অর্ধেক বই এখনো ছাপানোই বাকি: শিক্ষাবর্ষে বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা

- Update Time : ০৩:১৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১১৮ Time View
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবার এক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই এখনো অর্ধেক ছাপানোই বাকি। নতুন বছরের জানুয়ারি মাস শেষ হলেও, শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যবই পুরোপুরি পায়নি। শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাস শেষ হওয়ার পরও ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে প্রায় ২১ কোটি বই ছাপানো সম্ভব হয়েছে। বাকী ১৯ কোটি বইয়ের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বই ছাপানোর গতি ধীর হওয়া এবং বইয়ের জন্য কাগজের সংকট। তবে, এনসিটিবি ও প্রেস মালিকদের আশা, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সব বই ছাপানো শেষ হয়ে যাবে, তবে তাও মার্চের আগে শেষ হতে পারে না।
বই ছাপানোর কাজের বিস্তারিত তথ্য
এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭টি বই ছাপানো হচ্ছে। সেই সাথে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সাড়ে আট হাজারের বেশি ব্রেইল বই এবং প্রায় ৪১ লাখ সহায়িকা বইও ছাপানো হচ্ছে।
এনসিটিবি সূত্র জানাচ্ছে, বই ছাপানোর জন্য যে ৪০ কোটি বইয়ের কাজ চলছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বই পেয়েছে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, যেখানে তাদের বইয়ের ছাপা কাজ প্রায় ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি, যেখানে মাত্র ৩৪ শতাংশ বইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কাগজের সংকট এবং অতিরিক্ত চাপ
গত বছরের শেষ দিকে একসাথে সব শ্রেণির জন্য বইয়ের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছিল, যা প্রেস মালিকদের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনসিটিবি জানিয়েছে, বইয়ের জন্য যথেষ্ট কাগজ সংগ্রহ করতে পারছিল না তারা, যার ফলে কাজের গতি খুব ধীর হয়ে গিয়েছিল। এর পাশাপাশি, অনেক প্রেস মালিক অতিরিক্ত কাজ গ্রহণ করেছেন, যা তাদের সক্ষমতার বাইরে ছিল। ফলে বই ছাপানোর গতি আরও কমে গেছে।
এছাড়া, গত বছর নতুন শিক্ষাক্রমের বই ছাপানোর কারণে এবছরের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইয়ের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হয়েছে। এ জন্য অন্য শ্রেণির বইয়ের কাজের গতি কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়, যা বইয়ের ছাপানোর কাজকে আরও বিলম্বিত করেছে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর প্রভাব
এখন পর্যন্ত যেহেতু প্রায় অর্ধেক বইয়ের কাজ বাকি রয়েছে, তাই শিক্ষার্থীদের জন্য সঠিক সময়ে পাঠ্যবই পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়েছে এবং তারা স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ কমে গেছে। শিক্ষকেরা জানান, বই না পাওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমেছে এবং ক্লাসের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বিশেষত, জানুয়ারি মাসে স্কুলগুলোতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চললেও বইয়ের অভাবে পুরোপুরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। মার্চ মাসে রোজার ছুটির পর, আবারও দীর্ঘ ছুটি শুরু হবে, এবং শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাসের ক্ষতি পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
শিক্ষকরা বলছেন, বইয়ের অভাবে শিক্ষার্থীরা সিলেবাস শেষ করতে পারছে না, যার কারণে তাদের পড়াশোনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তারা আরো বলছেন, বইয়ের অভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা শিখন প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে পড়ছে।
অভিভাবকদের উদ্বেগ
অভিভাবকদেরও একই ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। তারা বলছেন, পাঠ্যবই না পেলেও যদি সহায়ক বই পাওয়া যেত, তবে অন্তত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হত। তবে, সহায়ক বইয়েরও সংকট রয়েছে এবং বাজারে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীতে একজন শিক্ষককে ব্যাচ পড়ানোর জন্য দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়। তিনজন শিক্ষক পড়ালে, অনেক টাকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তবে সহায়ক বই থাকলে, কম দামে পড়ালেখা চালিয়ে নেয়া সম্ভব হত।
মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক নাজমুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমার ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বই পেয়েছে। যখন বই আসবে, তখন হয়তো শিক্ষকরা সিলেবাস শেষ করতে তাড়াহুড়া করবেন, কিন্তু এই চাপ পড়বে শিক্ষার্থীদের ওপর। মেধাবীরা কুলিয়ে উঠতে পারলেও অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে বছরটি পার করতে হবে।”
এনসিটিবির দায়িত্বহীনতা
এনসিটিবির সেরা অদক্ষতার মধ্যে একটি বড় সমস্যা ছিল কাগজের ব্যাপারটি। ৪০ কোটি বই ছাপানোর জন্য যে পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, সেটি আগে থেকেই ঠিকভাবে হিসাব করা হয়নি। ফলে ছাপাখানাগুলোর কাছে পর্যাপ্ত কাগজ ছিল না এবং একসাথে এতটা কাজ শুরু করা তাদের জন্য সম্ভব হয়নি। এ কারণে কাজের গতি কমে গেছে এবং বইয়ের ছাপা বিলম্বিত হয়েছে। এ ছাড়া, বই পরিমার্জন এবং দরপত্র প্রক্রিয়াতেও বেশি সময় নিয়েছে এনসিটিবি, যার কারণে পুরো প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেছে।
এনসিটিবির দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এবছর শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই সময়মতো পাচ্ছে না, যা তাদের পড়াশোনার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। শিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠু কার্যক্রম চালিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন ধরনের বিলম্ব এড়ানো যায় এবং শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে পারে।
