সময়: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

সিকিউরিটি অ্যাপ থেকে সাবধান: আপনার ফোনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে!

নাবিল বিন বিল্লাল
  • Update Time : ০৫:৩০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৯৫ Time View

SECURITY APP

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

বর্তমান বিশ্বে স্মার্টফোন প্রযুক্তি মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিনোদন, কেনাকাটা, এমনকি ব্যাংকিং কার্যক্রমও এখন স্মার্টফোন নির্ভর। এর ফলে ফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের চাহিদাও বেড়েছে। যদিও এসব অ্যাপ আমাদের জীবনকে সহজ ও সুবিধাজনক করেছে, কিছু অ্যাপ ফোনের নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। অধিকাংশ মানুষ যাচাই-বাছাই না করেই অ্যাপ ডাউনলোড করে, যা সাইবার অপরাধীদের সুযোগ করে দেয়। ম্যালওয়্যার আক্রান্ত অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ফোনে গোপনে তথ্য চুরি এবং ফোনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করা সম্ভব।

 কীভাবে অ্যাপের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়?

প্রথমত, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার সাধারণত ফোনে ঢুকতে অ্যাপ্লিকেশনকে ব্যবহার করে। কিছু অ্যাপ্লিকেশন নির্দোষ এবং নির্ভরযোগ্য মনে হলেও, এর অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ম্যালওয়্যার ফোনের নিরাপত্তা ভেঙে ফেলে। এ ধরনের অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার পর, ম্যালওয়্যার ফোনের সমস্ত ডেটা, যেমন ফাইল, মেসেজ, কল লিস্ট ইত্যাদি চুরি করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে। এমনকি ফোনের সিস্টেম নষ্ট করে ব্যবহারকারীর কার্যক্রমের উপরও নজর রাখতে পারে।

গুগল প্লে স্টোরে অনেক সময় কিছু ম্যালওয়্যার আক্রান্ত অ্যাপ ধরা পড়ে। যদিও গুগল নিয়মিতভাবে প্লে স্টোরের অ্যাপগুলো স্ক্যান করে, তবুও কিছু ক্ষতিকর অ্যাপ নজর এড়িয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীদের ফোনে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনে। বিভিন্ন সময় গুগল সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে প্লে স্টোর থেকে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত অ্যাপ সরিয়ে ফেলে, কিন্তু ইতোমধ্যে সেই অ্যাপগুলো লক্ষ লক্ষ ডিভাইসে ছড়িয়ে পড়ে। এসব অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়া ছাড়াও, অর্থনৈতিক ক্ষতিও হতে পারে।

 চিহ্নিত অ্যাপ এবং এর বিপদ

সম্প্রতি বেশ কিছু অ্যাপ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো ম্যালওয়্যার সংক্রামিত এবং স্মার্টফোনের জন্য বিপজ্জনক। এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা, ফোনকল, এমনকি গোপন মেসেজ পর্যন্ত চুরি করতে পারে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, বেশ কিছু জনপ্রিয় অ্যাপও ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে। যেমন “প্রাইভি টক,” “লেটস চ্যাট,” “কুইক চ্যাট,” এবং “মিট মি” নামক অ্যাপগুলো ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এই অ্যাপগুলো ফোনে ইন্সটল হওয়ার পর ধীরে ধীরে ম্যালওয়্যার ছড়ায় এবং ব্যবহারকারীর সব ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে সক্ষম। এছাড়াও ফোনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, ফলে ফোনের গতি ধীর হয়ে যায় এবং ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো, এই অ্যাপগুলো সরাসরি ব্যবহারকারীর নোটিফিকেশন ও কল ডেটা পড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য চুরি করতে সক্ষম।

 কীভাবে আপনার ফোনকে সুরক্ষিত রাখবেন?

 . যাচাইবাছাই ছাড়া অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না:

কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই তার উৎস যাচাই করুন। ডেভেলপার এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীর রিভিউ পড়ুন, এবং অ্যাপটি কতবার ডাউনলোড হয়েছে তা দেখুন। যদি অ্যাপটির রেটিং এবং রিভিউ সন্দেহজনক মনে হয়, তবে সেটি ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন।

 . গুগল প্লে প্রোটেক্ট ব্যবহার করুন:

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোরের “প্লে প্রোটেক্ট” ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন, যা ফোনের অ্যাপগুলো স্ক্যান করে ক্ষতিকর সফটওয়্যার চিহ্নিত করে। প্লে প্রোটেক্ট নিয়মিতভাবে চালু রাখলে অনেক বড় বিপদ এড়িয়ে চলা সম্ভব।

 . অনুমতিগুলো যাচাই করুন:

