মহাকাশে সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট পাঠানো ৭ দেশ: আধিপত্যের নতুন যুগ

- Update Time : ১২:৪৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১৬৬ Time View
১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক–১ মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। সেই থেকে শুরু হয় মহাকাশ গবেষণার এক নতুন যুগ। গত ৬৭ বছরে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মহাকাশ প্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বর্তমানে ৮০টির বেশি দেশ নিজেদের উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করেছে, তবে কিছু দেশ এই ক্ষেত্রে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। নিচে সর্বাধিক স্যাটেলাইট পাঠানো শীর্ষ সাতটি দেশের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো।
১. যুক্তরাষ্ট্র (প্রায় ৩,০০০ স্যাটেলাইট) – মহাকাশ গবেষণার শীর্ষস্থানীয় দেশ
যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ গবেষণায় একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং বর্তমানে প্রায় ৩,০০০ স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে। বিশ্ববিখ্যাত সংস্থা NASA ছাড়াও SpaceX, Blue Origin, OneWeb-এর মতো বেসরকারি কোম্পানিগুলো এই ক্ষেত্রে বিপুল ভূমিকা রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট প্রকল্প:
সামরিক স্যাটেলাইট: পেন্টাগন এবং ন্যাশনাল রিকনাইসেন্স অফিস (NRO) গোপন নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য স্যাটেলাইট পরিচালনা করে।
ইন্টারনেট ও যোগাযোগ: SpaceX-এর Starlink প্রকল্প পৃথিবীর সর্বত্র ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা: NASA-এর James Webb ও Hubble Space Telescope মহাবিশ্বের গভীর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
চন্দ্র
২. চীন (প্রায় ৫০০ স্যাটেলাইট) – দ্রুত অগ্রসরমান মহাকাশ শক্তি
চীন প্রায় ৫০০ স্যাটেলাইট পরিচালনা করে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের পর মহাকাশ গবেষণায় সবচেয়ে সক্রিয় দেশ। China National Space Administration (CNSA) দেশটির মহাকাশ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
চীনের মহাকাশ গবেষণায় সাফল্য:
সামরিক নজরদারি: চীনের স্যাটেলাইটগুলো জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
নেভিগেশন: চীনের নিজস্ব BeiDou নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে, যা GPS-এর বিকল্প।
চাঁদ ও মঙ্গল অভিযান: Chang’e ও Tianwen-1 মিশন চীনের প্রযুক্তিগত শক্তি প্রদর্শন করছে।
স্পেস স্টেশন: চীন নিজস্ব Tiangong Space Station স্থাপন করেছে।
চীনের লক্ষ্য আগামী দশকে মহাকাশ অনুসন্ধানে বিশ্ব নেতৃত্বে আসা।
৩. রাশিয়া (১৬৯ স্যাটেলাইট) – মহাকাশ গবেষণার পথিকৃৎ
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট স্পুটনিক–১ পাঠিয়েছিল এবং ইউরি গাগারিনকে মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানে রাশিয়া ১৬৯টি স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে।
রাশিয়ার প্রধান মহাকাশ প্রকল্প:
GLONASS নেভিগেশন সিস্টেম: GPS-এর বিকল্প হিসেবে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ESA) সিস্টেম পরিচালিত হচ্ছে।
সামরিক ও গোয়েন্দা স্যাটেলাইট: জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য রাশিয়ার নিজস্ব নজরদারি স্যাটেলাইট রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা: রাশিয়া এখনো বিভিন্ন চাঁদ ও মঙ্গল অভিযান পরিচালনা করছে।
রাশিয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) পরিচালনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
৪. যুক্তরাজ্য (১৩৫ স্যাটেলাইট) – ইউরোপের শক্তিশালী মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র
যুক্তরাজ্যের ১৩৫টি স্যাটেলাইট বর্তমানে মহাকাশে রয়েছে, যা মূলত টেলিযোগাযোগ, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ এবং সামরিক নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হয়।
যুক্তরাজ্যের বিশেষ প্রকল্প:
OneWeb প্রকল্প: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ইন্টারনেট সংযোগ সেবা প্রদানকারী স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক।
নেভিগেশন ও নিরাপত্তা: ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ESA) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব রয়েছে।
ব্রিটেন বেসরকারি মহাকাশ শিল্পেও প্রচুর বিনিয়োগ করছে এবং ভবিষ্যতে মহাকাশ বাণিজ্যে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চায়।
৫. জাপান (৭৮ স্যাটেলাইট) – প্রযুক্তির বিশ্ব নেতা
জাপানের ৭৮টি স্যাটেলাইট বর্তমানে মহাকাশে রয়েছে, যা জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA) পরিচালনা করছে।
জাপানের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য:
