বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উদ্যোগে মেরাজুন্নবি (সাঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

- Update Time : ০৯:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১১৪ Time View
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উদ্যোগে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমীতে পবিত্র মেরাজুন্নবি (সাঃ) উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামি চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই অনুষ্ঠানে অসংখ্য নেতাকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এবং সাধারণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল মেরাজুন্নবি (সাঃ) এর তাৎপর্য ও শিক্ষাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও কল্যাণে প্রার্থনা করা।

প্রধান অতিথির বক্তব্য
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা শায়েখ ড. হিফজুর রহমান, প্রিন্সিপাল, তামিরুল মিল্লাত মাদরাসা, ঢাকা। তিনি তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় পবিত্র মেরাজের ইতিহাস এবং এর তাৎপর্য নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “মেরাজুন্নবি (সাঃ) হলো মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হলো মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর জন্য নামাজ ফরজ করেন, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আত্মশুদ্ধির অন্যতম মাধ্যম।”
তিনি আরও বলেন, “মেরাজের শিক্ষা আমাদের জীবনে অধ্যবসায়, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার প্রেরণা জোগায়। মুসলিম উম্মাহকে এ শিক্ষা কাজে লাগিয়ে বর্তমান বিশ্বে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
বিশেষ অতিথিদের আলোচনা
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
- জনাব গোলাম ফারুক – আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
- জনাব কাজী ইয়াকুব আলী – নায়েবে আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
- জনাব মোবারক হোসাইন – সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা

কাজী ইয়াকুব আলী তার বক্তব্যে বলেন, “মেরাজের শিক্ষাকে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। এটি শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধের এক অনন্য উদাহরণ।”

মোবারক হোসাইন তার বক্তব্যে মেরাজুন্নবি (সাঃ)-এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “মেরাজ শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি একটি দিকনির্দেশনা, যা আমাদের আধ্যাত্মিক জীবনের সাথে জাগতিক জীবনের সমন্বয় সাধনে সহায়তা করে।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্য
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা আবুল বাশার ভূঁইয়া, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠান আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পবিত্র মেরাজ শুধু মহানবী (সাঃ)-এর জীবনের একটি ঘটনা নয়; বরং এটি আমাদের জন্য আধ্যাত্মিক ও সামাজিক শিক্ষার এক পরিপূর্ণ পাঠ। মেরাজ আমাদের জীবনে আল্লাহর পথে অটল থাকার এবং সৎকর্মে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকার শিক্ষা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি মেরাজের শিক্ষাগুলো ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে আমাদের জীবন ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”
অনুষ্ঠানের আয়োজন ও উপস্থিতি
উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জামায়াতের নেতাকর্মী, এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে আলোচনা শুনেন এবং বক্তাদের কথায় অনুপ্রাণিত হন। দোয়া মাহফিলে বিশেষভাবে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, বিশ্ব মানবতার কল্যাণ, এবং দেশ ও জাতির উন্নতি কামনা করা হয়।
সমাপ্তি
মেরাজুন্নবি (সাঃ)-এর শিক্ষা ও তাৎপর্য উপলব্ধি করার জন্য আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উপস্থিত সবাই ইসলামের পবিত্র আদর্শ এবং মহানবী (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণে নিজেকে অনুপ্রাণিত করেন।
এই আয়োজন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি ছিল একটি উপলক্ষ, যেখানে ইসলামের শিক্ষা নিয়ে ভাবনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। উপস্থিত সকলে এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনের আহ্বান জানান।
Please Share This Post in Your Social Media

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উদ্যোগে মেরাজুন্নবি (সাঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উদ্যোগে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমীতে পবিত্র মেরাজুন্নবি (সাঃ) উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামি চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই অনুষ্ঠানে অসংখ্য নেতাকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এবং সাধারণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল মেরাজুন্নবি (সাঃ) এর তাৎপর্য ও শিক্ষাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও কল্যাণে প্রার্থনা করা।

প্রধান অতিথির বক্তব্য
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা শায়েখ ড. হিফজুর রহমান, প্রিন্সিপাল, তামিরুল মিল্লাত মাদরাসা, ঢাকা। তিনি তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় পবিত্র মেরাজের ইতিহাস এবং এর তাৎপর্য নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “মেরাজুন্নবি (সাঃ) হলো মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হলো মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর জন্য নামাজ ফরজ করেন, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আত্মশুদ্ধির অন্যতম মাধ্যম।”
তিনি আরও বলেন, “মেরাজের শিক্ষা আমাদের জীবনে অধ্যবসায়, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার প্রেরণা জোগায়। মুসলিম উম্মাহকে এ শিক্ষা কাজে লাগিয়ে বর্তমান বিশ্বে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
বিশেষ অতিথিদের আলোচনা
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
- জনাব গোলাম ফারুক – আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
- জনাব কাজী ইয়াকুব আলী – নায়েবে আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
- জনাব মোবারক হোসাইন – সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা

কাজী ইয়াকুব আলী তার বক্তব্যে বলেন, “মেরাজের শিক্ষাকে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। এটি শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধের এক অনন্য উদাহরণ।”

মোবারক হোসাইন তার বক্তব্যে মেরাজুন্নবি (সাঃ)-এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “মেরাজ শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি একটি দিকনির্দেশনা, যা আমাদের আধ্যাত্মিক জীবনের সাথে জাগতিক জীবনের সমন্বয় সাধনে সহায়তা করে।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্য
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা আবুল বাশার ভূঁইয়া, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠান আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পবিত্র মেরাজ শুধু মহানবী (সাঃ)-এর জীবনের একটি ঘটনা নয়; বরং এটি আমাদের জন্য আধ্যাত্মিক ও সামাজিক শিক্ষার এক পরিপূর্ণ পাঠ। মেরাজ আমাদের জীবনে আল্লাহর পথে অটল থাকার এবং সৎকর্মে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকার শিক্ষা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি মেরাজের শিক্ষাগুলো ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে আমাদের জীবন ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”
অনুষ্ঠানের আয়োজন ও উপস্থিতি
উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জামায়াতের নেতাকর্মী, এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে আলোচনা শুনেন এবং বক্তাদের কথায় অনুপ্রাণিত হন। দোয়া মাহফিলে বিশেষভাবে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, বিশ্ব মানবতার কল্যাণ, এবং দেশ ও জাতির উন্নতি কামনা করা হয়।
সমাপ্তি
মেরাজুন্নবি (সাঃ)-এর শিক্ষা ও তাৎপর্য উপলব্ধি করার জন্য আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উপস্থিত সবাই ইসলামের পবিত্র আদর্শ এবং মহানবী (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণে নিজেকে অনুপ্রাণিত করেন।
এই আয়োজন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি ছিল একটি উপলক্ষ, যেখানে ইসলামের শিক্ষা নিয়ে ভাবনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। উপস্থিত সকলে এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনের আহ্বান জানান।