২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল: আদালতের পর্যবেক্ষণ

- Update Time : ০৫:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৯১ Time View

রাজধানীর নয়াপল্টনে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সহিংস সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালত বলেন, “২৮ তারিখে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল, আমরা তা টেলিভিশনের ফুটেজে দেখেছি।“
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক এডিসি (অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার) শাহেন শাহ’র রিমান্ড শুনানিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এই মন্তব্য করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, সংঘর্ষের দিন পুলিশের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত এবং পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা শাহেন শাহ’র ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তবে আদালত শুনানি শেষে তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
আদালতে উপস্থাপিত তথ্য ও পুলিশের ভূমিকা
শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী দাবি করেন, “২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রমনায় ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও শাহেন শাহ দায়িত্বে ছিলেন। তারা বিএনপির সমাবেশ বানচাল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করেন। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মেয়র জাহাঙ্গীর বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালান।“
তিনি আরও বলেন, “প্রতিবার
পিপির ভাষ্য অনুযায়ী, পুলিশের ভূমিকা ছিল ‘একতরফা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
শাহেন শাহ’র পক্ষের যুক্তি ও আদালতের প্রতিক্রিয়া
শাহেন শাহ’র আইনজীবী শুনানিতে বলেন, “এজাহারে তার নাম কোথাও উল্লেখ নেই। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন। শুধুমাত্র দায়িত্ব পালন করতেই তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।“
এসময় আদালত বলেন, “আপনাদের পিটিশনে উল্লেখ আছে যে, ওই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল, আমরা তা টেলিভিশনের ফুটেজে দেখেছি। এটি অস্বীকার করা যাবে না।“
অর্থাৎ, আদালত সরাসরি স্বীকার করেছেন যে, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল এবং তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ ভিডিও ফুটেজে পাওয়া গেছে।
অন্য মামলাগুলোর রিমান্ড আদেশ ও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার
২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলাগুলোর পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলাগুলোরও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী নেতাদের নাম উঠে আসে এবং আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভাটারা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলা:
- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মিরপুর থানার আসিফ হত্যা মামলা:
- এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তেজগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলা:
- ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তারকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
কাফরুল থানার রাব্বি ও মাহবুব হাসান মামুন হত্যা মামলা:
- কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফা ও সহ–সভাপতি তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুকে ২ দিন করে মোট ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ভাটারা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলা:
- আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ সিন্ধু ও হাবিবুর রহমানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার আদেশ
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দেশের প্রভাবশালী কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গ্রেফতার দেখানো ব্যক্তিরা:
- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন (আদাবর থানার হত্যা মামলা)
- সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু (খিলগাঁও থানার হত্যা মামলা)
- সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান (মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলা)
- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতি (রামপুরা থানার হত্যাচেষ্টা মামলা)
- মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাইমুল ইসলাম রাসেল (মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলা)
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতার আদেশের প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গ্রেফতার আদেশ ও রিমান্ডের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতে সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও বিচারের আওতায় আসছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি পক্ষপাতহীনভাবে তদন্ত চালায়, তবে অনেক উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তির নাম উঠে আসতে পারে।“
আদালত মন্তব্য করেছেন, ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল, যা টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে।
সাবেক এডিসি শাহেন শাহ’কে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী নেতাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি, মন্ত্রীসহ পাঁচজন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজনৈতিক মহলে এসব গ্রেফতার ও রিমান্ডের বিষয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এই মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ গতি–প্রকৃতি কী হয়, তা সময়ই বলে দেবে।
Please Share This Post in Your Social Media

২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল: আদালতের পর্যবেক্ষণ


রাজধানীর নয়াপল্টনে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সহিংস সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালত বলেন, “২৮ তারিখে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল, আমরা তা টেলিভিশনের ফুটেজে দেখেছি।“
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক এডিসি (অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার) শাহেন শাহ’র রিমান্ড শুনানিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এই মন্তব্য করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, সংঘর্ষের দিন পুলিশের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত এবং পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা শাহেন শাহ’র ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তবে আদালত শুনানি শেষে তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
আদালতে উপস্থাপিত তথ্য ও পুলিশের ভূমিকা
শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী দাবি করেন, “২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রমনায় ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও শাহেন শাহ দায়িত্বে ছিলেন। তারা বিএনপির সমাবেশ বানচাল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করেন। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মেয়র জাহাঙ্গীর বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালান।“
তিনি আরও বলেন, “প্রতিবার
পিপির ভাষ্য অনুযায়ী, পুলিশের ভূমিকা ছিল ‘একতরফা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
শাহেন শাহ’র পক্ষের যুক্তি ও আদালতের প্রতিক্রিয়া
শাহেন শাহ’র আইনজীবী শুনানিতে বলেন, “এজাহারে তার নাম কোথাও উল্লেখ নেই। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন। শুধুমাত্র দায়িত্ব পালন করতেই তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।“
এসময় আদালত বলেন, “আপনাদের পিটিশনে উল্লেখ আছে যে, ওই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল, আমরা তা টেলিভিশনের ফুটেজে দেখেছি। এটি অস্বীকার করা যাবে না।“
অর্থাৎ, আদালত সরাসরি স্বীকার করেছেন যে, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল এবং তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ ভিডিও ফুটেজে পাওয়া গেছে।
অন্য মামলাগুলোর রিমান্ড আদেশ ও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার
২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলাগুলোর পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলাগুলোরও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী নেতাদের নাম উঠে আসে এবং আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভাটারা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলা:
- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মিরপুর থানার আসিফ হত্যা মামলা:
- এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তেজগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলা:
- ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তারকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
কাফরুল থানার রাব্বি ও মাহবুব হাসান মামুন হত্যা মামলা:
- কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফা ও সহ–সভাপতি তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুকে ২ দিন করে মোট ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ভাটারা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলা:
- আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ সিন্ধু ও হাবিবুর রহমানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার আদেশ
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দেশের প্রভাবশালী কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গ্রেফতার দেখানো ব্যক্তিরা:
- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন (আদাবর থানার হত্যা মামলা)
- সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু (খিলগাঁও থানার হত্যা মামলা)
- সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান (মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলা)
- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতি (রামপুরা থানার হত্যাচেষ্টা মামলা)
- মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাইমুল ইসলাম রাসেল (মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলা)
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতার আদেশের প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গ্রেফতার আদেশ ও রিমান্ডের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতে সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও বিচারের আওতায় আসছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি পক্ষপাতহীনভাবে তদন্ত চালায়, তবে অনেক উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তির নাম উঠে আসতে পারে।“
আদালত মন্তব্য করেছেন, ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল, যা টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে।
সাবেক এডিসি শাহেন শাহ’কে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী নেতাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি, মন্ত্রীসহ পাঁচজন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজনৈতিক মহলে এসব গ্রেফতার ও রিমান্ডের বিষয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এই মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ গতি–প্রকৃতি কী হয়, তা সময়ই বলে দেবে।