Hayabusa মিশন: গ্রহাণু থেকে নমুনা সংগ্রহের অভিযান।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ: ভূমিকম্প ও সুনামি পূর্বাভাসের জন্য উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট।
চাঁদ ও মঙ্গল অনুসন্ধান: জাপান চাঁদে গবেষণাগার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাপান উন্নত প্রযুক্তি ও মহাকাশ অনুসন্ধানে বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
৬. ভারত (৬৬ স্যাটেলাইট) – সাশ্রয়ী খরচে উন্নত মহাকাশ প্রযুক্তি
ভারত ৬৬টি স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে এবং Indian Space Research Organisation (ISRO)-এর সফলতা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
ভারতের প্রধান মহাকাশ অর্জন:
Mangalyaan (Mars Orbiter Mission): সবচেয়ে কম খরচে সফল মঙ্গল অভিযান।
Chandrayaan মিশন: চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ।
NavIC নেভিগেশন: ভারতের নিজস্ব GPS নেভিগেশন সিস্টেম।
ভারত ব্যবসায়িক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রেও বিশ্বে অন্যতম প্রধান দেশ হয়ে উঠেছে।
৭. কানাডা (৫৬ স্যাটেলাইট) – গবেষণায় অগ্রগামী দেশ
কানাডার ৫৬টি স্যাটেলাইট রয়েছে, যা Earth observation, communication, and space robotics-এ ব্যবহার করা হয়।
কানাডার প্রধান অবদান:
RADARSAT প্রোগ্রাম: জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়।
CANADARM: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য তৈরি রোবটিক আর্ম।
কানাডা NASA-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং মহাকাশ গবেষণায় অগ্রসরমান দেশ।
ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণা: কী আসছে?
আগামী দশকে মহাকাশ গবেষণায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে চলেছে:
চাঁদ ও মঙ্গল উপনিবেশ: বহু দেশ মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
৫G ও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট: বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে।
বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা: SpaceX, Blue Origin-এর মতো কোম্পানি আরও উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করছে।
এই সাতটি দেশ ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব দেবে, এবং নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব সভ্যতা মহাবিশ্বে আরও এগিয়ে যাবে।
Please Share This Post in Your Social Media

মহাকাশে সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট পাঠানো ৭ দেশ: আধিপত্যের নতুন যুগ

১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক–১ মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। সেই থেকে শুরু হয় মহাকাশ গবেষণার এক নতুন যুগ। গত ৬৭ বছরে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মহাকাশ প্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বর্তমানে ৮০টির বেশি দেশ নিজেদের উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করেছে, তবে কিছু দেশ এই ক্ষেত্রে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। নিচে সর্বাধিক স্যাটেলাইট পাঠানো শীর্ষ সাতটি দেশের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো।
১. যুক্তরাষ্ট্র (প্রায় ৩,০০০ স্যাটেলাইট) – মহাকাশ গবেষণার শীর্ষস্থানীয় দেশ
যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ গবেষণায় একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং বর্তমানে প্রায় ৩,০০০ স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে। বিশ্ববিখ্যাত সংস্থা NASA ছাড়াও SpaceX, Blue Origin, OneWeb-এর মতো বেসরকারি কোম্পানিগুলো এই ক্ষেত্রে বিপুল ভূমিকা রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট প্রকল্প:
সামরিক স্যাটেলাইট: পেন্টাগন এবং ন্যাশনাল রিকনাইসেন্স অফিস (NRO) গোপন নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য স্যাটেলাইট পরিচালনা করে।
ইন্টারনেট ও যোগাযোগ: SpaceX-এর Starlink প্রকল্প পৃথিবীর সর্বত্র ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা: NASA-এর James Webb ও Hubble Space Telescope মহাবিশ্বের গভীর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
চন্দ্র অভিযান (Artemis) এবং মঙ্গল গ্রহ উপনিবেশ স্থাপনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রকে মহাকাশ গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ করে তুলেছে।
২. চীন (প্রায় ৫০০ স্যাটেলাইট) – দ্রুত অগ্রসরমান মহাকাশ শক্তি
চীন প্রায় ৫০০ স্যাটেলাইট পরিচালনা করে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের পর মহাকাশ গবেষণায় সবচেয়ে সক্রিয় দেশ। China National Space Administration (CNSA) দেশটির মহাকাশ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
চীনের মহাকাশ গবেষণায় সাফল্য:
সামরিক নজরদারি: চীনের স্যাটেলাইটগুলো জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
