাবে।” সূত্র জানিয়েছে, প্রোগ্রামের সম্পূর্ণ বিবরণ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

এই কর্মসূচির অধীনে কয়েকটি যোগ্যতা শর্ত থাকতে পারে, যেমন বৈধ আয়ের উৎসের প্রমাণ, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি। এছাড়া, আবেদনকারীদের দেখাতে হবে যে তাদের বিনিয়োগ মার্কিন অর্থনীতিতে কীভাবে অবদান রাখবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে এটি শুধুমাত্র নাগরিকত্বের শর্টকাট নয় বরং প্রকৃত বিনিয়োগ আনার একটি উদ্যোগ।

EB-5 ভিসা প্রোগ্রামের সাথে তুলনা

বর্তমান EB-5 ভিসা প্রোগ্রাম ১৯৯০ সালে চালু হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৮ লাখ থেকে ১.০৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে এবং কমপক্ষে ১০টি চাকরি তৈরি করলে বিনিয়োগকারীরা গ্রীন কার্ড পেতে পারেন। তবে, বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক EB-5 কর্মসূচিকে “অকার্যকর, কল্পিত ও প্রতারণামূলক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি মনে করেন যে নতুন গোল্ড কার্ড উদ্যোগটি আরও কঠোর নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা প্রয়োগ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী দেরি কমাবে।

বিতর্ক সমালোচনা

গোল্ড কার্ড কর্মসূচি ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এটি শুধুমাত্র অতি ধনী ব্যক্তিদের সুবিধা দেবে, যেখানে দক্ষ কর্মী ও মধ্যবিত্ত অভিবাসীদের জন্য আরও কার্যকর অভিবাসন নীতির প্রয়োজন রয়েছে। অনেকে মনে করেন, শুধুমাত্র আর্থিক সামর্থ্যের ভিত্তিতে অভিবাসন সুবিধা দেওয়া ন্যায্যতার পরিপন্থী।

এছাড়া, অর্থ পাচার ও সন্দেহজনক আর্থিক ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব কেনার সুযোগ তৈরি হওয়ার ঝুঁকির কথাও বলা হচ্ছে। রাশিয়ান অলিগার্করা কি এই কর্মসূচির জন্য যোগ্য হবেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “সম্ভবত, হ্যাঁ। আমি কয়েকজন রাশিয়ান অলিগার্ককে চিনি যারা খুব ভালো মানুষ।” এই মন্তব্যের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা ও নৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কর্মসূচি মার্কিন নাগরিকত্বের মূল্য কমিয়ে দিতে পারে এবং অভিবাসন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, বিদ্যমান ভিসা নীতিগুলোর উন্নতির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, যেখানে শুধুমাত্র বিত্তবানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না।

সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব

সমর্থকরা মনে করেন, এই কর্মসূচি মার্কিন অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলার আনবে, পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তারা যুক্তি দেন যে কানাডা, পর্তুগাল এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিও একই ধরনের বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এই কর্মসূচি রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ বাড়াতে, চাকরির সুযোগ তৈরি করতে এবং বিদেশী ব্যবসায় সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন যে ধনী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার ফলে প্রধান শহরগুলোর সম্পত্তির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা সাধারণ নাগরিকদের জন্য আবাসন ব্যয়বহুল করে তুলবে।

আইনি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সাথে সাথে বিভিন্ন আইনি ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি অভিযোগ করতে পারে যে এটি শুধুমাত্র ধনীদের জন্য একধরনের “ভিসা বিক্রির” উদ্যোগ। এদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও সামাজিক সমতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন আইনপ্রণেতারাও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারেন।

এছাড়াও, গোল্ড কার্ডধারীরা সবুজ কার্ডধারীদের মতোই অধিকার পাবেন কিনা, নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে কি নির্দিষ্ট সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হবে – এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।

এই কর্মসূচির সাফল্য মূলত নির্ভর করবে সঠিক নিয়ন্ত্রনের উপর, যাতে এটি ভুল ব্যবহারের শিকার না হয় এবং প্রকৃতপক্ষে আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সামনের মাসগুলোতে বোঝা যাবে এই উদ্যোগটি কি অর্থনৈতিকভাবে ইতিবাচক হবে, নাকি বিত্তবানদের জন্য একটি সুবিধাজনক নীতি হিসেবেই থেকে যাবে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

‘গোল্ড কার্ড’ প্রোগ্রাম,  ঘোষণা করলেন ট্রাম্প, ৫ মিলিয়ন ডলারে আমেরিকার নাগরিকত্ব!

