ট্রাম্প সামরিক বিমানে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ ভারত ফেরত পাঠাচ্ছেন: অভিবাসন নীতিতে কঠোর পদক্ষেপ

- Update Time : ১১:২৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৯৮ Time View
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই “অবৈধ অভিবাসন” নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সীমান্ত নিরাপত্তা মজবুত করা এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন পরিচালনা করার জন্য তার প্রশাসন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য সামরিক বিমান ব্যবহার করছে, যা তার কঠোর অভিবাসন নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
সামরিক বিমানে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ
ট্রাম্প প্রশাসন কিছু দিন আগেই কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, পেরু এবং হন্ডুরাসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছে সামরিক বিমানে। এবার ভারতীয় নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো হচ্ছে সামরিক বিমানের মাধ্যমে। হোয়াইট হাউস সম্প্রতি এই অভিযানের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের সারিবদ্ধভাবে বিমানে তোলা হচ্ছে।
এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের ব্যাপক অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা “আমেরিকা প্রথম” দর্শনের আওতায় দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে। মার্কিন প্রশাসন কর্তৃক এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অভিবাসন সমস্যা মোকাবিলায় তারা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয়েছে।
ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতীয় সরকার
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এই বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করেছে, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারত সঠিক কাজ করবে” এবং অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওও এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, এবং ভারতের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, যদি কোনো ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে, তাহলে তাদের ফেরত নিতে কোনো আপত্তি নেই।
পরিসংখ্যান ও রিপ্যাট্রিয়েশন: সংখ্যা এবং প্রভাব
পিউ রিসার্চ রিপোর্ট ২০২৪ অনুযায়ী, ভারতীয়রা আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী। প্রথমে মেক্সিকো এবং দ্বিতীয় স্থানে সেলভাডরের নাগরিকরা রয়েছেন। গত ২০২৪ অর্থবছরে বাইডেন প্রশাসন ১৫০০ ভারতীয় নাগরিককে আমেরিকা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। একই বছরে, মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) ১৯২টি দেশের ২৭০,০০০ পরিযায়ীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করেছে, যার মধ্যে ১,৫২৯ জন ভারতীয় ছিল। এটি মার্কিন প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কঠোর বাস্তবায়নকে তুলে ধরে, যেখানে সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গুরদ্বারায় অভিযান: সিখ সম্প্রদায়ের প্রতি নজরদারি
একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির বিভিন্ন গুরুদ্বারে অভিযান চালিয়েছে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)। এই অভিযানগুলি বিশেষভাবে শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে, যারা অনেক সময় অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানোর জন্য পূর্বের বিধি বাতিল করা হয়। আগে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেই নিয়মকে বাতিল করে দেয়া হয়, যাতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এবং শনাক্ত করার লক্ষ্যে লক্ষ্য করা যেতে পারে।
নীতি পরিবর্তন এবং আইনি কাঠামো
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, “অবৈধ অভিবাসী” ধরতে আর কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো নিষিদ্ধ ছিল না। এ কারণে, আইসিই বিশেষভাবে সেসব সম্প্রদায়গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, যেগুলি সাধারণত দৃষ্টির বাইরে থাকে এবং যাদের অবৈধ বসবাসের বিষয়টি কম নজরে আসে। শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা এই পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন, যারা প্রায়ই অবৈধ অভিবাসন সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হন।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব
ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর একটি অদৃশ্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ভারত ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, তবে কিছু সমালোচক মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপগুলি পারিবারিক সম্পর্ক এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তারা যুক্তি দেন যে, আমেরিকার উচিত অভিবাসন নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করা, যেখানে অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা করা হবে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা বিশ্বাস করেন যে, অবৈধ অভিবাসন বিরোধী নীতি আমেরিকার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় অপরিহার্য। ট্রাম্প তার “আমেরিকা প্রথম” নীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, যা তার প্রশাসনের কাছে একটি প্রধান অগ্রাধিকার।
ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক বিমানে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো, ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি বিশেষ নজরদারি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানোর উদ্যোগগুলো তার কঠোর অভিবাসন নীতিরই অংশ। এই পদক্ষেপগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের দৃঢ় সংকল্পের পরিচায়ক। ভারত এবং অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা সত্ত্বেও, এই নীতিগুলোর ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অভিবাসন সমস্যা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকবে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন দৃঢ়ভাবে তার অবস্থানে অটল থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, এবং এটি মার্কিন অভিবাসন নীতির ভবিষ্যত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র: রয়টার্স
Please Share This Post in Your Social Media

