ফ্যাসিবাদকালে বেঁচে থাকা ছিল কৌতুকময়

- Update Time : ০৭:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
- / ১০৬ Time View
গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, যিনি তার চমকপ্রদ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচিত, তার সামাজিক মাধ্যমের কার্যকলাপের জন্যও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে কখনো পিছপা হন না, এবং তার মতামতগুলো সবসময়েই তীক্ষ্ণ ও সাহসী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনার দিন থেকেই ফারুকী সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন এবং গণঅভুথ্যানের পরও নানা ইস্যুতে তিনি জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে আগ্রহী।
সম্প্রতি, তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কটাক্ষের সুরে মন্তব্য করেন, “আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি। আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। তাই ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” ফারুকী স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মী নন; বরং তিনি আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয়ের ভালো কাজের প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ফ্যাসিবাদকালে আমাদের বেঁচে থাকা ছিল বড় কৌতুকময়। কায়দা-কানুন করে বেঁচে থাকতে হতো। সরকারের সমালোচনা করলে এক পোস্টের বিপরীতে তিনটি প্রশংসা পোস্ট দিতে হতো। প্রধানমন্ত্রীকে বাদ রেখে সমালোচনা করতে হতো, নাহলে আপনার সিনেমা আটকে যাবে, যা নিঃসন্দেহে অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবির করতে হবে, এবং ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ জানাতে হবে। জীবনের এই নানাবিধ কৌতুকময় অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আমার কাজের মধ্যে প্রতিফলিত হবে।”
ফারুকী মন্তব্য করেন যে, বর্তমান সরকার তাদের দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য, এবং চুরিচামারির জন্য পরিচিত, কিন্তু তাদের রাগ আমাদের ওপর। কেন আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলাম, এই ক্ষোভ তাদের মধ্যে গভীর। তিনি বলেন, “ওরা জানে আমাদের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই, কিন্তু আমাদের প্রতিরোধে তাদের মনে এক গভীর ক্ষোভ রয়েছে। তাদের জন্য অবশ্যই আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটার সময় এসেছে।”
ফারুকীর এই মন্তব্যগুলো দেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন করে এবং বর্তমান সময়ে সৃজনশীল মানুষের অবস্থা ও তাদের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে একটি প্রাসঙ্গিক আলোকপাত করে। তার কথা বলার এই ধরণ এবং স্বর যেন এক নতুন প্রেরণা দেয় অন্য নির্মাতাদের, তাদের কাজের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে চিত্রিত করার জন্য।
Please Share This Post in Your Social Media

ফ্যাসিবাদকালে বেঁচে থাকা ছিল কৌতুকময়

গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, যিনি তার চমকপ্রদ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচিত, তার সামাজিক মাধ্যমের কার্যকলাপের জন্যও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে কখনো পিছপা হন না, এবং তার মতামতগুলো সবসময়েই তীক্ষ্ণ ও সাহসী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনার দিন থেকেই ফারুকী সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন এবং গণঅভুথ্যানের পরও নানা ইস্যুতে তিনি জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে আগ্রহী।
সম্প্রতি, তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কটাক্ষের সুরে মন্তব্য করেন, “আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি। আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। তাই ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” ফারুকী স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মী নন; বরং তিনি আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয়ের ভালো কাজের প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ফ্যাসিবাদকালে আমাদের বেঁচে থাকা ছিল বড় কৌতুকময়। কায়দা-কানুন করে বেঁচে থাকতে হতো। সরকারের সমালোচনা করলে এক পোস্টের বিপরীতে তিনটি প্রশংসা পোস্ট দিতে হতো। প্রধানমন্ত্রীকে বাদ রেখে সমালোচনা করতে হতো, নাহলে আপনার সিনেমা আটকে যাবে, যা নিঃসন্দেহে অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবির করতে হবে, এবং ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ জানাতে হবে। জীবনের এই নানাবিধ কৌতুকময় অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আমার কাজের মধ্যে প্রতিফলিত হবে।”
ফারুকী মন্তব্য করেন যে, বর্তমান সরকার তাদের দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য, এবং চুরিচামারির জন্য পরিচিত, কিন্তু তাদের রাগ আমাদের ওপর। কেন আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলাম, এই ক্ষোভ তাদের মধ্যে গভীর। তিনি বলেন, “ওরা জানে আমাদের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই, কিন্তু আমাদের প্রতিরোধে তাদের মনে এক গভীর ক্ষোভ রয়েছে। তাদের জন্য অবশ্যই আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটার সময় এসেছে।”
ফারুকীর এই মন্তব্যগুলো দেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন করে এবং বর্তমান সময়ে সৃজনশীল মানুষের অবস্থা ও তাদের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে একটি প্রাসঙ্গিক আলোকপাত করে। তার কথা বলার এই ধরণ এবং স্বর যেন এক নতুন প্রেরণা দেয় অন্য নির্মাতাদের, তাদের কাজের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে চিত্রিত করার জন্য।