Please Share This Post in Your Social Media

অর্ধেক বই এখনো ছাপানোই বাকি: শিক্ষাবর্ষে বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবার এক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই এখনো অর্ধেক ছাপানোই বাকি। নতুন বছরের জানুয়ারি মাস শেষ হলেও, শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যবই পুরোপুরি পায়নি। শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাস শেষ হওয়ার পরও ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে প্রায় ২১ কোটি বই ছাপানো সম্ভব হয়েছে। বাকী ১৯ কোটি বইয়ের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বই ছাপানোর গতি ধীর হওয়া এবং বইয়ের জন্য কাগজের সংকট। তবে, এনসিটিবি ও প্রেস মালিকদের আশা, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সব বই ছাপানো শেষ হয়ে যাবে, তবে তাও মার্চের আগে শেষ হতে পারে না।
বই ছাপানোর কাজের বিস্তারিত তথ্য
এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭টি বই ছাপানো হচ্ছে। সেই সাথে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সাড়ে আট হাজারের বেশি ব্রেইল বই এবং প্রায় ৪১ লাখ সহায়িকা বইও ছাপানো হচ্ছে।
এনসিটিবি সূত্র জানাচ্ছে, বই ছাপানোর জন্য যে ৪০ কোটি বইয়ের কাজ চলছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বই পেয়েছে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, যেখানে তাদের বইয়ের ছাপা কাজ প্রায় ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি, যেখানে মাত্র ৩৪ শতাংশ বইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কাগজের সংকট এবং অতিরিক্ত চাপ
গত বছরের শেষ দিকে একসাথে সব শ্রেণির জন্য বইয়ের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছিল, যা প্রেস মালিকদের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনসিটিবি জানিয়েছে, বইয়ের জন্য যথেষ্ট কাগজ সংগ্রহ করতে পারছিল না তারা, যার ফলে কাজের গতি খুব ধীর হয়ে গিয়েছিল। এর পাশাপাশি, অনেক প্রেস মালিক অতিরিক্ত কাজ গ্রহণ করেছেন, যা তাদের সক্ষমতার বাইরে ছিল। ফলে বই ছাপানোর গতি আরও কমে গেছে।
এছাড়া, গত বছর নতুন শিক্ষাক্রমের বই ছাপানোর কারণে এবছরের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইয়ের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হয়েছে। এ জন্য অন্য শ্রেণির বইয়ের কাজের গতি কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়, যা বইয়ের ছাপানোর কাজকে আরও বিলম্বিত করেছে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর প্রভাব
এখন পর্যন্ত যেহেতু প্রায় অর্ধেক বইয়ের কাজ বাকি রয়েছে, তাই শিক্ষার্থীদের জন্য সঠিক সময়ে পাঠ্যবই পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়েছে এবং তারা স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ কমে গেছে। শিক্ষকেরা জানান, বই না পাওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমেছে এবং ক্লাসের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বিশেষত, জানুয়ারি মাসে স্কুলগুলোতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চললেও বইয়ের অভাবে পুরোপুরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। মার্চ মাসে রোজার ছুটির পর, আবারও দীর্ঘ ছুটি শুরু হবে, এবং শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাসের ক্ষতি পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
শিক্ষকরা বলছেন, বইয়ের অভাবে শিক্ষার্থীরা সিলেবাস শেষ করতে পারছে না, যার কারণে তাদের পড়াশোনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তারা আরো বলছেন, বইয়ের অভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা শিখন প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে পড়ছে।
অভিভাবকদের উদ্বেগ
অভিভাবকদেরও একই ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। তারা বলছেন, পাঠ্যবই না পেলেও যদি সহায়ক বই পাওয়া যেত, তবে অন্তত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হত। তবে, সহায়ক বইয়েরও সংকট রয়েছে এবং বাজারে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীতে একজন শিক্ষককে ব্যাচ পড়ানোর জন্য দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়। তিনজন শিক্ষক পড়ালে, অনেক টাকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তবে সহায়ক বই থাকলে, কম দামে পড়ালেখা চালিয়ে নেয়া সম্ভব হত।
মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক নাজমুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমার ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বই পেয়েছে। যখন বই আসবে, তখন হয়তো শিক্ষকরা সিলেবাস শেষ করতে তাড়াহুড়া করবেন, কিন্তু এই চাপ পড়বে শিক্ষার্থীদের ওপর। মেধাবীরা কুলিয়ে উঠতে পারলেও অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে বছরটি পার করতে হবে।”
এনসিটিবির দায়িত্বহীনতা
এনসিটিবির সেরা অদক্ষতার মধ্যে একটি বড় সমস্যা ছিল কাগজের ব্যাপারটি। ৪০ কোটি বই ছাপানোর জন্য যে পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, সেটি আগে থেকেই ঠিকভাবে হিসাব করা হয়নি। ফলে ছাপাখানাগুলোর কাছে পর্যাপ্ত কাগজ ছিল না এবং একসাথে এতটা কাজ শুরু করা তাদের জন্য সম্ভব হয়নি। এ কারণে কাজের গতি কমে গেছে এবং বইয়ের ছাপা বিলম্বিত হয়েছে। এ ছাড়া, বই পরিমার্জন এবং দরপত্র প্রক্রিয়াতেও বেশি সময় নিয়েছে এনসিটিবি, যার কারণে পুরো প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেছে।
এনসিটিবির দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এবছর শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই সময়মতো পাচ্ছে না, যা তাদের পড়াশোনার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। শিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠু কার্যক্রম চালিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন ধরনের বিলম্ব এড়ানো যায় এবং শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে পারে।