সময়: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি: ৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৩০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৯ Time View

145971 mains

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ৬ দফা দাবি পূরণের জন্য ৪ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। এই সময়ের মধ্যে যদি প্রশাসন তাদের দাবির কোনো সমাধান না দেয়, তবে তারা পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে তারা এসব দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সজিব উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের ওপর আঘাত করা হয়েছে এবং এই আঘাতের দ্রুত বিচার হওয়া উচিত। সাত কলেজের সমস্যার সমাধানে যদি আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়, আমরা তাতেও প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান না পেলে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি হবে আরও কঠোর।”

শিক্ষার্থীদের দফা দাবি

শিক্ষার্থীরা তাদের ৬ দফা দাবির বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। এই দাবিগুলো হলো:

  1. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা এবং প্রোভিসির পদত্যাগ:
    ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এর পাশাপাশি, প্রো-ভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে, কারণ তিনি ঘটনার পরবর্তী সময়ে অবজ্ঞা ও অপমানজনক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন, এই পদক্ষেপটি সংঘাতের অবসান এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি রোধ করার জন্য অপরিহার্য।
  2. পুলিশি হামলার বিচার:
    ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনা এবং নিউমার্কেট থানার পুলিশের হামলার বিষয়টিও তাদের দাবির অন্তর্ভুক্ত। তারা দাবি করেছেন, এসি, ওসি এবং অন্যান্য জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চালিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  3. নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিচার:
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
  4. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি:
    ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অসম্মানজনক সম্পর্কের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান দাবি করেছেন এবং ৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের রূপরেখা প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
  5. উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের দাবি:
    শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবির সমাধানে দ্রুত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করা উচিত। এই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি সদস্য, ঢাবি উপাচার্য এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলকে উপস্থিত থাকতে হবে, যাতে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান বের করা যায়।
  6. সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা উন্মুক্ত করার দাবি:
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, যাতে এলাকাবাসী এবং সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

গত রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাবিতে আলোচনা করতে গেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করেন বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনাকে ‘অবমাননাকর’ এবং ‘অসৌজন্যমূলক’ হিসেবে দেখছেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, সন্ধ্যা থেকেই শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান।

সংঘর্ষ এবং পুলিশের পদক্ষেপ

এই ঘটনার ফলে রাত ১১টা থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ শুরু হয়। মিছিলকারীরা পুলিশকে বাধা দেয় এবং পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট, পলাশী এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন, এবং সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সংঘর্ষের কারণে সোমবারের সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত ঘোষণা করেছে। তারা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন। তবে, শিক্ষার্থীরা এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট মনে করছেন না এবং তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার জন্য প্রস্তুত।

ভবিষ্যত কর্মসূচি

শিক্ষার্থীরা তাদের ৬ দফা দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাদের দাবি হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং তাদের দাবি মেনে নেবে।

এ পরিস্থিতিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি এবং শিক্ষাগত পরিবেশের শান্তি বজায় রাখা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি: ৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি

Update Time : ০২:৩০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ৬ দফা দাবি পূরণের জন্য ৪ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। এই সময়ের মধ্যে যদি প্রশাসন তাদের দাবির কোনো সমাধান না দেয়, তবে তারা পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে তারা এসব দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সজিব উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের ওপর আঘাত করা হয়েছে এবং এই আঘাতের দ্রুত বিচার হওয়া উচিত। সাত কলেজের সমস্যার সমাধানে যদি আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়, আমরা তাতেও প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান না পেলে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি হবে আরও কঠোর।”

শিক্ষার্থীদের দফা দাবি

শিক্ষার্থীরা তাদের ৬ দফা দাবির বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। এই দাবিগুলো হলো:

  1. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা এবং প্রোভিসির পদত্যাগ:
    ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এর পাশাপাশি, প্রো-ভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে, কারণ তিনি ঘটনার পরবর্তী সময়ে অবজ্ঞা ও অপমানজনক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন, এই পদক্ষেপটি সংঘাতের অবসান এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি রোধ করার জন্য অপরিহার্য।
  2. পুলিশি হামলার বিচার:
    ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনা এবং নিউমার্কেট থানার পুলিশের হামলার বিষয়টিও তাদের দাবির অন্তর্ভুক্ত। তারা দাবি করেছেন, এসি, ওসি এবং অন্যান্য জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চালিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  3. নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিচার:
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
  4. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি:
    ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অসম্মানজনক সম্পর্কের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান দাবি করেছেন এবং ৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের রূপরেখা প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
  5. উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের দাবি:
    শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবির সমাধানে দ্রুত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করা উচিত। এই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি সদস্য, ঢাবি উপাচার্য এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলকে উপস্থিত থাকতে হবে, যাতে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান বের করা যায়।
  6. সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা উন্মুক্ত করার দাবি:
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, যাতে এলাকাবাসী এবং সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

গত রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাবিতে আলোচনা করতে গেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করেন বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনাকে ‘অবমাননাকর’ এবং ‘অসৌজন্যমূলক’ হিসেবে দেখছেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, সন্ধ্যা থেকেই শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান।

সংঘর্ষ এবং পুলিশের পদক্ষেপ

এই ঘটনার ফলে রাত ১১টা থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ শুরু হয়। মিছিলকারীরা পুলিশকে বাধা দেয় এবং পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট, পলাশী এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন, এবং সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সংঘর্ষের কারণে সোমবারের সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত ঘোষণা করেছে। তারা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন। তবে, শিক্ষার্থীরা এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট মনে করছেন না এবং তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার জন্য প্রস্তুত।

ভবিষ্যত কর্মসূচি

শিক্ষার্থীরা তাদের ৬ দফা দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাদের দাবি হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং তাদের দাবি মেনে নেবে।

এ পরিস্থিতিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি এবং শিক্ষাগত পরিবেশের শান্তি বজায় রাখা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

শেয়ার করুনঃ
Pin Share