সময়: বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

গুলশানের বিলাসবহুল ভবনে টিউলিপ সিদ্দিকের থাকার তথ্য ফাঁস: দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:০৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৩০ Time View

1739096360 d6d55a82f7452d28747769bddd786a39

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

 

ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে একটি বিলাসবহুল ১০ তলা ভবনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের থাকার তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি এই ভবনের বাসিন্দা ছিলেন, যা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গুলশান এলাকা ঢাকার অন্যতম ব্যয়বহুল ও মর্যাদাপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত, যেখানে কূটনৈতিক মিশন, বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই এলাকায় সম্পত্তির মালিকানা সাধারণত উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

প্রশ্নবিদ্ধ সম্পত্তি

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার গুলশান এলাকা কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের পাশাপাশি বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের নাম যে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের তালিকায় ছিল, তার সামনে লেখা রয়েছে ‘সিদ্দিকস’। জানা গেছে, তিনি ২০১৪ সালে এই ভবনটি কেনেন। সেই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের উত্তর লন্ডনের ক্যামডেনের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একজন কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ঢাকার অভিজাত এলাকায় এমন একটি বিলাসবহুল সম্পত্তি কেনার সামর্থ্য অর্জন করেছিলেন।

ভবনের মালিকানা নামকরণ

প্রতিবেদন অনুসারে, ভবনটি টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিক, তার দাদা অথবা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে নামকরণ করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। গুলশান এলাকার একজন বাসিন্দার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এটি পরিবারের এক সদস্যের মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত হয়েছিল। তবে বিশেষভাবে এটি কার নামে নিবন্ধিত, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। অনেকেই ধারণা করছেন, ভবনটির মালিকানা হয়তো তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই ঘুরছে, তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ এবং দেশটির সাবেক দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী। বর্তমানেও তিনি লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয়, যা তাকে ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি উভয় রাজনীতিতেই একটি প্রভাবশালী অবস্থানে রেখেছে।

আলোচনা প্রতিক্রিয়া

এই সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপির ঢাকায় বিলাসবহুল ভবনের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটি তার ব্যক্তিগত সম্পদ নাকি পরিবারের বিনিয়োগ, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এছাড়া, তার এই সম্পদের উৎস কী এবং তিনি কীভাবে এটি অর্জন করেছেন, সে সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিষয়টি তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে সম্পদের স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, এই খবর নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া এবং রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হতে পারে।

তবে এ বিষয়ে এখনো টিউলিপ সিদ্দিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দ্য টেলিগ্রাফের এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

গুলশানের বিলাসবহুল ভবনে টিউলিপ সিদ্দিকের থাকার তথ্য ফাঁস: দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন

Update Time : ০৫:০৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

 

ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে একটি বিলাসবহুল ১০ তলা ভবনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের থাকার তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি এই ভবনের বাসিন্দা ছিলেন, যা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গুলশান এলাকা ঢাকার অন্যতম ব্যয়বহুল ও মর্যাদাপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত, যেখানে কূটনৈতিক মিশন, বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই এলাকায় সম্পত্তির মালিকানা সাধারণত উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

প্রশ্নবিদ্ধ সম্পত্তি

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার গুলশান এলাকা কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের পাশাপাশি বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের নাম যে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের তালিকায় ছিল, তার সামনে লেখা রয়েছে ‘সিদ্দিকস’। জানা গেছে, তিনি ২০১৪ সালে এই ভবনটি কেনেন। সেই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের উত্তর লন্ডনের ক্যামডেনের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একজন কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ঢাকার অভিজাত এলাকায় এমন একটি বিলাসবহুল সম্পত্তি কেনার সামর্থ্য অর্জন করেছিলেন।

ভবনের মালিকানা নামকরণ

প্রতিবেদন অনুসারে, ভবনটি টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিক, তার দাদা অথবা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে নামকরণ করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। গুলশান এলাকার একজন বাসিন্দার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এটি পরিবারের এক সদস্যের মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত হয়েছিল। তবে বিশেষভাবে এটি কার নামে নিবন্ধিত, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। অনেকেই ধারণা করছেন, ভবনটির মালিকানা হয়তো তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই ঘুরছে, তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ এবং দেশটির সাবেক দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী। বর্তমানেও তিনি লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয়, যা তাকে ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি উভয় রাজনীতিতেই একটি প্রভাবশালী অবস্থানে রেখেছে।

আলোচনা প্রতিক্রিয়া

এই সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপির ঢাকায় বিলাসবহুল ভবনের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটি তার ব্যক্তিগত সম্পদ নাকি পরিবারের বিনিয়োগ, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এছাড়া, তার এই সম্পদের উৎস কী এবং তিনি কীভাবে এটি অর্জন করেছেন, সে সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিষয়টি তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে সম্পদের স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, এই খবর নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া এবং রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হতে পারে।

তবে এ বিষয়ে এখনো টিউলিপ সিদ্দিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দ্য টেলিগ্রাফের এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share