ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা দাবিকারী এই লেখিকা কে?

- Update Time : ১১:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১৭৩ Time View

আমেরিকান লেখিকা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, কারণ তিনি দাবি করেছেন যে তিনি ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা। ৩১ বছর বয়সী এই লেখিকা শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, এক্স (সাবেক টুইটার) এ পোস্ট দিয়ে এই দাবি করেন। এই অপ্রত্যাশিত প্রকাশনা ব্যাপক আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি করেছে, যা তার বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং এটি মাস্কের ব্যক্তিগত জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
একটি চমকপ্রদ প্রকাশনা
তার পোস্টে সেন্ট ক্লেয়ার লেখেন, “পাঁচ মাস আগে, আমি পৃথিবীতে একটি নতুন শিশুকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। ইলন মাস্ক হলেন শিশুর বাবা। আমাদের সন্তানের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমি আগে এটি প্রকাশ করিনি।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, এই তথ্য গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তাদের সন্তানের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য। নির্দিষ্ট কোনো প্রকাশনার নাম উল্লেখ না করে তিনি ট্যাবলয়েড মিডিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ট্যাবলয়েড মিডিয়া যেকোনো মূল্যে উত্তেজনাপূর্ণ খবর তৈরি করতে চায়।”
তিনি মিডিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আমি চাই আমার সন্তান স্বাভাবিক ও নিরাপদ পরিবেশে বড় হোক। তাই আমি মিডিয়াকে আমাদের সন্তানের গোপনীয়তা সম্মান জানাতে এবং আক্রমণাত্মক প্রতিবেদন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের অগ্রাধিকার হলো আমাদের সন্তানের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করা।”

গণপ্রতিক্রিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন
তার পোস্টের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়, যেখানে ব্যবহারকারীরা তার দাবির সত্যতা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ একে একটি প্রচার কৌশল হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন যে তার বক্তব্যে কিছু সত্য থাকতে পারে।
বিভিন্ন উচ্চ-প্রোফাইল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকরা এই বিতর্ক নিয়ে মতামত দিয়েছেন, কেউ কেউ তার পোস্টের সময় ও দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মাস্ক, যিনি সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা, এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি, যা আরও জল্পনা সৃষ্টি করছে।
সেন্ট ক্লেয়ারের দাবির সত্যতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে একটি পাবলিসিটি স্টান্ট বলে মনে করছেন, আবার কেউ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি কেন এতদিন চুপ ছিলেন এবং এখন কেন হঠাৎ করে এই তথ্য প্রকাশ করলেন।