Update Time : ১২:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

36b2cc0e542c3287780da4782558bd48 67be9cea507f4

 

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছেন। এটি বিদ্যমান EB-5 ভিসা প্রোগ্রামের বিকল্প হিসেবে চালু করা হয়েছে, যা ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য একটি সহজ ও নির্ভরযোগ্য পথ তৈরি করবে। এই ঘোষণা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, যেখানে সমর্থকরা এর অর্থনৈতিক সুবিধা তুলে ধরছেন, আর সমালোচকরা নৈতিক প্রশ্ন তুলছেন।

গোল্ড কার্ড প্রোগ্রামের মূল বিবরণ

২৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের জন্য মার্কিন স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করা এবং নাগরিকত্ব লাভের পথ সুগম করা। বর্তমান EB-5 কর্মসূচির অধীনে বিনিয়োগকারীদের নির্দিষ্ট সংখ্যক চাকরি তৈরি করতে হয়, তবে গোল্ড কার্ড প্রোগ্রামে এমন শর্ত নেই। ৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা অবিলম্বে বসবাসের অনুমতি এবং দ্রুত নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন।

ট্রাম্প এই প্রোগ্রামের অর্থনৈতিক সুবিধা সম্পর্কে বলেন, “আমরা চাই ধনী ব্যক্তিরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করুক। তারা এই কার্ড কিনতে পারবে এবং নাগরিকত্বের জন্য একটি পরিষ্কার পথ পাবে।” সূত্র জানিয়েছে, প্রোগ্রামের সম্পূর্ণ বিবরণ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

এই কর্মসূচির অধীনে কয়েকটি যোগ্যতা শর্ত থাকতে পারে, যেমন বৈধ আয়ের উৎসের প্রমাণ, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি। এছাড়া, আবেদনকারীদের দেখাতে হবে যে তাদের বিনিয়োগ মার্কিন অর্থনীতিতে কীভাবে অবদান রাখবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে এটি শুধুমাত্র নাগরিকত্বের শর্টকাট নয় বরং প্রকৃত বিনিয়োগ আনার একটি উদ্যোগ।

EB-5 ভিসা প্রোগ্রামের সাথে তুলনা

বর্তমান EB-5 ভিসা প্রোগ্রাম ১৯৯০ সালে চালু হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৮ লাখ থেকে ১.০৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে এবং কমপক্ষে ১০টি চাকরি তৈরি করলে বিনিয়োগকারীরা গ্রীন কার্ড পেতে পারেন। তবে, বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক EB-5 কর্মসূচিকে “অকার্যকর, কল্পিত ও প্রতারণামূলক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি মনে করেন যে নতুন গোল্ড কার্ড উদ্যোগটি আরও কঠোর নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা প্রয়োগ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী দেরি কমাবে।

বিতর্ক সমালোচনা

গোল্ড কার্ড কর্মসূচি ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এটি শুধুমাত্র অতি ধনী ব্যক্তিদের সুবিধা দেবে, যেখানে দক্ষ কর্মী ও মধ্যবিত্ত অভিবাসীদের জন্য আরও কার্যকর অভিবাসন নীতির প্রয়োজন রয়েছে। অনেকে মনে করেন, শুধুমাত্র আর্থিক সামর্থ্যের ভিত্তিতে অভিবাসন সুবিধা দেওয়া ন্যায্যতার পরিপন্থী।

এছাড়া, অর্থ পাচার ও সন্দেহজনক আর্থিক ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব কেনার সুযোগ তৈরি হওয়ার ঝুঁকির কথাও বলা হচ্ছে। রাশিয়ান অলিগার্করা কি এই কর্মসূচির জন্য যোগ্য হবেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “সম্ভবত, হ্যাঁ। আমি কয়েকজন রাশিয়ান অলিগার্ককে চিনি যারা খুব ভালো মানুষ।” এই মন্তব্যের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা ও নৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কর্মসূচি মার্কিন নাগরিকত্বের মূল্য কমিয়ে দিতে পারে এবং অভিবাসন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, বিদ্যমান ভিসা নীতিগুলোর উন্নতির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, যেখানে শুধুমাত্র বিত্তবানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না।

সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব

সমর্থকরা মনে করেন, এই কর্মসূচি মার্কিন অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলার আনবে, পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তারা যুক্তি দেন যে কানাডা, পর্তুগাল এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিও একই ধরনের বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এই কর্মসূচি রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ বাড়াতে, চাকরির সুযোগ তৈরি করতে এবং বিদেশী ব্যবসায় সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন যে ধনী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার ফলে প্রধান শহরগুলোর সম্পত্তির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা সাধারণ নাগরিকদের জন্য আবাসন ব্যয়বহুল করে তুলবে।

আইনি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সাথে সাথে বিভিন্ন আইনি ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি অভিযোগ করতে পারে যে এটি শুধুমাত্র ধনীদের জন্য একধরনের “ভিসা বিক্রির” উদ্যোগ। এদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও সামাজিক সমতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন আইনপ্রণেতারাও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারেন।

এছাড়াও, গোল্ড কার্ডধারীরা সবুজ কার্ডধারীদের মতোই অধিকার পাবেন কিনা, নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে কি নির্দিষ্ট সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হবে – এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।

এই কর্মসূচির সাফল্য মূলত নির্ভর করবে সঠিক নিয়ন্ত্রনের উপর, যাতে এটি ভুল ব্যবহারের শিকার না হয় এবং প্রকৃতপক্ষে আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সামনের মাসগুলোতে বোঝা যাবে এই উদ্যোগটি কি অর্থনৈতিকভাবে ইতিবাচক হবে, নাকি বিত্তবানদের জন্য একটি সুবিধাজনক নীতি হিসেবেই থেকে যাবে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share