নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতা গ্রেফতার

- Update Time : ০৭:০৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১৫৭ Time View
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এদিন ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের পরিচয়
গ্রেফতারকৃত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন:
- মোহাম্মদ ফাজায়েল ভূঁইয়া রয়েল (২৫) – শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
- আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০) – পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
- তারেক আকন্দ (২৮) – পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি
- জাহিদ হাসান (২৫) – পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি
- রাজু মিয়া (৩১) – পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
- ফরহাদ আফ্রাদ (১৮) – শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
- জাহিদ মোল্লা (২৪) – মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
- মাহবুব হোসেন মনির (২৮) – মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
- মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (২৬) – পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
গ্রেফতার অভিযান
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ একটি বিশেষ অভিযানে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকায় একটি মাইক্রোবাস আটক করে এবং সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্তরা সংগঠনের নিষিদ্ধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আইনি প্রক্রিয়া ও অভিযোগ
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানিয়েছেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠনের কিছু সদস্য বেআইনি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক সহিংসতা, ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা
এই গ্রেফতার নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সরকারপক্ষ জানিয়েছে, কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনকে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে দেওয়া হবে না। অপরদিকে, কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, এই গ্রেফতারের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে সংগঠনের গোপন নথি ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে, যা তদন্তের জন্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে প্রস্তুত রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতা গ্রেফতার

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এদিন ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের পরিচয়
গ্রেফতারকৃত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন:
- মোহাম্মদ ফাজায়েল ভূঁইয়া রয়েল (২৫) – শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
- আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০) – পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
- তারেক আকন্দ (২৮) – পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি
- জাহিদ হাসান (২৫) – পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি
- রাজু মিয়া (৩১) – পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
- ফরহাদ আফ্রাদ (১৮) – শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
- জাহিদ মোল্লা (২৪) – মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
- মাহবুব হোসেন মনির (২৮) – মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
- মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (২৬) – পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
গ্রেফতার অভিযান
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ একটি বিশেষ অভিযানে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকায় একটি মাইক্রোবাস আটক করে এবং সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্তরা সংগঠনের নিষিদ্ধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আইনি প্রক্রিয়া ও অভিযোগ
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানিয়েছেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠনের কিছু সদস্য বেআইনি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক সহিংসতা, ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা
এই গ্রেফতার নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সরকারপক্ষ জানিয়েছে, কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনকে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে দেওয়া হবে না। অপরদিকে, কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, এই গ্রেফতারের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে সংগঠনের গোপন নথি ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে, যা তদন্তের জন্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে প্রস্তুত রয়েছে।