বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার মান ও মূল্য নিয়ে গণশুনানির দাবি

- Update Time : ০৯:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১১৪ Time View
বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার গুণগত মান, মূল্য এবং সেবার ধরন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে গণশুনানির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে এই গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।
স্টারলিংক সেবার আবেদন ও সরকারের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক ইতিমধ্যে বিটিআরসিতে ব্যবসার অনুমতির জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে, ফলে সম্ভাবনা রয়েছে যে আগামী মাসেই বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালু হতে পারে।
সেবার ধরন, মান ও মূল্য সম্পর্কে অনিশ্চয়তা
তবে তিনি আরও বলেন, এই স্যাটেলাইট সেবার ধরন, মান, গ্রাহকদের খরচ, ডেটা লিমিট, স্পিড, সিগন্যাল ট্রান্সমিশন, ল্যাটেনসি, বিশেষ করে প্যাকেজ ও মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো জনগণের কাছে পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই। তাই সেবাটি চালু হওয়ার আগেই গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য দেশের মূল্য নির্ধারণের দৃষ্টান্ত
বিবৃতিতে জানানো হয়, ভুটান
- ‘রেসিডেনসিয়াল লাইট’ প্যাকেজের মাসিক খরচ ৩ হাজার গুলট্রাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪,২০০ টাকা), যেখানে ইন্টারনেটের গতি ২৩ এমবিপিএস থেকে ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত।
- স্ট্যান্ডার্ড রেসিডেনসিয়াল প্যাকেজের জন্য ৪,২০০ গুলট্রাম (প্রায় ৫,৮০০ টাকা), যার গতি ২৫ এমবিপিএস থেকে ১১০ এমবিপিএস পর্যন্ত।
বাংলাদেশে মূল্যের সামঞ্জস্য নিয়ে উদ্বেগ
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, ভুটানে নির্ধারিত এই মূল্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, সাধারণত বাংলাদেশে মূল্য নির্ধারণ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর ভিত্তি করে করা হয়, তবে করহার এবং জনগণের আর্থসামাজিক সামর্থ্য ভিন্ন। তাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনা করে জনগণের মতামত গ্রহণ করা জরুরি।
গণশুনানির গুরুত্ব
গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের মতামত সংগ্রহ করে সেবা ও মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। তারা আরও জানিয়েছে, দু-এক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে বিটিআরসিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেওয়া হবে।
Please Share This Post in Your Social Media

বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার মান ও মূল্য নিয়ে গণশুনানির দাবি

বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার গুণগত মান, মূল্য এবং সেবার ধরন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে গণশুনানির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে এই গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।
স্টারলিংক সেবার আবেদন ও সরকারের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক ইতিমধ্যে বিটিআরসিতে ব্যবসার অনুমতির জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে, ফলে সম্ভাবনা রয়েছে যে আগামী মাসেই বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালু হতে পারে।
সেবার ধরন, মান ও মূল্য সম্পর্কে অনিশ্চয়তা
তবে তিনি আরও বলেন, এই স্যাটেলাইট সেবার ধরন, মান, গ্রাহকদের খরচ, ডেটা লিমিট, স্পিড, সিগন্যাল ট্রান্সমিশন, ল্যাটেনসি, বিশেষ করে প্যাকেজ ও মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো জনগণের কাছে পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই। তাই সেবাটি চালু হওয়ার আগেই গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য দেশের মূল্য নির্ধারণের দৃষ্টান্ত
বিবৃতিতে জানানো হয়, ভুটান
- ‘রেসিডেনসিয়াল লাইট’ প্যাকেজের মাসিক খরচ ৩ হাজার গুলট্রাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪,২০০ টাকা), যেখানে ইন্টারনেটের গতি ২৩ এমবিপিএস থেকে ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত।
- স্ট্যান্ডার্ড রেসিডেনসিয়াল প্যাকেজের জন্য ৪,২০০ গুলট্রাম (প্রায় ৫,৮০০ টাকা), যার গতি ২৫ এমবিপিএস থেকে ১১০ এমবিপিএস পর্যন্ত।
বাংলাদেশে মূল্যের সামঞ্জস্য নিয়ে উদ্বেগ
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, ভুটানে নির্ধারিত এই মূল্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, সাধারণত বাংলাদেশে মূল্য নির্ধারণ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর ভিত্তি করে করা হয়, তবে করহার এবং জনগণের আর্থসামাজিক সামর্থ্য ভিন্ন। তাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনা করে জনগণের মতামত গ্রহণ করা জরুরি।
গণশুনানির গুরুত্ব
গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের মতামত সংগ্রহ করে সেবা ও মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। তারা আরও জানিয়েছে, দু-এক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে বিটিআরসিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেওয়া হবে।