ট্রাম্প সামরিক বিমানে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ ভারত ফেরত পাঠাচ্ছেন: অভিবাসন নীতিতে কঠোর পদক্ষেপ

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই “অবৈধ অভিবাসন” নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সীমান্ত নিরাপত্তা মজবুত করা এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন পরিচালনা করার জন্য তার প্রশাসন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য সামরিক বিমান ব্যবহার করছে, যা তার কঠোর অভিবাসন নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
সামরিক বিমানে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ
ট্রাম্প প্রশাসন কিছু দিন আগেই কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, পেরু এবং হন্ডুরাসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছে সামরিক বিমানে। এবার ভারতীয় নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো হচ্ছে সামরিক বিমানের মাধ্যমে। হোয়াইট হাউস সম্প্রতি এই অভিযানের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের সারিবদ্ধভাবে বিমানে তোলা হচ্ছে।
এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের ব্যাপক অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা “আমেরিকা প্রথম” দর্শনের আওতায় দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে। মার্কিন প্রশাসন কর্তৃক এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অভিবাসন সমস্যা মোকাবিলায় তারা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয়েছে।
ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতীয়
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এই বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করেছে, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারত সঠিক কাজ করবে” এবং অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওও এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, এবং ভারতের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, যদি কোনো ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে, তাহলে তাদের ফেরত নিতে কোনো আপত্তি নেই।
পরিসংখ্যান ও রিপ্যাট্রিয়েশন: সংখ্যা এবং প্রভাব
পিউ রিসার্চ রিপোর্ট ২০২৪ অনুযায়ী, ভারতীয়রা আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী। প্রথমে মেক্সিকো এবং দ্বিতীয় স্থানে সেলভাডরের নাগরিকরা রয়েছেন। গত ২০২৪ অর্থবছরে বাইডেন প্রশাসন ১৫০০ ভারতীয় নাগরিককে আমেরিকা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। একই বছরে, মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) ১৯২টি দেশের ২৭০,০০০ পরিযায়ীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করেছে, যার মধ্যে ১,৫২৯ জন ভারতীয় ছিল। এটি মার্কিন প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কঠোর বাস্তবায়নকে তুলে ধরে, যেখানে সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গুরদ্বারায় অভিযান: সিখ সম্প্রদায়ের প্রতি নজরদারি
একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির বিভিন্ন গুরুদ্বারে অভিযান চালিয়েছে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)। এই অভিযানগুলি বিশেষভাবে শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে, যারা অনেক সময় অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানোর জন্য পূর্বের বিধি বাতিল করা হয়। আগে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেই নিয়মকে বাতিল করে দেয়া হয়, যাতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এবং শনাক্ত করার লক্ষ্যে লক্ষ্য করা যেতে পারে।
নীতি পরিবর্তন এবং আইনি কাঠামো
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, “অবৈধ অভিবাসী” ধরতে আর কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো নিষিদ্ধ ছিল না। এ কারণে, আইসিই বিশেষভাবে সেসব সম্প্রদায়গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, যেগুলি সাধারণত দৃষ্টির বাইরে থাকে এবং যাদের অবৈধ বসবাসের বিষয়টি কম নজরে আসে। শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা এই পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন, যারা প্রায়ই অবৈধ অভিবাসন সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হন।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব
ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর একটি অদৃশ্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ভারত ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, তবে কিছু সমালোচক মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপগুলি পারিবারিক সম্পর্ক এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তারা যুক্তি দেন যে, আমেরিকার উচিত অভিবাসন নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করা, যেখানে অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা করা হবে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা বিশ্বাস করেন যে, অবৈধ অভিবাসন বিরোধী নীতি আমেরিকার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় অপরিহার্য। ট্রাম্প তার “আমেরিকা প্রথম” নীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, যা তার প্রশাসনের কাছে একটি প্রধান অগ্রাধিকার।
ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক বিমানে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো, ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি বিশেষ নজরদারি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানোর উদ্যোগগুলো তার কঠোর অভিবাসন নীতিরই অংশ। এই পদক্ষেপগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের দৃঢ় সংকল্পের পরিচায়ক। ভারত এবং অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা সত্ত্বেও, এই নীতিগুলোর ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অভিবাসন সমস্যা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকবে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন দৃঢ়ভাবে তার অবস্থানে অটল থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, এবং এটি মার্কিন অভিবাসন নীতির ভবিষ্যত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র: রয়টার্স