সময়: বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

ঢাবির টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন ফারজানা বাসার

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:১২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৭ Time View

c 20250205190332

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফারজানা বাসার। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নিয়োগ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপাচার্য মহোদয়ের ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের আদেশ অনুযায়ী ফারজানা বাসারকে সাময়িকভাবে টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তার দায়িত্ব ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।”

ফারজানা বাসারের একাডেমিক পেশাগত জীবন

ফারজানা বাসার বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগে যোগ দেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্বকালে টিএসসির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে।

টিএসসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নতুন পরিচালকের প্রত্যাশা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি শুধুমাত্র একটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র নয়, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। এটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশের অন্যতম জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন সাহিত্য, নাট্য, সংগীত ও বিতর্ক সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় এখান থেকে।

ফারজানা বাসারের নিয়োগের ফলে টিএসসির প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুরক্ষার বিষয়ে আরও মনোযোগী হওয়া যাবে।

ব্যক্তিগত জীবন অন্যান্য কার্যক্রম

ফারজানা বাসারের বাড়ি বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং তার দক্ষ নেতৃত্বের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।

উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ফারজানা বাসারের নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, “টিএসসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ফারজানা বাসার একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা এবং তিনি এই পদে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে টিএসসির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।”

ফারজানা বাসার নিজেও দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, “টিএসসি শুধু একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র নয়, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি চেষ্টা করব শিক্ষার্থীদের কল্যাণে টিএসসিকে আরও প্রাণবন্ত ও গতিশীল করতে।”

নতুন দায়িত্বে তিনি কতটা সফল হবেন তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা আশাবাদী যে তিনি টিএসসির ঐতিহ্য ও কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করবেন।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

ঢাবির টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন ফারজানা বাসার

Update Time : ০৭:১২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফারজানা বাসার। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নিয়োগ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপাচার্য মহোদয়ের ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের আদেশ অনুযায়ী ফারজানা বাসারকে সাময়িকভাবে টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তার দায়িত্ব ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।”

ফারজানা বাসারের একাডেমিক পেশাগত জীবন

ফারজানা বাসার বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগে যোগ দেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্বকালে টিএসসির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে।

টিএসসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নতুন পরিচালকের প্রত্যাশা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি শুধুমাত্র একটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র নয়, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। এটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশের অন্যতম জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন সাহিত্য, নাট্য, সংগীত ও বিতর্ক সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় এখান থেকে।

ফারজানা বাসারের নিয়োগের ফলে টিএসসির প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুরক্ষার বিষয়ে আরও মনোযোগী হওয়া যাবে।

ব্যক্তিগত জীবন অন্যান্য কার্যক্রম

ফারজানা বাসারের বাড়ি বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং তার দক্ষ নেতৃত্বের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।

উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ফারজানা বাসারের নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, “টিএসসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ফারজানা বাসার একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা এবং তিনি এই পদে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে টিএসসির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।”

ফারজানা বাসার নিজেও দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, “টিএসসি শুধু একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র নয়, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি চেষ্টা করব শিক্ষার্থীদের কল্যাণে টিএসসিকে আরও প্রাণবন্ত ও গতিশীল করতে।”

নতুন দায়িত্বে তিনি কতটা সফল হবেন তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা আশাবাদী যে তিনি টিএসসির ঐতিহ্য ও কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করবেন।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share