ট্রাম্পের দাবি: ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার অংশ হয়ে যেতে পারে

- Update Time : ১২:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১০৮ Time View
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার অংশ হয়ে যেতে পারে। সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প, যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “তারা হয়তো একটি চুক্তি করতে পারে, হয়তো করতে নাও পারে। তারা চাইলে রাশিয়ার অংশ হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।” তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিশ্বনেতাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও প্রধান বৈঠকসমূহ
এই সপ্তাহের শেষের দিকে, ট্রাম্পের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, এই বৈঠক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ত্বরান্বিত করতে পারে। জেলেনস্কির মুখপাত্র সেরগি নিকিফোরভ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন যে এই বৈঠক শুক্রবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা, আর্থিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক আলোচনা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
ট্রাম্প প্রকাশ করেছেন যে তার বিশেষ দূত কিথ কেলোগ যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি প্রস্তাব প্রস্তুত করছেন। এই পরিকল্পনার অধীনে কেলোগ ২০ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন সফর করবেন। তবে তার সফরের বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে পর্দার আড়ালে কূটনৈতিক আলোচনা হতে পারে যা শান্তির একটি রূপরেখা তৈরি করতে সহায়ক হবে।
অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বিবেচনা
এদিকে, ট্রাম্প শুধুমাত্র একটি সমঝোতা নয় বরং একটি লাভজনক চুক্তির কথাও ভাবছেন। তিনি মন্তব্য করেন, “আমরা ইউক্রেনকে যে পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি, তার বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করাই স্বাভাবিক। কিয়েভের খনিজ সম্পদ, বিশেষ করে বিরল খনিজ দিয়ে এর বিনিময় মূল্য দেওয়া যেতে পারে।” তার এই বক্তব্য মার্কিন সরকারের কিছু অংশের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান মনোভাব প্রতিফলিত করে যে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তা অর্থনৈতিক বা কৌশলগত সুবিধার সাথে সংযুক্ত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, “আমরা সেখানে এত টাকা ঢালছি, আর আমি সেটার বিনিময়ে কিছু চাই। আমি তাদের বলেছি, আমি সমপরিমাণ কিছু চাই, যেমন—৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ, এবং তারা মূলত এতে সম্মত হয়েছে।”
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই ধরনের একটি দৃষ্টিভঙ্গি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে পারে এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সহায়তাকে সম্পদ শোষণের সাথে সংযুক্ত করার একটি নজির সৃষ্টি করতে পারে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে আলোচনা দেশটির দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
ইউক্রেনের অবস্থান ও নিরাপত্তা উদ্বেগ
তবে, ইউক্রেন এই আলোচনায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সাথে যে কোনো সমঝোতায় যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইছেন। ইউক্রেন আশঙ্কা করছে যে, যদি এই চুক্তিতে ন্যাটো সদস্যপদ বা শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি না থাকে, তাহলে রাশিয়া নতুন আক্রমণের জন্য সময় পেয়ে যাবে।
গতকাল একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেনের জন্য সত্যিকারের শান্তি ও কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দরকার। এটি শুধুমাত্র ইউক্রেনের জন্য নয়, বরং সমগ্র স্বাধীন বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তার এই বক্তব্য ইউক্রেনের পশ্চিমা সামরিক সহায়তার চাহিদা এবং ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য একটি আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা চুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
ইউক্রেন আরও উল্লেখ করেছে যে, যেকোনো শান্তি আলোচনা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে। ইউরোপীয় নেতারাও একই ধরনের মত প্রকাশ করেছেন এবং রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী ভূরাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার পক্ষে সুবিধাজনক হতে পারে এমন কোনো চুক্তির বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের মধ্যস্থতা কি সফল হবে?