প্রতিটি অ্যাপ ইনস্টল করার সময় তারা কিছু অনুমতি চায়, যেমন আপনার ফোনের কন্টাক্ট, মেসেজ বা ফাইলের অ্যাক্সেস। প্রয়োজনে শুধু সেই অ্যাপগুলোকেই অনুমতি দিন, যেগুলো আসলেই প্রয়োজনীয়। অপ্রয়োজনীয় অনুমতি চাইলে তা থেকে সাবধান থাকুন এবং অবিলম্বে সেই অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন।

 . অ্যাপ্লিকেশন এবং সিস্টেম আপডেট করুন:

স্মার্টফোনের নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত অ্যাপ্লিকেশন এবং অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখা জরুরি। আপডেটের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্যাচ দেয়া হয়, যা সাইবার হামলা থেকে ফোনকে সুরক্ষিত রাখে।

 . সন্দেহজনক অ্যাপ মুছে ফেলুন:

যদি আপনি সন্দেহ করেন যে আপনার ফোনে কোনো ক্ষতিকর অ্যাপ ইনস্টল হয়েছে, তবে সেটি দ্রুত মুছে ফেলুন। সন্দেহজনক অ্যাপের কারণে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

 শেষ কথা

আমাদের স্মার্টফোনের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদের। প্রযুক্তির দ্রুতগতির উন্নয়নের কারণে সাইবার অপরাধীরাও নতুন নতুন পদ্ধতিতে ক্ষতি সাধন করছে। সঠিকভাবে যাচাই না করে অ্যাপ ডাউনলোড করা সাইবার অপরাধীদের হাতে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দেওয়ার মতো। তাই ফোনের নিরাপত্তা এবং ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে নিরাপত্তা চর্চা করলে এবং সন্দেহজনক অ্যাপ থেকে দূরে থাকলে আপনার ফোন সুরক্ষিত থাকবে এবং আপনি নিজেও নিরাপদ থাকবেন।

শেয়ার করুনঃ
Pin Share

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
About Author Information

নাবিল বিন বিল্লাল

নবিল বিন বিল্লাল একজন বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ এবং বিডিবো নিউজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে নিবন্ধ লেখক হিসেবে খ্যাতিমান। তিনি তার প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে একটি বৃহৎ পাঠকগোষ্ঠীর জন্য জটিল প্রযুক্তিগত ধারণাগুলি সহজভাবে উপস্থাপন করার আগ্রহের সাথে নিপুণভাবে মিশিয়ে দেন। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা থাকার ফলে, তিনি টেক কমিউনিটিতে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন, উদীয়মান প্রবণতাগুলি নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেন। বিডিবো নিউজে তার নিবন্ধগুলি তার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে গভীর জ্ঞানের পরিচয় দেয় এবং জটিল বিষয়গুলিকে সহজবোধ্যভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা প্রতিফলিত করে। প্রযুক্তি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করার জন্য তার অঙ্গীকার তাকে শিল্পের একজন চিন্তাশীল নেতা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নবিল বিন বিল্লাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন, যা তাকে সর্বশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য একটি চাহিদাসম্পন্ন কণ্ঠস্বর করে তুলেছে।
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

সিকিউরিটি অ্যাপ থেকে সাবধান: আপনার ফোনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে!

Update Time : ০৫:৩০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
শেয়ার করুনঃ
Pin Share

বর্তমান বিশ্বে স্মার্টফোন প্রযুক্তি মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিনোদন, কেনাকাটা, এমনকি ব্যাংকিং কার্যক্রমও এখন স্মার্টফোন নির্ভর। এর ফলে ফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের চাহিদাও বেড়েছে। যদিও এসব অ্যাপ আমাদের জীবনকে সহজ ও সুবিধাজনক করেছে, কিছু অ্যাপ ফোনের নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। অধিকাংশ মানুষ যাচাই-বাছাই না করেই অ্যাপ ডাউনলোড করে, যা সাইবার অপরাধীদের সুযোগ করে দেয়। ম্যালওয়্যার আক্রান্ত অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ফোনে গোপনে তথ্য চুরি এবং ফোনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করা সম্ভব।

 কীভাবে অ্যাপের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়?

প্রথমত, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার সাধারণত ফোনে ঢুকতে অ্যাপ্লিকেশনকে ব্যবহার করে। কিছু অ্যাপ্লিকেশন নির্দোষ এবং নির্ভরযোগ্য মনে হলেও, এর অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ম্যালওয়্যার ফোনের নিরাপত্তা ভেঙে ফেলে। এ ধরনের অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার পর, ম্যালওয়্যার ফোনের সমস্ত ডেটা, যেমন ফাইল, মেসেজ, কল লিস্ট ইত্যাদি চুরি করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে। এমনকি ফোনের সিস্টেম নষ্ট করে ব্যবহারকারীর কার্যক্রমের উপরও নজর রাখতে পারে।