এক্স থেকে সাময়িক বিরতি
প্রাথমিক পোস্টের মাত্র তিন ঘণ্টা পর, সেন্ট ক্লেয়ার আরেকটি বার্তা পোস্ট করে তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান এবং ঘোষণা করেন যে তিনি কিছু সময়ের জন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে বিরতি নিচ্ছেন। তিনি লেখেন, “আমি আমার পরিবারের সাথে সময় কাটাব এবং কিছুদিনের জন্য লগ অফ করব।”
তার এই ঘোষণার ফলে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়, কারণ অনেক ব্যবহারকারী অনুমান করছেন যে তিনি হয়তো প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অথবা তিনি মিডিয়ার আরও তদন্ত এড়িয়ে যেতে চাইছেন। এক্স থেকে তার বিদায় আরও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।
ইলন মাস্কের ক্রমবর্ধমান পরিবার
যদি তার দাবি সত্যি প্রমাণিত হয়, তবে এটি হবে ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তান। টেসলা প্রতিষ্ঠাতার প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের সাথে পাঁচ সন্তান রয়েছে, পপ তারকা গ্রিমসের সাথে তিনটি সন্তান রয়েছে, এবং নিউরালিংক নির্বাহী শিভন জিলিসের সাথেও কয়েকটি সন্তান রয়েছে।
মাস্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে জোরালো মত প্রকাশ করেছেন এবং বহু সাক্ষাৎকারে তার বড় পরিবারের কথা খোলামেলা বলেছেন। তবে, তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে সংযত থেকেছেন। তার সম্পর্ক ও পারিবারিক বিষয়গুলো প্রায়ই মিডিয়ার আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে, তবে তিনি খুব কম ক্ষেত্রেই এসব বিতর্ক নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেন।
আইনি ও ব্যক্তিগত প্রভাব
বর্তমান পর্যন্ত, মাস্ক সেন্ট ক্লেয়ারের দাবির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই দাবি গুরুত্ব পায়, তাহলে বিষয়টি আইনি লড়াই পর্যন্ত গড়াতে পারে, যেখানে পিতৃত্ব পরীক্ষার মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। মাস্কের উচ্চ-প্রোফাইল অবস্থান এবং তাকে ঘিরে থাকা গণমাধ্যমের আগ্রহের কারণে, তার যে কোনো স্বীকৃতি বা প্রত্যাখ্যান আন্তর্জাতিক শিরোনাম তৈরি করতে পারে।
এদিকে, সেন্ট ক্লেয়ারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, কারণ অনেকেই তার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান এবং মাস্কের সাথে তার পূর্বের কোনো সংযোগের প্রমাণ খুঁজছেন। কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে যে, তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায় কিনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মাস্ক যদি এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেন, তবে এটি একটি আইনি লড়াইয়ে রূপ নিতে পারে, যেখানে ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হতে পারে। অন্যদিকে, যদি তিনি বিষয়টি উপেক্ষা করেন, তবে এই গুজব দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে এবং তার পাবলিক ইমেজের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সাম্প্রতিক প্রকাশনার সত্যতা এখনো নিশ্চিত বা অস্বীকার করা হয়নি, যা সেন্ট ক্লেয়ারের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা সৃষ্টি করেছে। কাহিনী আরও কীভাবে গড়াবে তা সময়ই বলে দেবে, তবে এটি নিশ্চিত যে এই ঘটনা ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত জীবন এবং গণমাধ্যমের নজরদারির মধ্যে জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে, অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এটি কি কেবলমাত্র একটি গুজব, নাকি সত্যিই ইলন মাস্কের আরেকটি সন্তান রয়েছে? মাস্ক যদি এই দাবির বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেন, তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। অন্যদিকে, যদি তিনি একে উপেক্ষা করেন, তবে এটি আরও দীর্ঘায়িত আলোচনার জন্ম দিতে পারে। সামনের দিনগুলোতে এই কাহিনীর পরবর্তী ধাপ কী হয়, তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।
Please Share This Post in Your Social Media

ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা দাবিকারী এই লেখিকা কে?


আমেরিকান লেখিকা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, কারণ তিনি দাবি করেছেন যে তিনি ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা। ৩১ বছর বয়সী এই লেখিকা শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, এক্স (সাবেক টুইটার) এ পোস্ট দিয়ে এই দাবি করেন। এই অপ্রত্যাশিত প্রকাশনা ব্যাপক আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি করেছে, যা তার বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং এটি মাস্কের ব্যক্তিগত জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
একটি চমকপ্রদ প্রকাশনা
তার পোস্টে সেন্ট ক্লেয়ার লেখেন, “পাঁচ মাস আগে, আমি পৃথিবীতে একটি নতুন শিশুকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। ইলন মাস্ক হলেন শিশুর বাবা। আমাদের সন্তানের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমি আগে এটি প্রকাশ করিনি।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, এই তথ্য গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তাদের সন্তানের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য। নির্দিষ্ট কোনো প্রকাশনার নাম উল্লেখ না করে তিনি ট্যাবলয়েড মিডিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ট্যাবলয়েড মিডিয়া যেকোনো মূল্যে উত্তেজনাপূর্ণ খবর তৈরি করতে চায়।”
তিনি মিডিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আমি চাই আমার সন্তান স্বাভাবিক ও নিরাপদ পরিবেশে বড় হোক। তাই আমি মিডিয়াকে আমাদের সন্তানের গোপনীয়তা সম্মান জানাতে এবং আক্রমণাত্মক প্রতিবেদন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের অগ্রাধিকার হলো আমাদের সন্তানের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করা।”

গণপ্রতিক্রিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন
তার পোস্টের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়, যেখানে ব্যবহারকারীরা তার দাবির সত্যতা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ একে একটি প্রচার কৌশল হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন যে তার বক্তব্যে কিছু সত্য থাকতে পারে।
বিভিন্ন উচ্চ-প্রোফাইল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকরা এই বিতর্ক নিয়ে মতামত দিয়েছেন, কেউ কেউ তার পোস্টের সময় ও দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মাস্ক, যিনি সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা, এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি, যা আরও জল্পনা সৃষ্টি করছে।
সেন্ট ক্লেয়ারের দাবির সত্যতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে একটি পাবলিসিটি স্টান্ট বলে মনে করছেন, আবার কেউ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি কেন এতদিন চুপ ছিলেন এবং এখন কেন হঠাৎ করে এই তথ্য প্রকাশ করলেন।