যদিও ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের জন্য মধ্যস্থতা করতে চান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো সরাসরি আলোচনায় বসতে সম্মত হননি। এখনো পর্যন্ত ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই পদ্ধতি ইউক্রেন এবং ন্যাটো মিত্রদের থেকে প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে পারে, যারা ইউক্রেনের স্বাধীনতা নিয়ে আপস করতে চাইবে না।
এছাড়া, ট্রাম্পের পূর্ববর্তী পররাষ্ট্রনীতি সিদ্ধান্তগুলোর ইতিহাস তার মধ্যস্থতার দক্ষতা সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু বিশ্লেষক বলছেন, তার লেনদেনকেন্দ্রিক কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের দূরে সরিয়ে দিতে পারে, যা একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তিচুক্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন করে তুলতে পারে।
যেহেতু সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে, বিশ্ব এখন নজর রাখছে যে ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এই সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারবে নাকি এটি আরও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
সূত্র: আল–জাজিরা, এএফপি, রয়টার্স
Please Share This Post in Your Social Media

ট্রাম্পের দাবি: ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার অংশ হয়ে যেতে পারে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার অংশ হয়ে যেতে পারে। সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প, যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “তারা হয়তো একটি চুক্তি করতে পারে, হয়তো করতে নাও পারে। তারা চাইলে রাশিয়ার অংশ হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।” তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিশ্বনেতাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও প্রধান বৈঠকসমূহ
এই সপ্তাহের শেষের দিকে, ট্রাম্পের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, এই বৈঠক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ত্বরান্বিত করতে পারে। জেলেনস্কির মুখপাত্র সেরগি নিকিফোরভ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন যে এই বৈঠক শুক্রবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা, আর্থিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক আলোচনা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
ট্রাম্প প্রকাশ করেছেন যে তার বিশেষ দূত কিথ কেলোগ যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি প্রস্তাব প্রস্তুত করছেন। এই পরিকল্পনার অধীনে কেলোগ ২০ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন সফর করবেন। তবে তার সফরের বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে পর্দার আড়ালে কূটনৈতিক আলোচনা হতে পারে যা শান্তির একটি রূপরেখা তৈরি করতে সহায়ক হবে।
অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বিবেচনা
এদিকে, ট্রাম্প শুধুমাত্র একটি সমঝোতা নয় বরং একটি লাভজনক চুক্তির কথাও ভাবছেন। তিনি মন্তব্য করেন, “আমরা ইউক্রেনকে যে পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি, তার বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করাই স্বাভাবিক। কিয়েভের খনিজ সম্পদ, বিশেষ করে বিরল খনিজ দিয়ে এর বিনিময় মূল্য দেওয়া যেতে পারে।” তার এই বক্তব্য মার্কিন সরকারের কিছু অংশের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান মনোভাব প্রতিফলিত করে যে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তা অর্থনৈতিক বা কৌশলগত সুবিধার সাথে সংযুক্ত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, “আমরা সেখানে এত টাকা ঢালছি, আর আমি সেটার বিনিময়ে কিছু চাই। আমি তাদের বলেছি, আমি সমপরিমাণ কিছু চাই, যেমন—৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ, এবং তারা মূলত এতে সম্মত হয়েছে।”
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই ধরনের একটি দৃষ্টিভঙ্গি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে পারে এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সহায়তাকে সম্পদ শোষণের সাথে সংযুক্ত করার একটি নজির সৃষ্টি করতে পারে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে আলোচনা দেশটির দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
ইউক্রেনের অবস্থান ও নিরাপত্তা উদ্বেগ
তবে, ইউক্রেন এই আলোচনায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সাথে যে কোনো সমঝোতায় যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইছেন। ইউক্রেন আশঙ্কা করছে যে, যদি এই চুক্তিতে ন্যাটো সদস্যপদ বা শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি না থাকে, তাহলে রাশিয়া নতুন আক্রমণের জন্য সময় পেয়ে যাবে।
গতকাল একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেনের জন্য সত্যিকারের শান্তি ও কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দরকার। এটি শুধুমাত্র ইউক্রেনের জন্য নয়, বরং সমগ্র স্বাধীন বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তার এই বক্তব্য ইউক্রেনের পশ্চিমা সামরিক সহায়তার চাহিদা এবং ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য একটি আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা চুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
ইউক্রেন আরও উল্লেখ করেছে যে, যেকোনো শান্তি আলোচনা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে। ইউরোপীয় নেতারাও একই ধরনের মত প্রকাশ করেছেন এবং রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী ভূরাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার পক্ষে সুবিধাজনক হতে পারে এমন কোনো চুক্তির বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের মধ্যস্থতা কি সফল হবে?
যদিও ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের জন্য মধ্যস্থতা করতে চান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো সরাসরি আলোচনায় বসতে সম্মত হননি। এখনো পর্যন্ত ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই পদ্ধতি ইউক্রেন এবং ন্যাটো মিত্রদের থেকে প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে পারে, যারা ইউক্রেনের স্বাধীনতা নিয়ে আপস করতে চাইবে না।
এছাড়া, ট্রাম্পের পূর্ববর্তী পররাষ্ট্রনীতি সিদ্ধান্তগুলোর ইতিহাস তার মধ্যস্থতার দক্ষতা সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু বিশ্লেষক বলছেন, তার লেনদেনকেন্দ্রিক কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের দূরে সরিয়ে দিতে পারে, যা একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তিচুক্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন করে তুলতে পারে।
যেহেতু সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে, বিশ্ব এখন নজর রাখছে যে ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এই সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারবে নাকি এটি আরও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
সূত্র: আল–জাজিরা, এএফপি, রয়টার্স