স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলন,একটি বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুর রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা: জামায়াত আমির

- Update Time : ১০:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৮৮ Time View
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশি সহিংসতার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, “শক্তি প্রয়োগের সংস্কৃতি কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না।” জামায়াত নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভালো নয় এবং সরকারের উচিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ন্যায্য দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপের ঘটনাটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখানে তিনি আরও বলেন, “শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে যিনি ন্যায্য দাবি পেশ করেন, তাকে শোনাও এবং তার দাবির প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। শক্তি প্রয়োগ কখনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এতে শুধু সমাজে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।” ডা. শফিকুর রহমান আরও যোগ করেছেন যে, পুলিশের দ্বারা ব্যবহার করা লাঠিপেটা, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের মতো উপকরণগুলো পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।
আন্দোলনের পটভূমি
গত রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সুপারিশে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের একটি সংগঠন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। তাদের মূল দাবি ছিল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকেও জাতীয়করণ করা হোক। এই সংগঠনটি ছয়টি দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছিল, যেগুলোর মধ্যে মাদরাসাগুলোর শিক্ষক নিয়োগে স্থায়িত্ব, বেতন-ভাতার সুষ্ঠু ব্যবস্থা, এবং যথাযথ প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান অন্যতম।
এছাড়া, আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আরো কিছু দাবি পেশ করতে চেয়েছিলেন, যাতে তাদের কাজের মূল্যায়ন ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা যায়। তারা নির্দিষ্ট করে বলেন যে, এই জাতীয়করণের মাধ্যমে মাদরাসাগুলোর শিক্ষার মানও উন্নত হবে, এবং তা দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুলিশি সহিংসতার ঘটনা
আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে পদযাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধা আসে। পুলিশ প্রথমে জলকামান ছোড়ে, যাতে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ভাঙানো যায়। পরবর্তীতে সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করা হয় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়। এতে আন্দোলনকারীরা অসুবিধায় পড়েন এবং পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জামায়াত আমিরের সমালোচনা
ডা. শফিকুর রহমানের এই মন্তব্য শুধু পুলিশের সহিংসতা নিয়ে নয়, বরং এটি সরকারের সর্বজনীন নীতি, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পর্কের ওপরও গভীর প্রশ্ন তোলেছে। তার মতে, “সরকার যখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তখন জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীরা তাদের ন্যায্য দাবি পেশ করার পর পুলিশি সহিংসতা তাদের আইনগত অধিকার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা উচিত।”
তিনি আরও বলেছেন, “শক্তি প্রয়োগের সংস্কৃতি একটি সমাজের সুষ্ঠু আন্দোলন ও রাজনীতি প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দেয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বা আন্দোলন কখনো দেশের শৃঙ্খলা নষ্ট করে না। বরং, এসব প্রতিবাদ সামাজিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।” জামায়াত নেতা জানিয়ে দেন যে, সরকারের উচিত এসব ধরনের আন্দোলন ও দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, যাতে জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থার সঞ্চার হয়।
আন্দোলনের প্রভাব
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনটি একটি বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হতে পারে। মাদরাসাগুলোর জাতীয়করণের দাবি মূলত দেশের শিক্ষাব্যবস্থার একটি সংকটের প্রতিফলন। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলে আসে, সেখানে মাদরাসাগুলোর পরিস্থিতি বেশিরভাগ সময় উপেক্ষিত থাকে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের দাবি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এক নতুন দিশা দেখাবে।
মাদরাসাগুলোর জাতীয়করণ কার্যকর হলে, শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং ছাত্রদের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির সুযোগ আসবে। তবে, আন্দোলনকারীদের দাবি যথাযথভাবে সমাধান না হলে, তা সরকারের বিরুদ্ধে আরও প্রতিবাদের জন্ম দিতে পারে। বিশেষত, পুলিশি সহিংসতার পর জনগণের মনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হতে পারে, যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
পরিণতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিগত কিছু সময়ে দেশব্যাপী শিক্ষকদের নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে উঠছে, কিন্তু সেই আন্দোলনগুলো কখনও সফল হতে পারেনি। জামায়াত আমিরের মন্তব্যটি এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা হয়েছে, যেখানে সরকার জনগণের দাবি গুরুত্বসহকারে শুনছে না এবং তাদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করছে।
ডা. শফিকুর রহমানের সমালোচনা এই প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে—“শক্তি প্রয়োগের পথ যদি গ্রহণ করা হয়, তবে তার ফলাফল কি হতে পারে?” তিনি বিশ্বাস করেন যে, ভবিষ্যতে সরকারকে আরও সংবেদনশীল হতে হবে এবং শক্তি প্রয়োগের পরিবর্তে মানুষের সুরক্ষার জন্য অন্যভাবে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
এছাড়া, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এবং জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলেই দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।