এক্স থেকে সাময়িক বিরতি
প্রাথমিক পোস্টের মাত্র তিন ঘণ্টা পর, সেন্ট ক্লেয়ার আরেকটি বার্তা পোস্ট করে তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান এবং ঘোষণা করেন যে তিনি কিছু সময়ের জন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে বিরতি নিচ্ছেন। তিনি লেখেন, “আমি আমার পরিবারের সাথে সময় কাটাব এবং কিছুদিনের জন্য লগ অফ করব।”
তার এই ঘোষণার ফলে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়, কারণ অনেক ব্যবহারকারী অনুমান করছেন যে তিনি হয়তো প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অথবা তিনি মিডিয়ার আরও তদন্ত এড়িয়ে যেতে চাইছেন। এক্স থেকে তার বিদায় আরও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।
ইলন মাস্কের ক্রমবর্ধমান পরিবার
যদি তার দাবি সত্যি প্রমাণিত হয়, তবে এটি হবে ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তান। টেসলা প্রতিষ্ঠাতার প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের সাথে পাঁচ সন্তান রয়েছে, পপ তারকা গ্রিমসের সাথে তিনটি সন্তান রয়েছে, এবং নিউরালিংক নির্বাহী শিভন জিলিসের সাথেও কয়েকটি সন্তান রয়েছে।
মাস্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে জোরালো মত প্রকাশ করেছেন এবং বহু সাক্ষাৎকারে তার বড় পরিবারের কথা খোলামেলা বলেছেন। তবে, তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে সংযত থেকেছেন। তার সম্পর্ক ও পারিবারিক বিষয়গুলো প্রায়ই মিডিয়ার আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে, তবে তিনি খুব কম ক্ষেত্রেই এসব বিতর্ক নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেন।
আইনি ও ব্যক্তিগত প্রভাব
বর্তমান পর্যন্ত, মাস্ক সেন্ট ক্লেয়ারের দাবির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই দাবি গুরুত্ব পায়, তাহলে বিষয়টি আইনি লড়াই পর্যন্ত গড়াতে পারে, যেখানে পিতৃত্ব পরীক্ষার মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। মাস্কের উচ্চ-প্রোফাইল অবস্থান এবং তাকে ঘিরে থাকা গণমাধ্যমের আগ্রহের কারণে, তার যে কোনো স্বীকৃতি বা প্রত্যাখ্যান আন্তর্জাতিক শিরোনাম তৈরি করতে পারে।
এদিকে, সেন্ট ক্লেয়ারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, কারণ অনেকেই তার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান এবং মাস্কের সাথে তার পূর্বের কোনো সংযোগের প্রমাণ খুঁজছেন। কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে যে, তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায় কিনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মাস্ক যদি এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেন, তবে এটি একটি আইনি লড়াইয়ে রূপ নিতে পারে, যেখানে ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হতে পারে। অন্যদিকে, যদি তিনি বিষয়টি উপেক্ষা করেন, তবে এই গুজব দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে এবং তার পাবলিক ইমেজের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সাম্প্রতিক প্রকাশনার সত্যতা এখনো নিশ্চিত বা অস্বীকার করা হয়নি, যা সেন্ট ক্লেয়ারের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা সৃষ্টি করেছে। কাহিনী আরও কীভাবে গড়াবে তা সময়ই বলে দেবে, তবে এটি নিশ্চিত যে এই ঘটনা ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত জীবন এবং গণমাধ্যমের নজরদারির মধ্যে জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে, অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এটি কি কেবলমাত্র একটি গুজব, নাকি সত্যিই ইলন মাস্কের আরেকটি সন্তান রয়েছে? মাস্ক যদি এই দাবির বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেন, তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। অন্যদিকে, যদি তিনি একে উপেক্ষা করেন, তবে এটি আরও দীর্ঘায়িত আলোচনার জন্ম দিতে পারে। সামনের দিনগুলোতে এই কাহিনীর পরবর্তী ধাপ কী হয়, তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।