প্রথম আলোর অপপ্রচারে জীবন থেকে ১৭ বছর হারালেন বাবর

- Update Time : ০৫:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৯৯ Time View
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপপ্রচার চালিয়ে গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্র তৈরি করেছিল প্রথম আলো। বিশেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। এই ষড়যন্ত্রের কারণে বাবরের জীবন থেকে মূল্যবান ১৭টি বছর কেড়ে নেওয়া হয়, যা তাকে দীর্ঘ কারাবাসে বাধ্য করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল দেশের বিরাজনীতিকরণের একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
প্রথম আলোর ভূমিকা ও ষড়যন্ত্র
২০০১ সালে বিএনপির ভূমিধস বিজয়ের পর লুৎফুজ্জামান বাবর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার দক্ষ প্রশাসনিক ভূমিকার জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু ২০০৭ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পরিচালিত একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত, এই সময়ে তৎকালীন সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দীন সরকারের নেপথ্যে থাকা প্রথম আলো এবং কিছু বিদেশি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী বাবরের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
প্রথম আলো তাদের উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাটি সাজিয়ে তোলে। বিতর্কিত সাংবাদিক টিপু সুলতান তার প্রতিবেদনে ‘জজ মিয়া নাটক’ তৈরি করেন, যেখানে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ গঠন করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের একটি বড় কৌশল।
অবশেষে, দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবাসের পর সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাবর সম্পূর্ণ খালাস পান। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মামলাটির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। এটি প্রমাণিত হয় যে, বাবরকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছিল।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ষড়যন্ত্র
২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাটি প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের অপসাংবাদিকতার আরেকটি দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। পত্রিকাগুলো এই ঘটনার সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি সরকারের জড়িত থাকার মিথ্যা প্রচারণা চালায়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু বিদেশি সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আদালতে পরবর্তী শুনানিতে দেখা যায়, বাবরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি ছিল না। তবুও, প্রথম আলো ও তাদের সহযোগী গণমাধ্যমগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালিয়ে গেছে।
প্রথম আলোর মিথ্যাচার ও অপসাংবাদিকতা
২০০৭ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বাবরের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবর দলীয়করণের মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ দিয়েছেন এবং ঘুষ লেনদেন করেছেন। অথচ, এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছিল না। পরবর্তী সময়ে তদন্তে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়। এটি ছিল বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য প্রথম আলোর একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রথম আলোর উদ্দেশ্য ছিল বিএনপিকে জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করা।
প্রথম আলোর নতুন কৌশল ও অতীত মুছে ফেলার চেষ্টা
বর্তমানে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার তাদের অতীত অপকর্ম ঢাকতে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। তারা এখন বিএনপিপ্রেমী হওয়ার চেষ্টা করছে এবং বেগম জিয়ার প্রতি ‘মেকি সহানুভূতি’ দেখাচ্ছে। ২০০৭ ও ২০০৮ সালের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনগুলো অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ তাদের পূর্ববর্তী ভূমিকা ভুলে যায়। কিন্তু যারা প্রথম আলোর অপসাংবাদিকতার শিকার হয়েছেন, তারা এখনো এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশের জনগণ এখনো অপেক্ষা করছে, যাতে প্রথম আলোর মতো অপসাংবাদিকতা করা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটে।
সুত্রঃবাংলাদেশ প্রতিদিন
Please Share This Post in Your Social Media

প্রথম আলোর অপপ্রচারে জীবন থেকে ১৭ বছর হারালেন বাবর

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপপ্রচার চালিয়ে গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্র তৈরি করেছিল প্রথম আলো। বিশেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। এই ষড়যন্ত্রের কারণে বাবরের জীবন থেকে মূল্যবান ১৭টি বছর কেড়ে নেওয়া হয়, যা তাকে দীর্ঘ কারাবাসে বাধ্য করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল দেশের বিরাজনীতিকরণের একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
প্রথম আলোর ভূমিকা ও ষড়যন্ত্র
২০০১ সালে বিএনপির ভূমিধস বিজয়ের পর লুৎফুজ্জামান বাবর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার দক্ষ প্রশাসনিক ভূমিকার জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু ২০০৭ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পরিচালিত একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত, এই সময়ে তৎকালীন সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দীন সরকারের নেপথ্যে থাকা প্রথম আলো এবং কিছু বিদেশি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী বাবরের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা
প্রথম আলো তাদের উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাটি সাজিয়ে তোলে। বিতর্কিত সাংবাদিক টিপু সুলতান তার প্রতিবেদনে ‘জজ মিয়া নাটক’ তৈরি করেন, যেখানে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ গঠন করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের একটি বড় কৌশল।
অবশেষে, দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবাসের পর সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাবর সম্পূর্ণ খালাস পান। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মামলাটির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। এটি প্রমাণিত হয় যে, বাবরকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছিল।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ষড়যন্ত্র
২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাটি প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের অপসাংবাদিকতার আরেকটি দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। পত্রিকাগুলো এই ঘটনার সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি সরকারের জড়িত থাকার মিথ্যা প্রচারণা চালায়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু বিদেশি সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আদালতে পরবর্তী শুনানিতে দেখা যায়, বাবরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি ছিল না। তবুও, প্রথম আলো ও তাদের সহযোগী গণমাধ্যমগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালিয়ে গেছে।
প্রথম আলোর মিথ্যাচার ও অপসাংবাদিকতা
২০০৭ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বাবরের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবর দলীয়করণের মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ দিয়েছেন এবং ঘুষ লেনদেন করেছেন। অথচ, এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছিল না। পরবর্তী সময়ে তদন্তে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়। এটি ছিল বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য প্রথম আলোর একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রথম আলোর উদ্দেশ্য ছিল বিএনপিকে জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করা।
প্রথম আলোর নতুন কৌশল ও অতীত মুছে ফেলার চেষ্টা
বর্তমানে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার তাদের অতীত অপকর্ম ঢাকতে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। তারা এখন বিএনপিপ্রেমী হওয়ার চেষ্টা করছে এবং বেগম জিয়ার প্রতি ‘মেকি সহানুভূতি’ দেখাচ্ছে। ২০০৭ ও ২০০৮ সালের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনগুলো অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ তাদের পূর্ববর্তী ভূমিকা ভুলে যায়। কিন্তু যারা প্রথম আলোর অপসাংবাদিকতার শিকার হয়েছেন, তারা এখনো এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশের জনগণ এখনো অপেক্ষা করছে, যাতে প্রথম আলোর মতো অপসাংবাদিকতা করা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটে।
সুত্রঃবাংলাদেশ প্রতিদিন