সময়: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্য আওয়ামী শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ বললেন প্রধান উপদেষ্টা

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:২১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৯ Time View

476667357 8980522272044462 4942872944396022884 n

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ যুগের সঙ্গে তুলনা করেছেন। গুম কমিশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই কমিশন আয়নাঘর আবিষ্কার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে।

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধির পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক ইউনূস আরও জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে আয়নাঘরের দলিল সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে এবং যেসব ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এই তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে ভবিষ্যতে বিচারিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন, তাই নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। আপনারা নিজের চোখেই সব দেখেছেন। এক কথায় বলতে গেলে, এটি ছিল এক ভয়াবহ দৃশ্য। মানবিকতার যে ন্যূনতম বোধ, সেটাকে যেন চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা চরম নিষ্ঠুরতার সাক্ষ্য বহন করে।”

তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলকে আইয়ামে জাহিলিয়াত’-এর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আয়নাঘরে

যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে, তা বর্বর যুগের চিত্রকেও হার মানায়। এটি এতটাই নৃশংস যে শুনলেও বিশ্বাস হতে চায় না—এটাই কি আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ?”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই অনেক মানুষকে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে ভয়ংকর নির্যাতন করা হয়েছে।” তিনি জানান, এখন শোনা যাচ্ছে, সারা বাংলাদেশে আরও সাতশ থেকে আটশ আয়নাঘর রয়েছে। আমার ধারণা ছিল এটি একটিমাত্র কেন্দ্র, কিন্তু আসল সংখ্যা নির্ধারণ করাও কঠিন। কতগুলো আমাদের জানা, আর কতগুলো আজও অজানা—তা অনুমান করা মুশকিল।”

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, তিনি আয়নাঘরে উপস্থিত কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেমও এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ ইসলাম, যারা একসময় এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন, তারা নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কক্ষগুলো চিহ্নিত করেছেন।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয় যে অধ্যাপক ইউনূস বুধবার ঢাকা শহরের তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন, যেগুলো অতীতে নির্যাতনকেন্দ্র ও গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন যে, ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমান উত্তরায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ (র‍্যাব-১) কম্পাউন্ডে অবস্থিত একটি ছোট আয়নাঘর ও গোপন কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই জায়গাটিতে তাঁকে আট বছর ধরে গোপনে আটকে রাখা হয়েছিল বলে তিনি জানান। আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাঁর সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন।

পরিদর্শনকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন, তাই নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। আপনারা নিজের চোখে যা দেখেছেন, তা নিজেই এক নির্মম সত্য। যদি এক কথায় এটিকে বর্ণনা করতে হয়, তাহলে বলব—এটি এক ভয়াবহ দৃশ্য। মানবিকতা মনুষ্যত্বকে চিরতরে মুছে ফেলার জন্য যা যা করা সম্ভব, এখানে তা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনাই চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরণ।”

তিনি আরও বলেন, প্রতিবার যখন এই ধরনের ঘটনার কথা শুনি, তখনও অবিশ্বাস্য মনে হয়—এটাই কি আমাদের দেশ? আমাদের সমাজ?”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালকে আইয়ামে জাহিলিয়াত’-এর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই শাসনামলে যে নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হয়েছে, তা বর্বর যুগের চিত্রকেও হার মানায়। আয়নাঘরে যা ঘটেছে, তা এক চরম নৃশংসতার উদাহরণ। প্রতিবারই এসব ঘটনা শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হয়—এটাই কি আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ?”

তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষকে বিনা কারণে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, সারা বাংলাদেশে আরও সাতশ থেকে আটশ আয়নাঘর রয়েছে। আমার ধারণা ছিল এটি একটিমাত্র কেন্দ্র, কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করাও কঠিন। কতগুলো আমাদের জানা, আর কতগুলো আজও অজানা—তা অনুমান করাও কঠিন।”

গুম কমিশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই কমিশন আয়নাঘর আবিষ্কার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ বলতে যা বোঝায়, বিগত সরকার সেই অন্ধকার যুগকে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে।”

তিনি জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে আয়নাঘরের নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হবে এবং যারা এই ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে সংরক্ষণ করা হবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি আয়নাঘরে উপস্থিত কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেম এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নাহিদ ইসলাম, যারা একসময় এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন, তারা নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কক্ষগুলো চিহ্নিত করেছেন বলে জানান।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্য আওয়ামী শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ বললেন প্রধান উপদেষ্টা