Please Share This Post in Your Social Media

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলন,একটি বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুর রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশি সহিংসতার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, “শক্তি প্রয়োগের সংস্কৃতি কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না।” জামায়াত নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভালো নয় এবং সরকারের উচিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ন্যায্য দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপের ঘটনাটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখানে তিনি আরও বলেন, “শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে যিনি ন্যায্য দাবি পেশ করেন, তাকে শোনাও এবং তার দাবির প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। শক্তি প্রয়োগ কখনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এতে শুধু সমাজে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।” ডা. শফিকুর রহমান আরও যোগ করেছেন যে, পুলিশের দ্বারা ব্যবহার করা লাঠিপেটা, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের মতো উপকরণগুলো পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।
আন্দোলনের পটভূমি
গত রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সুপারিশে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের একটি সংগঠন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। তাদের মূল দাবি ছিল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকেও জাতীয়করণ করা হোক। এই সংগঠনটি ছয়টি দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছিল, যেগুলোর মধ্যে মাদরাসাগুলোর শিক্ষক নিয়োগে স্থায়িত্ব, বেতন-ভাতার সুষ্ঠু ব্যবস্থা, এবং যথাযথ প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান অন্যতম।
এছাড়া, আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আরো কিছু দাবি পেশ করতে চেয়েছিলেন, যাতে তাদের কাজের মূল্যায়ন ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা যায়। তারা নির্দিষ্ট করে বলেন যে, এই জাতীয়করণের মাধ্যমে মাদরাসাগুলোর শিক্ষার মানও উন্নত হবে, এবং তা দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুলিশি সহিংসতার ঘটনা
আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে পদযাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধা আসে। পুলিশ প্রথমে জলকামান ছোড়ে, যাতে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ভাঙানো যায়। পরবর্তীতে সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করা হয় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়। এতে আন্দোলনকারীরা অসুবিধায় পড়েন এবং পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জামায়াত আমিরের সমালোচনা
ডা. শফিকুর রহমানের এই মন্তব্য শুধু পুলিশের সহিংসতা নিয়ে নয়, বরং এটি সরকারের সর্বজনীন নীতি, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পর্কের ওপরও গভীর প্রশ্ন তোলেছে। তার মতে, “সরকার যখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তখন জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীরা তাদের ন্যায্য দাবি পেশ করার পর পুলিশি সহিংসতা তাদের আইনগত অধিকার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা উচিত।”
তিনি আরও বলেছেন, “শক্তি প্রয়োগের সংস্কৃতি একটি সমাজের সুষ্ঠু আন্দোলন ও রাজনীতি প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দেয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বা আন্দোলন কখনো দেশের শৃঙ্খলা নষ্ট করে না। বরং, এসব প্রতিবাদ সামাজিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।” জামায়াত নেতা জানিয়ে দেন যে, সরকারের উচিত এসব ধরনের আন্দোলন ও দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, যাতে জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থার সঞ্চার হয়।
আন্দোলনের প্রভাব
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনটি একটি বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হতে পারে। মাদরাসাগুলোর জাতীয়করণের দাবি মূলত দেশের শিক্ষাব্যবস্থার একটি সংকটের প্রতিফলন। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলে আসে, সেখানে মাদরাসাগুলোর পরিস্থিতি বেশিরভাগ সময় উপেক্ষিত থাকে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের দাবি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এক নতুন দিশা দেখাবে।
মাদরাসাগুলোর জাতীয়করণ কার্যকর হলে, শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং ছাত্রদের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির সুযোগ আসবে। তবে, আন্দোলনকারীদের দাবি যথাযথভাবে সমাধান না হলে, তা সরকারের বিরুদ্ধে আরও প্রতিবাদের জন্ম দিতে পারে। বিশেষত, পুলিশি সহিংসতার পর জনগণের মনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হতে পারে, যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
পরিণতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিগত কিছু সময়ে দেশব্যাপী শিক্ষকদের নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে উঠছে, কিন্তু সেই আন্দোলনগুলো কখনও সফল হতে পারেনি। জামায়াত আমিরের মন্তব্যটি এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা হয়েছে, যেখানে সরকার জনগণের দাবি গুরুত্বসহকারে শুনছে না এবং তাদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করছে।
ডা. শফিকুর রহমানের সমালোচনা এই প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে—“শক্তি প্রয়োগের পথ যদি গ্রহণ করা হয়, তবে তার ফলাফল কি হতে পারে?” তিনি বিশ্বাস করেন যে, ভবিষ্যতে সরকারকে আরও সংবেদনশীল হতে হবে এবং শক্তি প্রয়োগের পরিবর্তে মানুষের সুরক্ষার জন্য অন্যভাবে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
এছাড়া, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এবং জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলেই দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।