ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি

- Update Time : ০৫:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১১৩ Time View
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ যদি ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে, তাহলে ডিএমপি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণের বার্তা দিয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র কঠোর নজরদারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন।
ডিএমপি’র কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
শুক্রবার অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সংক্রান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এই কথা বলেন। তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা আসছে এবং ডিএমপি প্রতিনিয়ত এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বইমেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রামের তথ্য আসছে। এসব প্রোগ্রাম আমরা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিও বার্তা ছড়ানো হচ্ছে এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে, আমরা প্রতিদিনই এসব পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করছি।’
নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি এবং তারা বর্তমানে বন্দী আছেন। যদি তারা কোনো ধরনের কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে, তাহলে আমরা অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেবো। যে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রম বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টাকে দমন করা হবে।’
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আপাতত কোনো ধরনের বড় আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি সবসময় প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা
ডিএমপি জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে, বিশেষ করে বইমেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় কড়া নজরদারি থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে শহরের প্রধান প্রধান স্থান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কর্তৃপক্ষের এই হুঁশিয়ারি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কোনো কার্যক্রমকে সরকার কোনোভাবেই ছাড় দেবে না। এ ধরনের পদক্ষেপ রাজধানীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Please Share This Post in Your Social Media

ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ যদি ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে, তাহলে ডিএমপি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণের বার্তা দিয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র কঠোর নজরদারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন।
ডিএমপি’র কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
শুক্রবার অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সংক্রান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এই কথা বলেন। তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা আসছে এবং ডিএমপি প্রতিনিয়ত এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বইমেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রামের তথ্য আসছে। এসব প্রোগ্রাম আমরা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিও বার্তা ছড়ানো হচ্ছে এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে, আমরা প্রতিদিনই এসব পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করছি।’
নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি এবং তারা বর্তমানে বন্দী আছেন। যদি তারা কোনো ধরনের কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে, তাহলে আমরা অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেবো। যে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রম বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টাকে দমন করা হবে।’
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আপাতত কোনো ধরনের বড় আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি সবসময় প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা
ডিএমপি জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে, বিশেষ করে বইমেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় কড়া নজরদারি থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে শহরের প্রধান প্রধান স্থান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কর্তৃপক্ষের এই হুঁশিয়ারি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কোনো কার্যক্রমকে সরকার কোনোভাবেই ছাড় দেবে না। এ ধরনের পদক্ষেপ রাজধানীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।