Update Time : ০৫:২১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ যুগের সঙ্গে তুলনা করেছেন। গুম কমিশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই কমিশন আয়নাঘর আবিষ্কার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে।

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধির পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক ইউনূস আরও জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে আয়নাঘরের দলিল সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে এবং যেসব ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এই তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে ভবিষ্যতে বিচারিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন, তাই নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। আপনারা নিজের চোখেই সব দেখেছেন। এক কথায় বলতে গেলে, এটি ছিল এক ভয়াবহ দৃশ্য। মানবিকতার যে ন্যূনতম বোধ, সেটাকে যেন চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা চরম নিষ্ঠুরতার সাক্ষ্য বহন করে।”

তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলকে আইয়ামে জাহিলিয়াত’-এর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আয়নাঘরে

যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে, তা বর্বর যুগের চিত্রকেও হার মানায়। এটি এতটাই নৃশংস যে শুনলেও বিশ্বাস হতে চায় না—এটাই কি আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ?”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই অনেক মানুষকে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে ভয়ংকর নির্যাতন করা হয়েছে।” তিনি জানান, এখন শোনা যাচ্ছে, সারা বাংলাদেশে আরও সাতশ থেকে আটশ আয়নাঘর রয়েছে। আমার ধারণা ছিল এটি একটিমাত্র কেন্দ্র, কিন্তু আসল সংখ্যা নির্ধারণ করাও কঠিন। কতগুলো আমাদের জানা, আর কতগুলো আজও অজানা—তা অনুমান করা মুশকিল।”

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, তিনি আয়নাঘরে উপস্থিত কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেমও এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ ইসলাম, যারা একসময় এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন, তারা নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কক্ষগুলো চিহ্নিত করেছেন।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয় যে অধ্যাপক ইউনূস বুধবার ঢাকা শহরের তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন, যেগুলো অতীতে নির্যাতনকেন্দ্র ও গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন যে, ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমান উত্তরায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ (র‍্যাব-১) কম্পাউন্ডে অবস্থিত একটি ছোট আয়নাঘর ও গোপন কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই জায়গাটিতে তাঁকে আট বছর ধরে গোপনে আটকে রাখা হয়েছিল বলে তিনি জানান। আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাঁর সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন।

পরিদর্শনকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন, তাই নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। আপনারা নিজের চোখে যা দেখেছেন, তা নিজেই এক নির্মম সত্য। যদি এক কথায় এটিকে বর্ণনা করতে হয়, তাহলে বলব—এটি এক ভয়াবহ দৃশ্য। মানবিকতা মনুষ্যত্বকে চিরতরে মুছে ফেলার জন্য যা যা করা সম্ভব, এখানে তা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনাই চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরণ।”

তিনি আরও বলেন, প্রতিবার যখন এই ধরনের ঘটনার কথা শুনি, তখনও অবিশ্বাস্য মনে হয়—এটাই কি আমাদের দেশ? আমাদের সমাজ?”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালকে আইয়ামে জাহিলিয়াত’-এর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই শাসনামলে যে নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হয়েছে, তা বর্বর যুগের চিত্রকেও হার মানায়। আয়নাঘরে যা ঘটেছে, তা এক চরম নৃশংসতার উদাহরণ। প্রতিবারই এসব ঘটনা শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হয়—এটাই কি আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ?”

তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষকে বিনা কারণে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, সারা বাংলাদেশে আরও সাতশ থেকে আটশ আয়নাঘর রয়েছে। আমার ধারণা ছিল এটি একটিমাত্র কেন্দ্র, কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করাও কঠিন। কতগুলো আমাদের জানা, আর কতগুলো আজও অজানা—তা অনুমান করাও কঠিন।”

গুম কমিশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই কমিশন আয়নাঘর আবিষ্কার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ বলতে যা বোঝায়, বিগত সরকার সেই অন্ধকার যুগকে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে।”

তিনি জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে আয়নাঘরের নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হবে এবং যারা এই ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে সংরক্ষণ করা হবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি আয়নাঘরে উপস্থিত কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেম এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নাহিদ ইসলাম, যারা একসময় এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন, তারা নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কক্ষগুলো চিহ্নিত করেছেন বলে জানান।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share