গুগল প্লে স্টোরে অনেক সময় কিছু ম্যালওয়্যার আক্রান্ত অ্যাপ ধরা পড়ে। যদিও গুগল নিয়মিতভাবে প্লে স্টোরের অ্যাপগুলো স্ক্যান করে, তবুও কিছু ক্ষতিকর অ্যাপ নজর এড়িয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীদের ফোনে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনে। বিভিন্ন সময় গুগল সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে প্লে স্টোর থেকে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত অ্যাপ সরিয়ে ফেলে, কিন্তু ইতোমধ্যে সেই অ্যাপগুলো লক্ষ লক্ষ ডিভাইসে ছড়িয়ে পড়ে। এসব অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়া ছাড়াও, অর্থনৈতিক ক্ষতিও হতে পারে।

 চিহ্নিত অ্যাপ এবং এর বিপদ

সম্প্রতি বেশ কিছু অ্যাপ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো ম্যালওয়্যার সংক্রামিত এবং স্মার্টফোনের জন্য বিপজ্জনক। এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা, ফোনকল, এমনকি গোপন মেসেজ পর্যন্ত চুরি করতে পারে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, বেশ কিছু জনপ্রিয় অ্যাপও ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে। যেমন “প্রাইভি টক,” “লেটস চ্যাট,” “কুইক চ্যাট,” এবং “মিট মি” নামক অ্যাপগুলো ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এই অ্যাপগুলো ফোনে ইন্সটল হওয়ার পর ধীরে ধীরে ম্যালওয়্যার ছড়ায় এবং ব্যবহারকারীর সব ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে সক্ষম। এছাড়াও ফোনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, ফলে ফোনের গতি ধীর হয়ে যায় এবং ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো, এই অ্যাপগুলো সরাসরি ব্যবহারকারীর নোটিফিকেশন ও কল ডেটা পড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য চুরি করতে সক্ষম।

 কীভাবে আপনার ফোনকে সুরক্ষিত রাখবেন?

 . যাচাইবাছাই ছাড়া অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না:

কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই তার উৎস যাচাই করুন। ডেভেলপার এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীর রিভিউ পড়ুন, এবং অ্যাপটি কতবার ডাউনলোড হয়েছে তা দেখুন। যদি অ্যাপটির রেটিং এবং রিভিউ সন্দেহজনক মনে হয়, তবে সেটি ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন।

 . গুগল প্লে প্রোটেক্ট ব্যবহার করুন:

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোরের “প্লে প্রোটেক্ট” ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন, যা ফোনের অ্যাপগুলো স্ক্যান করে ক্ষতিকর সফটওয়্যার চিহ্নিত করে। প্লে প্রোটেক্ট নিয়মিতভাবে চালু রাখলে অনেক বড় বিপদ এড়িয়ে চলা সম্ভব।

 . অনুমতিগুলো যাচাই করুন:

প্রতিটি অ্যাপ ইনস্টল করার সময় তারা কিছু অনুমতি চায়, যেমন আপনার ফোনের কন্টাক্ট, মেসেজ বা ফাইলের অ্যাক্সেস। প্রয়োজনে শুধু সেই অ্যাপগুলোকেই অনুমতি দিন, যেগুলো আসলেই প্রয়োজনীয়। অপ্রয়োজনীয় অনুমতি চাইলে তা থেকে সাবধান থাকুন এবং অবিলম্বে সেই অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন।

 . অ্যাপ্লিকেশন এবং সিস্টেম আপডেট করুন:

স্মার্টফোনের নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত অ্যাপ্লিকেশন এবং অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখা জরুরি। আপডেটের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্যাচ দেয়া হয়, যা সাইবার হামলা থেকে ফোনকে সুরক্ষিত রাখে।

 . সন্দেহজনক অ্যাপ মুছে ফেলুন:

যদি আপনি সন্দেহ করেন যে আপনার ফোনে কোনো ক্ষতিকর অ্যাপ ইনস্টল হয়েছে, তবে সেটি দ্রুত মুছে ফেলুন। সন্দেহজনক অ্যাপের কারণে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

 শেষ কথা

আমাদের স্মার্টফোনের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদের। প্রযুক্তির দ্রুতগতির উন্নয়নের কারণে সাইবার অপরাধীরাও নতুন নতুন পদ্ধতিতে ক্ষতি সাধন করছে। সঠিকভাবে যাচাই না করে অ্যাপ ডাউনলোড করা সাইবার অপরাধীদের হাতে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দেওয়ার মতো। তাই ফোনের নিরাপত্তা এবং ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে নিরাপত্তা চর্চা করলে এবং সন্দেহজনক অ্যাপ থেকে দূরে থাকলে আপনার ফোন সুরক্ষিত থাকবে এবং আপনি নিজেও নিরাপদ থাকবেন।

শেয়ার করুনঃ
Pin Share