নেভিগেশন: চীনের নিজস্ব BeiDou নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে, যা GPS-এর বিকল্প।
চাঁদ ও মঙ্গল অভিযান: Chang’e ও Tianwen-1 মিশন চীনের প্রযুক্তিগত শক্তি প্রদর্শন করছে।
স্পেস স্টেশন: চীন নিজস্ব Tiangong Space Station স্থাপন করেছে।
চীনের লক্ষ্য আগামী দশকে মহাকাশ অনুসন্ধানে বিশ্ব নেতৃত্বে আসা।
৩. রাশিয়া (১৬৯ স্যাটেলাইট) – মহাকাশ গবেষণার পথিকৃৎ
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট স্পুটনিক–১ পাঠিয়েছিল এবং ইউরি গাগারিনকে মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানে রাশিয়া ১৬৯টি স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে।
রাশিয়ার প্রধান মহাকাশ প্রকল্প:
GLONASS নেভিগেশন সিস্টেম: GPS-এর বিকল্প হিসেবে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ESA) সিস্টেম পরিচালিত হচ্ছে।
সামরিক ও গোয়েন্দা স্যাটেলাইট: জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য রাশিয়ার নিজস্ব নজরদারি স্যাটেলাইট রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা: রাশিয়া এখনো বিভিন্ন চাঁদ ও মঙ্গল অভিযান পরিচালনা করছে।
রাশিয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) পরিচালনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
৪. যুক্তরাজ্য (১৩৫ স্যাটেলাইট) – ইউরোপের শক্তিশালী মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র
যুক্তরাজ্যের ১৩৫টি স্যাটেলাইট বর্তমানে মহাকাশে রয়েছে, যা মূলত টেলিযোগাযোগ, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ এবং সামরিক নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হয়।
যুক্তরাজ্যের বিশেষ প্রকল্প:
OneWeb প্রকল্প: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ইন্টারনেট সংযোগ সেবা প্রদানকারী স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক।
নেভিগেশন ও নিরাপত্তা: ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ESA) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব রয়েছে।
ব্রিটেন বেসরকারি মহাকাশ শিল্পেও প্রচুর বিনিয়োগ করছে এবং ভবিষ্যতে মহাকাশ বাণিজ্যে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চায়।
৫. জাপান (৭৮ স্যাটেলাইট) – প্রযুক্তির বিশ্ব নেতা
জাপানের ৭৮টি স্যাটেলাইট বর্তমানে মহাকাশে রয়েছে, যা জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA) পরিচালনা করছে।
জাপানের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য:
Hayabusa মিশন: গ্রহাণু থেকে নমুনা সংগ্রহের অভিযান।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ: ভূমিকম্প ও সুনামি পূর্বাভাসের জন্য উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট।
চাঁদ ও মঙ্গল অনুসন্ধান: জাপান চাঁদে গবেষণাগার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাপান উন্নত প্রযুক্তি ও মহাকাশ অনুসন্ধানে বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
৬. ভারত (৬৬ স্যাটেলাইট) – সাশ্রয়ী খরচে উন্নত মহাকাশ প্রযুক্তি
ভারত ৬৬টি স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে এবং Indian Space Research Organisation (ISRO)-এর সফলতা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
ভারতের প্রধান মহাকাশ অর্জন:
Mangalyaan (Mars Orbiter Mission): সবচেয়ে কম খরচে সফল মঙ্গল অভিযান।
Chandrayaan মিশন: চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ।
NavIC নেভিগেশন: ভারতের নিজস্ব GPS নেভিগেশন সিস্টেম।
ভারত ব্যবসায়িক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রেও বিশ্বে অন্যতম প্রধান দেশ হয়ে উঠেছে।
৭. কানাডা (৫৬ স্যাটেলাইট) – গবেষণায় অগ্রগামী দেশ
কানাডার ৫৬টি স্যাটেলাইট রয়েছে, যা Earth observation, communication, and space robotics-এ ব্যবহার করা হয়।
কানাডার প্রধান অবদান:
RADARSAT প্রোগ্রাম: জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়।
CANADARM: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য তৈরি রোবটিক আর্ম।
কানাডা NASA-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং মহাকাশ গবেষণায় অগ্রসরমান দেশ।
ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণা: কী আসছে?
আগামী দশকে মহাকাশ গবেষণায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে চলেছে:
চাঁদ ও মঙ্গল উপনিবেশ: বহু দেশ মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
৫G ও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট: বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে।
বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা: SpaceX, Blue Origin-এর মতো কোম্পানি আরও উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করছে।
এই সাতটি দেশ ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব দেবে, এবং নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব সভ্যতা মহাবিশ্বে আরও এগিয়ে যাবে।