গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

- Update Time : ১১:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৮৭ Time View
গাজীপুরের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও সাবেক মন্ত্রী ও মেয়রের সমর্থকরা তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
হামলার ঘটনা ও আহতদের অবস্থা
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হামলার শিকার হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
হামলার জন্য ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়ী করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অনুগত সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
সমাবেশে যোগদানের আহ্বান
ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার রাজবাড়ি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, “গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী মোজাম্মেল-জাহাঙ্গীরের চাপাতি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন সারা দেশের আপামর ছাত্র-জনতা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।”
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও নাগরিক সমাজ এর নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
অন্যদিকে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেছেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা প্রথমে ভাঙচুর চালিয়েছে, যার ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ভূমিকা
বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
পরবর্তী করণীয়
গাজীপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন আরও বেগবান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আগামী দিনে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। পাশাপাশি, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত না হলে ছাত্র আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media

গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গাজীপুরের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও সাবেক মন্ত্রী ও মেয়রের সমর্থকরা তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
হামলার ঘটনা ও আহতদের অবস্থা
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হামলার শিকার হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
হামলার জন্য ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়ী করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অনুগত সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
সমাবেশে যোগদানের আহ্বান
ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার রাজবাড়ি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, “গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী মোজাম্মেল-জাহাঙ্গীরের চাপাতি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন সারা দেশের আপামর ছাত্র-জনতা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।”
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও নাগরিক সমাজ এর নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
অন্যদিকে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেছেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা প্রথমে ভাঙচুর চালিয়েছে, যার ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ভূমিকা
বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
পরবর্তী করণীয়
গাজীপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন আরও বেগবান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আগামী দিনে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। পাশাপাশি, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত না হলে ছাত্র আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।