স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেলেও অবশিষ্ট শক্তি এখনো সক্রিয়, দেশের রক্ষায় ঐক্যের বিকল্প নেই : তারেক রহমান

- Update Time : ১২:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১২৮ Time View
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার কিছু অবশিষ্ট শক্তি এখনও বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় রয়েছে।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এই শক্তি যে কোনো মুহূর্তে ভিন্ন আঙ্গিকে মাথা চাড়া দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালাতে পারে। তার মতে, দেশের স্থিতিশীলতা ও জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন।
গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বক্তব্যে তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, “যদি দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে ঐক্যের বিকল্প নেই। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন, তাদের প্রত্যেকেই অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।” তার দাবি, দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে একত্রিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বিএনপি’র ৩১ দফা কর্মসূচি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। বেকারত্ব দূরীকরণ, কৃষি ও শিল্প খাতে উন্নয়ন প্রক্রিয়া চালাতে চাই। এছাড়া, কৃষককে ন্যায্য মূল্য প্রদান, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের লক্ষ্য।”
তাঁর মতে, দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নয়ন পরিস্থিতির উন্নতি সাধনের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রয়োজন। “অচল হয়ে পড়া কারখানাগুলোকে সচল করতে হবে, আমাদের অসংখ্য নদ-নদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে, এগুলো খনন করতে হবে,” তিনি যোগ করেন।
তারেক রহমান দেশের সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংসদের মেয়াদ এবং সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, তবে তা জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমেই সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে। তবে, এর একমাত্র উপায় হলো জাতীয় নির্বাচন, যেখানে জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে।”
তিনি বিগত ১৫ বছরে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার হরণের কথা স্মরণ করে বলেন, “উন্নয়নের নামে শুধুমাত্র কিছু দৃশ্যমান কাজ করা হয়েছে, তবে এর মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে এবং দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
তারেক রহমান আবারও সুরাহা দেন যে, “বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল, এবং এর কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুধু আমাদের দল নয়, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, যারা এজেন্ডা হিসেবে দেশ এবং দেশের মানুষের মঙ্গল চায়।”
এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান, এবং এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং দলের সদস্যরা।
Please Share This Post in Your Social Media

স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেলেও অবশিষ্ট শক্তি এখনো সক্রিয়, দেশের রক্ষায় ঐক্যের বিকল্প নেই : তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার কিছু অবশিষ্ট শক্তি এখনও বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় রয়েছে।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এই শক্তি যে কোনো মুহূর্তে ভিন্ন আঙ্গিকে মাথা চাড়া দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালাতে পারে। তার মতে, দেশের স্থিতিশীলতা ও জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন।
গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বক্তব্যে তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, “যদি দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে ঐক্যের বিকল্প নেই। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন, তাদের প্রত্যেকেই অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।” তার দাবি, দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে একত্রিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বিএনপি’র ৩১ দফা কর্মসূচি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। বেকারত্ব দূরীকরণ, কৃষি ও শিল্প খাতে উন্নয়ন প্রক্রিয়া চালাতে চাই। এছাড়া, কৃষককে ন্যায্য মূল্য প্রদান, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের লক্ষ্য।”
তাঁর মতে, দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নয়ন পরিস্থিতির উন্নতি সাধনের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রয়োজন। “অচল হয়ে পড়া কারখানাগুলোকে সচল করতে হবে, আমাদের অসংখ্য নদ-নদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে, এগুলো খনন করতে হবে,” তিনি যোগ করেন।
তারেক রহমান দেশের সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংসদের মেয়াদ এবং সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, তবে তা জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমেই সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে। তবে, এর একমাত্র উপায় হলো জাতীয় নির্বাচন, যেখানে জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে।”
তিনি বিগত ১৫ বছরে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার হরণের কথা স্মরণ করে বলেন, “উন্নয়নের নামে শুধুমাত্র কিছু দৃশ্যমান কাজ করা হয়েছে, তবে এর মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে এবং দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
তারেক রহমান আবারও সুরাহা দেন যে, “বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল, এবং এর কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুধু আমাদের দল নয়, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, যারা এজেন্ডা হিসেবে দেশ এবং দেশের মানুষের মঙ্গল চায়।”
এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান, এবং এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং দলের সদস্যরা।